ডমেইন এবং ওয়েব হোস্টিং নেবেন কি কি ফিচার দেখে? 0.01 পয়সা একটি হোস্টিং কিনুন....

         


ডমেইন এবং ওয়েব হোস্টিং নেবেন কি কি ফিচার দেখে?

ফ্রি ডমেইন, ফ্রি হোস্টিং এইসব অনেক আলোচনা হয়েছে। কিন্তু যারা ডমেইন এবং হোস্টিং কিনে ব্যবহার করতে চান, তারা কি কি ফিচার দেখে কিনবেন? আমি আজকে যা লিখতে চলেছি, সেইসব সাধারনত কোনো ওয়েবসাইটে লেখা পাবেন না। একান্তই ব্যবহারিক অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এই লেখা লিখতে চলেছি, এবং, এর সবটাই আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতা নাহলেও অনেক কাছে থেকে দেখা অন্যান্যদের সুবিধা ও অসুবিধা দেখেই এই লেখা। ফ্রি জিনিসের প্রতি মায়া তেমন হবেনা যেমনটা হবে নিজের কষ্টের টাকা দিয়ে কেনা জিনিসের প্রতি। তাই, প্রতিটি টাকার মূল্য যাতে সঠিকভাবে আপনি পান, তা আপনি নিশ্চয় চাইবেন? বিনামূল্যের জিনিস, তার ফিচার পছন্দ নাহলেই তা বদলে ফেলা যাবে, ছেড়ে দেওয়া যাবে, কিন্তু একবার টাকা দিয়ে কেনা মানে সাধারনত সেটা এক বছরের জন্য, মাঝে ছেড়ে দেওয়ার অর্থ নিজের টাকা অপচয় হওয়া।
প্রথমেই আসি ডমেইনের কথায়। ইন্টারনেটে অনেক নামীদামী ডমেইন বিক্রেতা আছেন, তাদের কাছে থেকে ক্রেডিট কার্ড দিয়ে কিনবেন? নাকি আপনার স্থানীয় বিক্রেতার কাছে থেকে ক্যাশ টাকা দিয়ে কিনবেন? তফাৎ কি? তফাৎ অবশ্যই আছে! ডমেইন সিকিউরিটির ক্ষেত্রে এটা কাজে দেবে অনেক। ধরুন আপনার জনপ্রিয় ডমেইন হ্যাক করে নিলো কেউ এবং সেটা ট্র্যান্সফার করে নিল তার একাউন্টে, সেই ডমেইন ফেরত পেতে অনেক ঝামেলা হতে পারে যদি সেই ডমেইন ক্রেডিট কার্ড দিয়ে নিজে কিনে থাকেন। প্রথমেই ডমেইন রেজিস্ট্রারের সাথে যোগাযোগ করা, তাকে সম্পূর্ণ ব্যাপারটা ইমেইলে জানানো, এর পরে ফোনে সরাসরি কথা বলতে হতে পারে – ISD বিলের কথা মাথায় রাখবেন। এর পরে নিজের আইডেন্টিটি প্রমাণের ব্যাপার আছে। ক্রেডিট কার্ড নিজের নামে নাহয়ে পরিবারের কারো নামে কিম্বা বন্ধুবান্ধবের নামে হলেই কেলেঙ্কারি, তাদেরকে নিয়ে টানাটানি, তারা ভেইফাই না করলে ডমেইন ফেরত পাবেন না।
এইসব ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকতে হলে স্থানীয় বিক্রেতার কাছে থেকেই কেনা ভালো। তারাও হয়তো তাদের ক্রেডিট কার্ড দিয়েই কেনে, আপনি যেখান থেকে কিনবেন তারাও হয়তো সেখান থেকেই কেনে, কিন্তু তার পরেও তারা হচ্ছে রিসেলার এজেন্ট, কোম্পানীর সাথে আপনার চেয়ে তাদের আরও কাছের যোগাযোগ, ব্যবসায়িক সম্পর্কের ভিত্তিতে তারা অনেক সহজেই আপনার ডমেইন আপনাকে ফেরত এনে দিতে পারবে। যেহেতু স্থানীয়, তাই তারা আপনাকে চিনবে, আইডেন্টিটি প্রমাণের প্রশ্ন আসবেনা। তাই, আমি বলবো যে ডমেইন স্থানীয় বিক্রেতার কাছে থেকেই কেনা ভালো।
