>> এ্যাঙ্কর টেক্সট্ কুয়ালিটিঃ ব্যাকলিঙ্ক করার সময় সেটার এ্যাঙ্কর টেক্সট্ কুয়ালিটি অবশ্যই ভালো হতে হবে। একটা ব্যাকলিঙ্ক এমনভাবে করতে হবে যেন সেটার এ্যাঙ্কর টেক্সট্ দেখলেই বোঝা যায় সেখানে ক্লিক করলে কি ধরনের পেজ আসবে। অর্থাৎ এ্যাঙ্কর টেক্সট্ এ অবশ্যই অর্থবহ শব্দ এবং টার্গেটেড কিওয়ার্ড রাখতে হবে, যাতে সহজেই সেই ব্যাকলিঙ্কটা সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যায়।
>> ন্যাচারাল ব্যাকলিঙ্কিং টেকনিকঃ কোন সাইটের ব্যাকলিঙ্ক করার সময় খেয়াল রাখতে হবে ব্যাকলিঙ্কগুলো যেন সাভাবিক দেখায়। অর্থাৎ ব্যাকলিঙ্কগুলো দেখে কোন ভাবেই যেন মনে না হয় আপনি স্প্যামিং করছেন। কোন সাইটের ব্যাকলিঙ্ক করার সময় সবগুলো বা বেশিরভাগ ব্যাকলিঙ্কের এ্যাঙ্কর টেক্সট্ এ যদি একই কিওয়ার্ড ব্যাবহার করেন তাহলে সেটা স্প্যামিং হিসেবে গণ্য হয়। ধরুন আপনি কার সেলিং বিষয়ক একটা সাইটের এসইও করছেন, এখন আপনি যদি একটা ব্যাকলিঙ্কের এ্যাঙ্কর টেক্সট্ এ Buy car দেন, অন্য আরেকটায়ও দিলেন Buy car, এবং সবগুলোতেই দিলেন Buy car অর্থাৎ সব ব্যাকলিঙ্কে একই এ্যাঙ্কর টেক্সট্ ব্যাবহার করলেন তাহলে গুগোল ভাববে আপনি কোন একটি নির্দিষ্ট কিওয়ার্ডকে অবৈধভাবে র্যাঙ্ক করাতে চাচ্ছেন, যেটা সাধারনত স্প্যামিং হিসেবেই বিবেচিত হয়। তাই এভাবে ব্যাকলিঙ্ক করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
>> ন্যাচারাল লিঙ্কবিল্ডিং টেকনিকঃ ব্যাকলিঙ্ক দুই ধরনের হয়, ডুফলো ব্যাকলিঙ্ক এবং নোফলো ব্যাকলিঙ্ক। যে ব্যাকলিঙ্কগুলো গুগোল ফলো করে এবং ক্লিক করা যায় অর্থাৎ যে ব্যাকলিঙ্কগুলো গুগোলবটের গ্রহন করার অনুমতি থাকে সেগুলোকে ডুফলো ব্যাকলিঙ্ক বলে। আর নোফলো ব্যাকলিঙ্ক বলা হয় যে ব্যাকলিঙ্কগুলো গুগোল ফলো করে না সেগুলোকে। সাইটকে র্যাঙ্ক করাতে মুলত ডুফলো ব্যাকলিঙ্ক সহায়তা করে, এক্ষেত্রে নোফলো ব্যাকলিঙ্ক কোন ভূমিকা রাখে না। কিন্তু আপনি যদি সাইটের জন্য শুধুমাত্র ডুফলো ব্যাকলিঙ্ক করেন তাহলে গুগোল সেটাকে ভালো চোখে দেখবে না, কারন গুগোল ধরে নেবে আপনি বেআইনি ভাবে সাইটকে র্যাঙ্ক করাতে চাচ্ছেন। এজন্য ডুফলো ব্যাকলিঙ্কের পাশাপাশি কিছু নোফলো ব্যাকলিঙ্কও করতে হবে। বিভিন্ন এসইও এক্সপার্টদের মতে সাইটের জন্য ডুফলো ও নোফলো ব্যাকলিঙ্কের রেশিও ১০০:১৫ এর মত থাকা ভালো।
