[A Complete Guideline By SA]
.
.
পৃথিবীর বড় বড় সব ইউনিভার্সিটির বায়োলজি ক্লাসেও কোন প্রাণীকে নিয়ে কোনদিন এতটা আলোচনা হয় নি যতটা আলোচনা হয়েছে ভার্চুয়াল জগতের দুই প্রাণী পান্ডা এবং পেঙ্গুইনকে নিয়ে। ইন্টারনেট জগতের এই তুমুল আলোচিত প্রাণী দু'টো বাস্তবে কোন প্রাণী না হলেও এদের ওয়ার্কিং এলগরিদম এবং স্মার্টনেস কোন বুদ্ধিসম্পন্ন প্রাণীর চেয়ে কোন অংশেই কম নয়।
এই দুই ভার্চুয়াল প্রাণী হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় সার্চ ইঞ্জিন দি সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট গুগোলের সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য ও নির্ভরযোগ্য এবং নিখুত কার্যক্ষমতা সম্পন্ন দু'টো এলগরিদম আপডেট, যা কোন সাইটকে তাদের কুয়ালিটি, তথ্যের পরিমান, তথ্যের গুরুত্বপুর্নতা, সাইটের ডোমেইন, ইউজার এক্সপেরিয়েন্স, বাউন্স রেট, ট্রাফিক ডেটা ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় এর ওপর নির্ভর করে নির্দিষ্ট র্যাঙ্ক প্রদান করে এবং সেই র্যাঙ্ক অনুযায়ি সার্চ রেজাল্টে বিভিন্ন সাইটকে ইউজারদের সার্চকৃত কিওয়ার্ডের ভিত্তিতে প্রদর্শন করে।
গুগোল তাদের ইউজারদেরকে আরো ভালো সুযোগ-সুবিধা দিতে এবং সবসময় ইউজারদের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনিয় তথ্য খুজে দেয়ার লক্ষে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলগরিদম আপডেট নিয়ে আসে। এসব আপডেট এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন এবং এসইও এর ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তারকারী আপডেট হলো এই পান্ডা এবং পেঙ্গুইন এলগরিদম আপডেট। এদেরকে গুগোল পান্ডা আপডেট এবং গুগোল পেঙ্গুইন আপডেট বলা হয়। এদেরকে গুগোলের দু'টো শক্তিশালি অস্ত্রও বলা যায় যা প্রতিনিয়ত ওয়েবস্প্যাম এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে চলেছে।
.
এ পোস্টে আপনাদেরকে জানাবো গুগোলের এই দুই ওয়েবস্প্যাম প্রতিরোধকারী শক্তিশালি অস্ত্রের পরিচয় এবং তাদের থেকে সাইটকে নিরাপদ রাখার সঠিক কৌশল।
.
# গুগোল পান্ডা ও পেঙ্গুইন আপডেটের পরিচয়ঃ
>>পান্ডা আপডেটঃ
গুগোল প্রথম পান্ডা আপডেট রিলিজ করে ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, সে সময় এর প্রধান লক্ষ ছিল লো কুয়ালিটি ও দুর্বল সাইটগুলোকে সার্চ র্যাঙ্কিং থেকে নিচে নামিয়ে দেয়া এবং হাই কুয়ালিটি ও বেশি তথ্যবহুল সাইটগুলোকে সার্চ রেজাল্টে টপ পজিশনে নিয়ে আসা। প্রথম পান্ডা আপডেট রিলিজ করার পর সকল সার্চ রেজাল্টের প্রায় ১২% এর ওপর প্রভাব ফেলে, যা অনেক সাইটকে র্যাঙ্কিং এ নিচে নামিয়ে দেয় পাশাপাশি ভালো মানের সাইটগুলোকে র্যাঙ্কিং এ ওপরে উঠিয়ে দেয়। এরপর বিভিন্ন সময় পান্ডার বিভিন্ন ভার্সন রিলিজ করা হয়, যার সবগুলোরই প্রধান লক্ষ ছিল লো কুয়ালিটি সাইট এবং পেজ যেগুলো সার্চ ইঞ্জিনে ভালো র্যাঙ্কিং এ ছিল সেগুলোকে সরিয়ে হাই কুয়ালিটি এবং বিশ্বাসযোগ্য সাইটগুলোকে র্যাঙ্কিং এর প্রথমে নিয়ে আসা।