এবারে আসছি হোস্টিংয়ের কথায়। স্থানীয় বিক্রেতার কাছে হোস্টিং কেনা অনেক ব্যয়সাধ্য ব্যাপার। তাই, হোস্টিং কিনতে পারেন ক্রেডিট কার্ড দিয়ে, পেপাল দিয়ে ইত্যাদি। কিন্তু কি কি ফিচার আপনার প্রয়োজন? তালিকায় অনেক কিছুই লেখা থাকে, সব কি আপনার দরকার? তালিকায় লেখা প্রচুর ফিচার দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়ে হোস্টিং না কেনাই ভালো। আবার এও ঠিক যে তালিকায় লেখা অনেক ফিচার আপনার অসুবিধার সৃষ্টি করতে পারে ভবিষ্যতে। আসুন জেনে নিই?
আপনি কি একটি ব্যাক্তিগত ওয়েবসাইট বানাতে চান? সেক্ষেত্রে তথাকথিত ‘আনলিমিটেড’ হোস্টিং আপনারএকেবারেই প্রয়োজন নেই। কম টাকায় পেয়ে গেলেও তাতে কিই বা হোস্টিং করবেন যাতে ‘আনলিমিটেড’ স্পেস লাগতে পারে? কারন আপনি প্রচুর পরিমানে অডিও/ভিডিও আপলোড করতে পারবেন না। সার্ভারে MP3 রেখে দেওয়া যেতে পারে, কিন্তু সেইসব ডাউনলোডের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া কিন্তু বেআইনি। কপিরাইটের ঝামেলা আছে। আপনি গানবাজনার সাথে যুক্ত হলে আপনার নিজস্ব মিউজিক ফাইলগুলি রাখার ক্ষেত্রেও আগে জিজ্ঞেস করে নেবেন, অনেক হোস্টিং বিক্রেতা তাদের terms & conditions’এ লিখেই দেন যে বহু পরিমানে মিডিয়া ফাইল লোড করে রাখা যাবেনা। ব্যাক্তিগত কিছু ভিডিও নিশ্চয় রাখতে পারেন, তাও কতোখানি, সেটা জিজ্ঞেস করে নেবেন সাপোর্টে ইমেইল করে।
আপনি কি বানিজ্যিক ওয়েবসাইট কিম্বা ফোরাম কিম্বা গ্রুপ ব্লগিং ওয়েবসাইট বানাতে চান? এক্ষেত্রেও আমি বলবো যে আনলিমিটেড হোস্টিংয়ের প্রয়োজন নেই। Bandwidth সেখানে বেশি জরুরী জিনিস। আমি কয়েকদিন আগে একটি হোস্টিং কোম্পানীর ওয়েবসাইটে দেখছিলাম তারা লিখেছে “storing unusual quantity of media files is not allowed”, এই ‘unusual quantity’ তাহলে কতোখানি? আরেকটি হোস্টিং কোম্পানীর ওয়েবসাইটে পড়লাম যে “MySQL database Unlimited (200MB)” – অবস্থা বুঝতে পারছেন? একদিকে লেখা আনলিমিটেড, কিন্তু ব্র্যাকেটে লেখা ২০০ মেগাবাইট। সাপোর্টে ইমেইল করে জানলাম যে এখানে Unlimited মানে অগনিত সংখ্যায় ডেটাবেস বানাতে পারলেও এক একটির সাইজ যেন 200MB পার না করে! সুতরাং এইসব জেনে নেবেন। ফোরাম কিম্বা গ্রুপ ব্লগিং ওয়েবসাইটে ডেটাবেস সাইজ কিন্তু বাড়বে। আবার Bandwidth বিষয়টিও মাথায় রাখবেন। অনেক কোম্পানীই লেখে আনলিমিটেড। কিন্তু এখানে লেখার মধ্যে সামান্য কারিগরির ব্যাপার আছে।
ঢাকার এক গ্রাহক এই অসুবিধার মধ্যে পড়েছিলো। জটিল এক সমস্যা। তার bandwidth unlimited, কিন্তু নামী এক ওয়েবসাইট তার সাথে লিঙ্ক করার সঙ্গে সঙ্গে তার ওয়েবসাইটে প্রতি মিনিটে প্রায় ১০,০০০ করে পাঠক আসছিল। পাঁচ মিনিটের মধ্যেই আমি দেখলাম ৬০,০০০ ভিজিটার ছাড়িয়েছে! ব্যাস, এর পরে মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে তার হোস্টিং একাউন্ট সাসপেন্ড হল। কেন? কোম্পানী জানালো যে এতো সংখ্যায় ভিজিটার আসলে সেক্ষেত্রে যেন বিজনেস হোস্টিং নেওয়া হয়, নয়তো ডেডিকেটেড সার্ভার নেওয়া হয়। যে ওয়েবসাইট তার সাথে লিঙ্ক করেছিল তাদের ভিজিটার দিনে প্রায় ১০ লাখের উপরে (ইউনিক + রিটার্নিং মিলিয়ে), একটি পথ দুর্ঘটনার কিছু ছবি, তারা নিজেরা সেইসব ভয়ঙ্কর ছবি প্রকাশ করতে চায়না বলে এই ওয়েবসাইটে লিঙ্ক করে দিয়েছিল, তাই পাঠকরা সেইসব ছবি দেখতেই ভীড় করেছিলো।