>> ইউজিং ডিজ্যাভো টুলঃ অনেক সময় কিছু লো কুয়ালিটি ব্যাকলিঙ্ক বা স্প্যামিং ব্যাকলিঙ্ক সাইটের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এসব ব্যাকলিঙ্কের পরিমান কয়েক হাজারও হয়। এসব ক্ষেত্রে ব্যাবলিঙ্কগুলো ডিলিট করাও কোন ভাবে সম্ভব হয় না।
এমন পরিস্থিতিতে ব্যাবহার করতে হবে গুগোল ডিজ্যাভো টুল। এটি এমন একটি টুল যেটি ব্যাবহারের মাধ্যমে আপনি গুগোলকে বলতে পারবেন কোন ব্যাকলিঙ্কগুলো কাউন্ট করবে আর কোন ব্যাকলিঙ্কগুলো করবে না। সাইটের জন্য ক্ষতিকর ব্যাকলিঙ্কগুলো চিন্হিত করে ডিজ্যাভো টুলের মাধ্যমে গুগোলকে কমান্ড দিতে হবে সেগুলো যেন কাউন্ট না করে। অর্থাৎ আপনি গুগোলকে বলতে পারছেন আপনি এই ব্যাকলিঙ্কগুলো চাচ্ছেন না। এতে ক্ষতিকর ব্যাকলিঙ্কগুলো সাইটে আর কোন প্রভাব ফেলতে পারবে না।
এখন বুঝতেই পারছেন এটি এসইও এর জন্য কতটা গুরুত্বপুর্ন একটা টুল। তাই এই টুলের সঠিক ব্যাবহার জানতে হবে।
>> সোশ্যাল সিগনালঃ ফেসবুক, গুগোল+, টুইটার, লিঙ্কড্ইন এবং এ ধরনের বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে মানুষজন যে লাইক, কমেন্ট, শেয়ার, ভোট, পিন ইত্যাদি করে এগুলোকে সোশ্যাল সিগনাল বলে। প্রথমে একটা কথা মনে রাখতে হবে, সোশ্যাল সিগনাল কোন র্যাঙ্কিং ফ্যাক্টর না তবে এটা সাইটের জন্য এমন কিছু কাজ করে যেটার ফলে গুগোল পান্ডা ও পেঙ্গুইন থেকে সাইটকে নিরাপদ রাখা যায়।
কোন সাইট সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে আলোচনা হলে গুগোল সেটাকে ভালো চোখে দেখে, গুগোল দেখবে মানুষজন আপনার সাইট নিয়ে আলাপ-আলোচনা করছে তার মানে আপনার সাইটটা ভালো মানের হতে পারে। তাছাড়া সোশ্যাল মিডিয়া সাইট থেকে প্রচুর ট্রাফিক নিজের সাইটে নিয়ে আসা যায়। আর সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন যে বিষয় সেটা হলো সোশ্যাল মিডিয়া সাইট থেকে রিটার্নিং ভিজিটর পাওয়া যায়, যেটা গুগোল এসইও এর জন্য খুবই গুরুত্বপুর্ন। তাই সাইটের সোশ্যাল সিগনাল বৃদ্ধি করার ব্যাপারে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে।
>> লিঙ্ক একচেঞ্জ, পেইড লিঙ্কঃ অন্য কোন সাইটের সাথে ব্যাকলিঙ্ক আদান-প্রদান করা অর্থাৎ নিজের সাইটে অন্য কোন সাইটের লিঙ্ক দেয়ার বিনিময়ে ওই সাইটে নিজের সাইটের লিঙ্ক দেয়াকে লিঙ্ক একচেঞ্জ বলে, আর পেইড লিঙ্ক হলো ক্রয়কৃত লিঙ্ক অর্থাৎ অর্থের বিনিময়ে কোন সাইটে ব্যাকলিঙ্ক করা। লিঙ্ক একচেঞ্জ এবং পেইড লিঙ্ক দু'টোকেই গুগোল অপছন্দ করে আর তাছাড়া ম্যাট কাটস্ তো বলেই দিয়েছে পেইড লিঙ্ক সাইটের জন্য ক্ষতিকর। তাই লিঙ্ক একচেঞ্জ করা এবং পেইড লিঙ্ক নেয়া দু'টো থেকেই সম্পুর্নরুপে বিরত থাকতে হবে।
