ভার্চুয়াল জগতের সবচেয়ে আলোচিত দুই প্রাণী পান্ডা ও পেঙ্গুইনের পরিচয় এবং এদের থেকে সাইটকে নিরাপদ রাখার কৌশল। Part: 2

চলুন জেনে নেয়া যাক অত্যান্ত গুরুত্বপুর্ন এই কৌশলগুলো।
.
# অনপেজ এসইও এর ক্ষেত্রেঃ
>> কন্টেন্ট কুয়ালিটিঃ যে কোন ওয়েবসাইটের জন্য কন্টেন্ট খুবই গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা রাখে। যদি কোন সাইটের কন্টেন্ট এর মান খারাপ হয় তাহলে সেই সাইট সার্চ ইঞ্জিনে ভালো র্যাঙ্ক করতে পারে না। তাই কন্টেন্টকে অবশ্যই মানসম্পন্ন করতে হবে। কন্টেন্ট এর মান মুলত নির্ভর করে সেখানে কি পরিমান তথ্য আছে, তথ্যগুলো সঠিক কিনা, ভিজিটররা সহজেই তথ্যগুলো পাচ্ছে কিনা এসবের ওপর। তাই অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে কন্টেন্ট যেন খুব বেশি ছোট না হয় আর তথ্যবহুল হয় এবং ভিজিটররা যেন সহজেই তাদের প্রয়োজনিয় তথ্যটা পেয়ে যায়।
>> ইউনিক কন্টেন্টঃ ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট শুধুমাত্র মানসম্পন্ন হলেই হবে না, কন্টেন্টগুলো অবশ্যই ইউনিক হতে হবে। অন্য কোন সাইট থেকে কন্টেন্ট কপি করে সেটা নিজের সাইটে দিলে কখনো ভালো ফল পাওয়া যাবে না, বরং সাইটটা যেকোন সময় সার্চ রেজাল্টে নিচে নেমে যেতে পারে। গুগোলের কাছে বিশ্বের প্রায় সব ওয়েবসাইটের তথ্য আছে তাই আপনি যে সাইট থেকেই কন্টেন্ট কপি করেন না কেন গুগোল সেটা অবশ্যই ধরতে পারবে এবং এধরনের কপি করা কন্টেন্ট এর ওয়েবসাইটকে গুগোল মোটেও ভালো চোখে দেখে না, তাছাড়া এটা গুগোলের ওয়েবমাস্টার গাইডলাইনও ভঙ্গ করে। তাই সাইটকে নিরাপদ রাখতে কপি পেস্ট থেকে সম্পুর্নরুপে বিরত থাকা উচিৎ। তবে বিভিন্ন কন্টেন্ট হতে ধারনা নিয়ে নিজে কন্টেন্ট তৈরী করতে পারেন, শুধু খেয়াল রাখতে হবে সেটা যেন কপি করা না হয়।
>> কন্টেন্ট সাইজঃ প্রথমেই বলেছি কন্টেন্ট এর কুয়ালিটি ভালো হতে হবে আর কুয়ালিটি ভালো করতে হলে অবশ্যই কন্টেন্ট সাইজ প্রয়োজনিয় বড় করতে হবে। বাফারএ্যাপ এর প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে বলা যায় একটা ব্লগ পোস্টে ১৬০০ এর মত ওয়ার্ড থাকা উচিৎ, যেটা পড়তে ভিজিটরদের ৭ মিনিটের মত সময় লাগতে পারে। তাই বলে এই নয় যে অপ্রয়োজনিয় তথ্য দিয়ে কন্টেন্টকে বড় করতে হবে। যদি কোন কন্টেন্ট এ কম তথ্য দেয়ার প্রয়োজন হয় তাহলে সেটাকে বড় না করাই ভালো। অপ্রয়োজনিয় তথ্য দিয়ে কন্টেন্টকে বড় করলে ভিজিটররা বিভ্রান্ত হয়, যা মোটেও ভালো কথা নয়। তাই অপ্রয়োজনিয় তথ্য দিয়ে কন্টেন্টকে বড় করা যাবে না। তবে কমপক্ষে ১০০ ওয়ার্ড এর মত রাখা উচিৎ, এর চেয়ে ছোট করা ঠিক না।
>> এ্যাবোভ দি ফোল্ড কন্টেন্টঃ কোন কন্টেন্ট এর ওপরের অংশ বা কন্টেন্ট এর প্রথম প্যারার ওপরের অংশকে এ্যাবোভ দি ফোল্ড কন্টেন্ট বলা হয়। কন্টেন্টকে এমন ভাবে তৈরী করতে হবে যেন এর প্রথম অংশ দেখেই বোঝা যায় সম্পুর্ন কন্টেন্ট হতে কি ধরনের তথ্য পাওয়া যাবে। তাই কন্টেন্ট এর ওপরের অংশে সম্পুর্ন কন্টেন্ট এর সম্পর্কে একটা ধারনা দিতে হবে এবং এ অংশে সঠিকভাবে কিওয়ার্ড ব্যাবহার করতে হবে। এতে সার্চ ইঞ্জিন বা ভিজিটর উভয়ই খুব সহজেই সম্পুর্ন কন্টেন্ট সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারনা পেয়ে যাবে।
>> কিওয়ার্ড ডেনসিটিঃ কিওয়ার্ড ডেনসিটি হলো কোন সাইটের মধ্যে কিওয়ার্ডের ঘনত্ব, অর্থাৎ একটা সাইটের মধ্যে ওই সাইটের কিওয়ার্ড এর উপস্থিতির হারকে কিওয়ার্ড ডেনসিটি বলে। সাইটের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে এবং কন্টেন্ট এর মধ্যে কিওয়ার্ড রাখতে হয় এতে সার্চ ইঞ্জিন বুঝতে পারে সাইটে কি ধরনের তথ্য আছে এবং কোন ভিজিটর যখন ওই কিওয়ার্ড লিখে সার্চ করে তখন সার্চ ইঞ্জিন তার র্যাঙ্কিং এর ভিত্তিতে সাইটকে সার্চ রেজাল্টে প্রদর্শন করে। তবে কোন সাইটের মধ্যে যদি মাত্রাতিরিক্ত হারে কিওয়ার্ড দেয়া হয় তাহলে গুগোল সেটাকে স্প্যাম হিসেবে গ্রহন করবে অর্থাৎ গুগোল ধরে নেবে আপনি কোন নির্দিষ্ট একটি বিষয়কে অবৈধভাবে সার্চ রেজাল্টে আনার চেষ্টা করছেন। আর গুগোলের পেঙ্গুইন আপডেটের প্রধান লক্ষ যেহেতু স্প্যাম প্রতিরোধ করা তাই অতিরিক্ত হারে কিওয়ার্ড দেয়ার ফলে আপনার সাইট যেকোন মুহুর্তে পেঙ্গুইন এ্যাটাকের শিকার হতে পারে। এছাড়াও কন্টেন্টের মধ্যে অতিরিক্ত কিওয়ার্ড ব্যাবহারের ফলে কন্টেন্ট এর মান কমে যায়, যা সাইটের জন্য ক্ষতিকর। তাই সাইটকে নিরাপদ রাখতে হলে অবশ্যই কিওয়ার্ড ডেনসিটি সঠিক রাখতে হবে, প্রয়োজন ছাড়া কন্টেন্ট এ কিওয়ার্ড দেয়া ঠিক নয়। বিভিন্ন এসইও স্পেশালিস্টদের মতে কন্টেন্ট এ কিওয়ার্ড ডেনসিটি ১৫% এর মত হলে ভালো।............

আপনার জন্য আরও পোস্ট