ভাবতে পারছেন? একদিন সারাদিন যদি এইভাবে পাঠক আসতো, তাহলে তার পেজ র‌্যাঙ্ক কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়? আর গুগল এডসেন্সে কতো আয় হতে পারতো? কিন্তু সে এই লাভ তুলতেই পারলোনা তার হোস্টিং কোম্পানীর কারনে, নাম জানতে চান সেই হোস্টিং কোম্পানীর? Namecheap.com! বিনা নোটিসেই হোস্টিং সাসপেন্ড করে দিলো তারা। সুতরাং এই অবস্থায় যেন না পড়েন, তাই কেনার আগেই সাপোর্টে এইসব প্রয়োজনীয় কথা বলে নেবেন। ফোরাম কিম্বা গ্রুপ ব্লগিং ওয়েবসাইট বানান, কিম্বা ব্যাক্তিগত, আপনি তো জানেন না কালকে কোনো জনপ্রিয় ওয়েবসাইট আপনার সাথে লিঙ্ক করবে কিনা? আপনি তো জানেন না লিঙ্ক নাহলেও এমনিতেই কতো ইউজার আসতে পারে? জেনে নেবেন প্রতি মিনিটে কতো ভিজিটার হোস্টিং কোম্পানী মেনে নেবেন। Shared hosting অবশ্যই সীমা আছে, এর পরে বেশি দাম দিয়ে VPS/VDS কিম্বা Dedicated server কিনতে হতে পারে।
কেন Shared hosting’এ কিছু সীমা বেঁধে দেওয়া আছে? তার কারন শুধু আপনার একলার ওয়েবসাইট তাতে চলেনা, আরও অন্য অনেক গ্রাহকের ওয়েবসাইট চলে সেখানে। তাই কারো যেন অসুবিধা নাহয়, সার্ভার যেন ধীরগতির নাহয়ে যায়, সার্ভার যেন ডাউন না যায় এইসব নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই নানারকমের বিধিনিষেধ আরোপ করা থাকে। সার্ভারে যদি এমন কোনো স্ক্রিপ্ট চালাতে চান যেটা অনেক মেমোরি কনজিউম করবে, সেক্ষেত্রেও কিন্তু বিধিনিষেধ আছে।
VPS/VDS কিনলেও যে খুব সুবিধা পেয়ে যাবেন তা নাও হতে পারে। সেটা নির্ভর করবে সেই সার্ভারের RAM, Processor (Single or Dual or Quad processor) ইত্যাদি অনেক কিছুর উপরে। ভারী ধরনের ওয়েবসাইট বানাতে হলে বুঝেশুনে ভালো কনফিগারেশানের ডেডিকেটেড সার্ভার নিতে হবে। সেই সার্ভারের ইন্টারনেট গেটওয়ে কেমন, কোন নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত, সার্ভারের ডেটাসেন্টার কোন দেশে, তার পিং স্পিড কতো, আপটাইম কেমন সেইসব জেনে নেওয়াও জরুরী। একজন দায়িত্ববান ওয়েবমাস্টার হতে গেলে এইসব জানা নিতান্তই জরুরী।
সাত পাঁচ না ভেবেই শুরু করে দিলে পরে আপনার সব হোস্টিং ফাইল অন্য হোস্টে সরানোর ঝামেলা পোহাতে হতে পারে। তাই আগে থেকেই সাবধানে এবং বুঝেশুনে শুরু করা ভালো। এতে নিজের টাকার সঠিক মূল্য পাবেন, দায়িত্ববান ওয়েবমাস্টার হয়ে উঠতে পারবেন, সার্চ ইঞ্জিনেও র‌্যাঙ্ক ধরে রাখতে সক্ষম হবেন।
 