সর্বশেষ ২০১৫ সালের জুলাই মাসের ১৮ তারিখে পান্ডার লেটেস্ট ভার্সন পান্ডা ৪.২ রিলিজ করা হয়েছে।
>>পেঙ্গুইন আপডেটঃ
২০১২ সালের ২৪ এপ্রিলে প্রথম পেঙ্গুইন আপডেট রিলিজ করা হয়। এই আপডেট এর লক্ষ ছিল বিভিন্ন সাইট যেগুলো গুগোলের ওয়েবমাস্টার গাইডলাইন অমান্য করেছে এবং বিভিন্ন ব্লাক হ্যাট এসইও টেকনিক ব্যাবহার করে টপ র্যাঙ্কিং এ এসেছে সেগুলোর র্যাঙ্কিং নিচে নামিয়ে দেয়া। প্রথম রিলিজের পর সকল সার্চ কুয়েরির মধ্যে ইংরেজি ভাষার ৩.১%, প্রায় ৩% এর মত জার্মান, চাইনিজ ও অ্যারাবিক ভাষার এবং অন্যান্ন বিভিন্ন স্প্যামিং ভাষা ব্যাবহারকারী বহু সাইট পেঙ্গুইন আপডেট দ্বারা আক্রান্ত হয়। ২৫ মে, ২০১২ সালে পেঙ্গুইন ১.১ নামে দ্বিতীয়বারের মত পেঙ্গুইন আপডেট রিলিজ করে গুগোল। এই আপডেট এর প্রধান লক্ষ ছিল অবৈধ পদ্ধতি ব্যাবহার করে টপ র্যাঙ্কিং এ আসা সাইটগুলোকে পেনালাইজ করে সার্চ রেজাল্ট থেকে বের করে দেয়া।
এরপর আরো কয়েকবার পেঙ্গুইন আপডেটের বিভিন্ন ভার্সন রিলিজ করা হয়, যার সবগুলোরই লক্ষ ছিল মুলত স্প্যাম প্রতিরোধ করা এবং ব্লাক হ্যাট এসইও ব্যাবহার করে টপ র্যাঙ্কিং এ আসা সাইটগুলোকে পেনালাইজ করা।
.
পান্ডা এবং পেঙ্গুইন উভয় আপডেটই এসইও জগতে অনেক পরিবর্তন নিয়ে আসে। এই আপডেটগুলোর পর থেকে গুগোল গাইডলাইন মেনে চলা এবং সাইটকে কুয়ালিটি সম্পন্ন ও সঠিকভাবে তথ্যবহুল করা একরকম বাধ্যতামুলক হয়ে গিয়েছে। গুগোল পান্ডা এবং পেঙ্গুইন দুই আপডেটই যে কারো সাইটকে মারাত্বকভাবে আক্রান্ত করতে পারে তাই অবশ্যই সঠিক পদ্ধতিতে এসইও করতে হবে এবং গুগোলের সকল গাইডলাইন মেনে চলতে হবে। পান্ডা আপডেটে কোন সাইট আক্রান্ত হলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সহজেই সেই সাইট রিকভার করা যায় কিন্তু পেঙ্গুইন আক্রান্ত সাইটকে রিকভার করা অনেক সময় খুব কঠিন হয়ে যায় এবং কিছু কিছু ক্ষেেত্র রিকভার করা সম্ভবই হয় না। তাই পান্ডা আপডেট সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে এবং অবশ্যই পেঙ্গুইন আপডেট সম্পর্কে অনেক বেশি সচেতন থাকতে হবে।
.
সাইটকে পান্ডা এবং পেঙ্গুইন আপডেট থেকে নিরাপদ রাখতে গুগোলের গাইডলাইন মেনে হোয়াইট হ্যাট এসইও করতে হবে। এজন্য অনপেজ ও অফপেজ এসইওতে কিছু কৌশল অবশ্যই মেনে চলতে হবে।.............