>> এ্যাগ্রেসিভ লিঙ্কবিল্ডিং প্রসেসঃ সাইটের জন্য সময় নিয়ে লিঙ্কবিল্ডিং করতে হবে। এমন না যে, আপনার সাইটের জন্য রাতারাতি হাজার হাজার ব্যাকলিঙ্ক তৈরী করবেন। সময় নিয়ে ধীরে ধীরে লিঙ্কবিল্ডিং করা উচিৎ। আর একটা কথা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে, লিঙ্কবিল্ডিং করার জন্য কখনো কোন লিঙ্কবিল্ডিং সফ্টওয়্যার ব্যাবহার করা ঠিক নয়, সফ্টওয়্যার দিয়ে তৈরী করা ব্যাকলিঙ্কের মান খুবই খারাপ হয় যা পরবর্তিতে সাইটে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই ম্যানুয়্যালি লিঙ্কবিল্ডিং করাই বুদ্ধিমানের কাজ। তবে টিয়ার্ড লিঙ্কবিল্ডিং এর ক্ষেত্রে টিয়ার ৩ ব্যাকলিঙ্ক করার জন্য সফ্টওয়্যার ব্যাবহার করা যেতে পারে, অন্য ক্ষেত্রে ব্যাবহার করা ঠিক নয়। তাই এধরনের এ্যাগ্রেসিভ লিঙ্কবিল্ডিং করা থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে।
.
এই কৌশলগুলো যদি আপনি কোন সাইটে প্রয়োগ করতে পারেন তাহলে সেই সাইট অবশ্যই গুগোলে ভালো র্যাঙ্ক করতে সক্ষম হবে এবং পান্ডা ও পেঙ্গুইন আপডেট থেকে নিরাপদ থাকবে। এ পদ্ধতিতে সাইটকে গুগোলের প্রথম পেজে র্যাঙ্ক করাতে হয়তো কিছুটা বেশি সময় লাগবে কিন্তু সেই র্যাঙ্কিং হবে দীর্ঘস্থায়ি। এখানে যে কৌশলগুলো বলা হয়েছে এবং যেভাবে যা করতে বলা হয়েছে এগুলো হোয়াইট হ্যাট টেকনিক, এভাবে করলে সাইটে গুগোল পান্ডা বা পেঙ্গুইন এ্যাটাকের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে, আর যদি কখনো সাইট এ্যাটাকের শিকার বা পেনালাইজ হয়ও তাহলেও সেই সাইটকে খুব সহজেই রিকভার করা যাবে।
এ কৌশলগুলো ছাড়াও বিভিন্ন ব্লাকহ্যাট এসইও টেকনিক ব্যাবহার করে খুব সহজেই সাইটকে ভালো র্যাঙ্কিং এ আনা যায় কিন্তু সেই র্যাঙ্কিং হয় ক্ষনস্থায়ি, যেকোন মুহুর্তে সাইট পেনালাইজ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং এধরনের পেনালাইজ সাইট রিকভার করাও কঠিন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে তো সাইট রিকভার করা সম্ভবই হয় না। এজন্য অবশ্যই হোয়াইট হ্যাট টেকনিক ব্যাবহার করে এসইও করতে হবে। তাই এই কৌশলগুলো সাইটে প্রয়োগ করুন এবং সাইটকে পান্ডা ও পেঙ্গুইন এট্যাক থেকে নিরাপদ রাখুন।
.