 

ওয়ার্ডপ্রেস না গুগল ব্লগার, কোনটা বেশি ভালো

প্রিয় পাঠকগণ সবার মন মেজাজ ভাল তো৷ বেশ কিছুদিন হলে একটা প্রশ্ন শুনতেছি নতুন ব্লগারদের কাছে থেকে, প্রশ্নটা হল কোন ব্লগ সাইটটা বেশি ভাল বা আমার নতুন ব্লগ তৈরী করার সময় আমি কোন ফ্রি ব্লগটি আগে বেছে নিব। এটা তাদের একটা মূল সমস্যা হয়ে আছে। তাই আজ আপনাদের এর সহজ সমাধানটা দিব আমি কিছু বৈশিষ্ট্যের তুলনার মাধ্যমে। অনেকেই নতুন ব্লগ তৈরী করার সময় কনফিউস্‌ড হয়ে পড়েন, কোন সাইটে খুলব তা নিয়ে। ফ্রি ব্লগ সাইট তৈরির জন্য প্রধানত এই দুইটা সাইট সবার প্রথম পছন্দ হ।
একটা হল গুগোলের তৈরী Blogger.comআর, আরেকটা হল ওয়ার্ডপ্রেসের তৈরী wordpress.comআর এই দুইটা সাইট নিয়েই যতসব কনফিউশন।
আসুন দেখে নেয়া যাক ওয়ার্ডপ্রেস এবং ব্লগস্পটের সুবিধা এবং অসুবিধাগুলো:
ওয়ার্ডপ্রেস: wordpress.com একটি ফ্রি ওয়েব হোস্টিং সাইট। এই সাইটে নিজের ফ্রি ব্লগ তৈরী করা খুব সহজ। শুধু সাইটে গিয়ে ফ্রি রেজিষ্ট্রেশন করলেই চলে। এছাড়াও ওয়ার্ডপ্রেসের আরেকটা সার্ভিস আছে যা হচ্ছে CMS (Content Management System)

ওয়ার্ডপ্রেসের সুবিধাসমূহ:

  • ওয়ার্ডপ্রেসের জন্য আপনি বিভিন্ন ধরনের হাইকোয়ালিটি থীম পাবেন যার মাধ্যমে আপনি একটি ভালো প্রফেশনালমানের সাইট তৈরী করতে পারবেন।
  • ওয়ার্ডপ্রেসের ফ্রি ব্লগে কাজ করলে আপনি যদি পরবর্তীতে নিজস্ব সাইটে ওয়ার্ডপ্রেস CMS ব্যবহার করলে তা সহজে বুঝতে পাড়বেন।
  • এখানে আপনি গুগোল এডসেন্সের এ্যাড ব্যবহার করেও অর্থ আয় করতে পারবেন।
  • এখানে আপনি ছবি, ভিডিও, অডিও সহ বিভিন্ন ধরনের ফাইল আপলোড করে রাখতে পাড়েন।

ওয়ার্ডপ্রেসের অসুবিধা:

এখন ওয়ার্ডপ্রেসের অসুবিধার কথাগুলো বলি। প্রফেশনালী কাজ করতে গেলে ওয়ার্ডপ্রেস.কম এ অনেক অসুবিধা আছে। কারন, যারা ব্লগ তৈরী করেন তারা মোটামোটি একটা আয়ের কথা ভেবেই সাইট তৈরী করেন। আর, ব্লগে আয়ের ক্ষেত্রে গুগল এডসেন্সই সবচেয়ে জনপ্রিয়তা বেশি। আর এখানে মূল সমস্যাটাই হল গুগোল এডসেন্স। আসলে, ওয়ার্ডপ্রেস.কম এ গুগোল এডসেন্স পাওয়া অনেক কঠিন একটা বিষয়। এখানে এডসেন্স পেতে হলে দুইটা শর্ত আছে। প্রথম শর্ত হচ্ছে আপনার ব্লগ-সাইটে মাসের পেজ ভিউ ৩০,০০০ হতে হবে যা প্রথম অবস্থায় অসম্ভব। অন্য শর্তটি হচ্ছে এডসেন্স থেকে প্রাপ্ত আয়ের অর্ধেকটাই দিতে হবে ওয়ার্ডপ্রেস কর্তৃপক্ষকে। কি কথাটা শুনে একটু ধাক্কা লাগলো তাই না? তাই আমি মনে করি এই ব্লগটি পারসোনাল কাজের জন্যই ভালো, এখানে আর্নিং এর কথাটা মাথায় না রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ।

ব্লগস্পট:


blogger.com গুগোলের একটি ফ্রি ওয়েব হোস্টিং সার্ভিস। এখানেও আপনি ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরী করতে পাড়বেন। কিন্তু এখানে ওয়ার্ডপ্রেস.কম এর মতো ততটা সুবিধা পাবেন না

ব্লগারের সুবিধা:

  • ব্লগারে আপনি ফ্রি ওয়েব সাইট তৈরী করে ভালভাবে এস.ই.ও করতে পাড়লে অনেক ভিজিটর পাবেন এবং ভাল পি.আর ও পেতে পারেন।
  • ভালোমানের পোস্ট ও ইউনিক কন্টেন্ট থাকলে ব্লগার থেকে আপনি সহজে ও কম পরিশ্রমেই গুগোল এডসেন্স পেতে পাড়েন। তবে তা হবে এডসেন্সের কন্ডিশন অনুযায়ী।
  • এখানেও অনেক ভাল ব্লগ থিমস পাওয়া যায়। যা দিয়ে আপনি সহজেই আপনার সাইটটিকে আরো দৃষ্টিনন্দনভাবে তৈরী করতে পারবেন।
ওয়ার্ডপ্রেসের মত ব্লগারে এত বেশী অসুবিধা নাই। তাই আমার পরামর্শ হল আপনাদের মধ্যে যারা প্রোফেশনালী ফ্রি ব্লগে কাজ করতে চান তাদের জন্যই ব্লগার। এখন আপনার পালা আপনিই ভেবে নিন যে কোনটা কিভাবে ব্যবহার  করবেন। আর সামনের দিন থেকে দেখানো হবে গুগল ব্লগে কিভাবে একটি সম্পূর্ণ ফ্রি ব্লগসাইট খোলা যায়।

আয় করুন এডসেন্স এর বিকল্প জনপ্রিয় বিজ্ঞাপন ব্যবস্থা রিভেনুহিটস থেকে in অনলাইনে উপার্জন, এডসেন্স এর বিকল্প

 যাদের ওয়েবসাইট বা ব্লোগ রয়েছে তাদের প্রথম পছন্দ গুগল এডসেন্স।গুগল এডসেন্স খুব ভাল একটি বিজ্ঞাপন ব্যবস্থা।এর ক্লিক রেট অনেক বেশী।যদি আপনার একটি ভাল মানের ওয়েবসাইট বা ব্লোগ থাকে যা গুগল এডসেন্স এর ভাষা সাপোর্ট করে,বিভিন্ন দেশের ভিজিটরের আগমন ঘটে বিশেষ করে উন্নত দেশগুলো থেকে,দামি মানের কিওয়ার্ড ঠিক ঠিক জায়গামত থাকে, মোটামুটি দিনে ১০০০+ ইউনিক ভিজিটর আপনার সাইট ভিজিট করে এবং এড ঠিকমত সেটআপ দিতে পারেন এতেই আপনাকে আটকানো যাবে না।গুগল এডসেন্স এমনই একটি বিজ্ঞাপন ব্যবস্থা!!!!!

কিন্তু সমস্যা অনেক!!!কোন দুর্বল মার্কা ওয়েবসাইট বা ব্লোগ হলে সে ওয়েবসাইট বা ব্লোগ দিয়ে গুগল এডসেন্স পাওয়াই যাবে না।যদি একটু বুদ্ধি খাটানো যায় তাহলে হয়ত প্রথমবারের মত ইউটিউব দিয়ে এডসেন্স পাওয়া যেতে পারে।কিন্তু ব্যবহার করবেন কোথায় সেই দুর্বল মার্কাতেই তো তাইনা!!! তাহলে তো আপনার দুঃখ আরও বেড়ে যাবে,কষ্ট করে পাওয়া এডসেন্স ব্যান হয়ে যেতে পারে।গুগল এডসেন্স যদি আপনাকে দয়ার চোখে না দেখে তাহলে অবশ্যই কিছু কারন পেলেই আপনার একাউন্ট ব্যান হয়ে যেতে পারে।

  1. ইচ্ছায় ,অনিচ্ছায়,ভুলে,লোভে পড়ে,টেস্ট করতে অথবা অন্য কোন কারনে নিজের এডে নিজে ক্লিক করলে।

  2. অন্যের জিনিস কপি করে নিজের ব্লোগ বা ওয়েবসাইটে ব্যবহার করা শুরু করলে।অথবা কপিরাইট ভঙ্গ করলে।

  3. পর্ন জাতীয় কনটেন্ট,পিকচার,ফটো,ভিডিও এ জাতীয় কিছু পেলে।


তাদের রয়েছে জটিল কঠিন সব নীতিমালা।এসমস্ত কারনে সবার পক্ষে এডসেন্স ব্যবহার করা হয় না।বিশেষ করে বাংলা ওয়েবসাইট বা ব্লোগ গুলো এ ক্ষেত্রে একপ্রকার নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।তাই সবাই ছুটাছুটি করছে বিকল্প ব্যবস্থা তালাশ করার জন্য।এডসেন্স এর হাজারো বিকল্প আছে কিন্তু কাজের কাজ হয় না, মানে ভাল বিকল্প নয়।কোনটার এড সাইজ ভাল না,কোনটার পেমেন্ট সিস্টেম ভাল না,কোনটার ওপর বিশ্বাস আনাই মুশকিল(যেমন-Amaderad.com নামের একটি বিজ্ঞাপন ব্যবস্থা সবাইকে ধোকা দিয়ে পালিয়েছে ময়দান থেকে)


রিভেনুহিটস(আশার আলো)
বর্তমান সময়ে যে বিজ্ঞাপন ব্যবস্থা গুগল এডসেন্স এর প্রধান বিকল্প হিসাবে কাজ করে যাচ্ছে তা হল রিভেনুহিটস ডট কম।সবদিক থেকেই উন্নত মানের সেবা।মনে হয় আশার আলো নিয়ে এসেছে এই এড নেটওয়ার্কটি।বিশেষ করে বাংলা ভাষায় পরিচালিত ওয়েবসাইট বা ব্লোগ গুলোর জন্য।

রিভেনুহিটস এর জন্য কেমন ওয়েবসাইট দরকার?
  • রিভেনুহিটস যে কোন ধরনের ওয়েবসাইট বা ব্লোগের জন্য এড দিয়ে থাকে তাদের কোন কঠিন নিয়ম নেই।এডসেন্স কপি-পেস্ট ব্লোগ বা ওয়েবসাইট,পর্ন রিলেটেড ওয়েবসাইট সাপোর্ট করে না কিন্তু রিভেনুহিটস এসবে সমস্যা করে না।
  • এছাড়াও এডসেন্স এ ব্লোগ কিংবা ওয়েবের বয়স বাধা হয়ে দাড়ায়, নতুন ব্লোগ বা ওয়েবসাইট তারা গ্রহন করে না কিন্তু রিভেনুহিটস যে কোন ব্লোগ বা ওয়েবসাইটকেই সাদরে গ্রহন করে।
কিসের মাধ্যমে পেমেন্ট নেয়া যায়?
  • ১.পেপল। ২.পেওনিয়ার। ৩.ব্যাংক চেক।

সর্বনিম্ন কত ডলার হলে পেমেন্ট নেয়া যায়?
  • আপনার একাউন্টে সর্বনিম্ন ২০ ডলার হলে পেপল অথবা পেওনিয়ারে পেমেন্ট নিতে পারবেন।আর সর্বনিম্ন ৫০০ ডলার হলে ব্যাংক চেক নিতে পারবেন।


রিভেনুহিটস অন্য এড ব্যবহার করতে দেয় কি না?
  • রিভেনুহিটস ব্যবহার করার পাশাপাশি একই ব্লোগ বা ওয়েবসাইটে অন্য বিজ্ঞাপন কোম্পানির এড বা বিজ্ঞাপন ব্যবহার করা যায় এতে কোন ধরনের সমস্যা হয় না।
তাদের এড সিস্টেম কেমন?
  • তাদের এড সিস্টেম অনেক সুন্দর।তাদের বিভিন্ন সাইজের ব্যানার এড রয়েছে।
  • এছাড়া ৭২৮*৯০ এবং ৪৬৮*৬০ সাইজের অটো ফুটার এড রয়েছে।
  • তারা ডেস্কটপ এবং মোবাইল উভয় ধরনের এড তৈরির ব্যবস্থা রেখেছে।
  • এছাড়াও পপআনডার,শাডোবস্ক,স্লাইডার সহ বিভিন্ন ধরনের নিত্যনতুন পদ্ধতির বিজ্ঞাপন ব্যবস্থা রয়েছে তাদের।

 কিছু আলাদা সুবিধা যা এডসেন্স এর জন্য অসুবিধা:
  • এডসেন্স এ পিন ভেরিফাই করতে হয় যা বহু দিন সময় নেয়।রেভিনিউহিটস পিন বেরিফাই করে না।
  • এডসেন্স ফেক বা আনভেলিড ভিজিটর অথবা ক্লিক এর জন্য পে করে না বরং উল্টো ব্যান করে দেয়।রিভেনুহিটস এ বিষয়ে কোন ঝামেলা করে না।
  • ভুলে এডসেন্স এর কোন আইন না মানা হলে তারা সারা জীবনের জন্য একাউন্ট ব্যান করে দেয়।কিন্তু রিভেনুহিটস তা করে না।
 রিভেনুহিটস এর ব্যতিক্রম নিয়ম:
  • রিভেনুহিটস এর একটা ব্যতিক্রম নিয়ম আছে তা হল দুদিন পরে তারা আর্নিং রিপোর্ট দেখায়।মানে হল আজকে প্রথম আপনি রিভেনুহিটস এ একাউন্ট খুলে আপনার ওয়েবসাইট কিংবা ব্লোগে এড বসালেন, কালকে রিভেনুহিটস এর একাউন্টে লগিন করলেন কত জমা হয়েছে দেখতে কিন্তু ইম্প্রেশন,ক্লিক,সিটিআর সবই দেখতে পেলেন কিন্তু রেভিনিউ নেই,রেভিনিউ দেখতে পেলেন আরও একদিন পর।
  • অনেকে আছে এটা বুঝতে না পেরে মনে করে এতগুলো ইম্প্রেশন,ক্লিক হল কিন্তু আর্ন নেই!আসলে দুদিন পরপর এটা দেখা যায়।
কিরকম আয় হতে পারে?
  • ধরুন আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লোগে থেকে দৈনিক২০০০ ভিজিটর আসে এবং ৬০০০ এর মত ইম্প্রেশন হয়।যদি সিপিএম রেইট ভাল হয় তাহলে দৈনিক ৫-৭ ডলারের মত ইনকাম হতে পারে।তাহলে মাসে ৫*৩০=১৫০ ডলার অর্থাৎ ১২,০০০ টাকা।কারও ক্ষেত্রে কম হতে পারে আবার কারও ক্ষেত্রে বেশী হতে পারে।এটা বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে যেমন- সিপিএম রেইট,দেশভিত্তিক ভিজিটর,হাই পেয়িং কিওয়ার্ড ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে।

নিচে ব্লোগার Servando So Yong Silva Sohn এর ইনকাম এর পেমেন্ট প্রুফ দেয়া হল:

রেভিনিউহিটস এ একাউন্ট খুলতে এখানে ক্লিক করুন
এরপর Sign Up অথবা Join Now বাটনে ক্লিক করে ভালভাবে ফর্ম পূরন করুন।
ধন্যবাদ সময় দিয়ে পড়ার জন্য।


লাল শাক Red Amaramth: 1


লাল শাক  অথবা Red Amaramth

লাল শাক  অথবা Red Amaramth




আমাদের বাংলাদেশে লাল শাক একটি জনপ্রিয় সুস্বাদু শাকএর ইংরেজি নাম হচ্ছে Red amaramth এবং বৈজ্ঞানিক নাম Anaranthus oleraceus.  আমাদের বাংলাদেশে প্রায় অঞ্চলেই কম বেশি লাল শাকের চাষ হয় করা হয়রান্না করার পর শাকের রং গাঢ় লাল রঙ হয়ে যায়আমাদের এ দেশে অনেক জায়গায় লাল শাক এখন বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ ও বাজারজাত করা হচ্ছে  একজন বেকার নারী অথবা পুরুষ নিজের কর্মসংস্থান ব্যবস্থার জন্য নিজের জমিতে অথবা বর্গা নেওয়া জমিতে লাল শাক চাষ করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন

লাল শাকের পুষ্টিগুণ

লাল শাকে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ, বি, সি এবং ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়

লাল শাকের বাজার সম্ভাবনা

লাল শাক অনেক সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর তাই ছোট-বড় সবাই লাল শাক পছন্দ করেযেহেতু লাল শাকের চাহিদা মোটামটি সবার কাছেই আছে তাই লাল শাক চাষ করে পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে তার পাশাপাশি অতিরিক্ত উৎপাদন বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করাও সম্ভব হয়

উৎপাদন কৌশল

জাত
  •  বাংলাদেশে বারি লালশাক-১ জাতের শাক চাষ ১৯৯৬ সালে অনুমোদন করা হয়েছে 
  •  এই শাকের পাতার বোটা ও কান্ড নরম এবং উজ্জ্বল লাল রঙের হয়ে থাকে  
  •  প্রতি গাছে পনেরো থেকে বিষ টি পাতা থাকে
  •  গাছের উচ্চতা ২৫ থেকে ৩৫ সে.মি. এবং ওজন ১০ থেকে ১৫ গ্রাম হয়ে থাকে 
  •  এ শাকের ফুলের রঙ লাল এবং বীজ গোলাকার হয়ে থাকে
  •  বীজের উপরিভাগে কালো ও কিছুটা লাল দাগ মেশানো থাকে


তথ্যসূত্র : কৃষি প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল, জুন ২০০৭, Microfinance  for Marginal and Small Farmers (MFMSF) Project, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট সেল-১, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ), ঢাকা 



 চাষের উপযোগী পরিবেশ ও মাটি

জলবায়ুমাটির প্রকৃতি
সারাবছরই লালশাক চাষ করা যায়। তবে শীতের শুরুতে লাল শাকের ফলন বেশি হয়।প্রায় সব ধরণের মাটিতেই সারা বছর বারি লাল শাক-১ এর চাষ করা হয়। তবে দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটি লাল শাক চাষের জন্য সবচেয়ে ভালো।


পরবর্তী পোস্ট পেতে নিয়মিত Visit করুন www.bdwrite.com 


স্বপ্নপুরী পার্ক. Sopno Puri Park

স্বপ্নপুরী পার্ক দিনাজপুর 


স্বপ্নপুরী পার্ক

বন্ধুরা আজ আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেব বাংলাদেশের অন্যতম দর্শনীয় স্থান দিনাজপুরের পার্ক স্বপ্ন পুরী।
দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার সদর থেকে পনের কিলোমিটার উত্তর দিকে কুশদহ ইউনিয়ন পরিষদের অধীন খালিকপুর মৌজায় বিশাল জায়গা জুড়ে স্বপ্নপুরী অবস্থিত। ব্যক্তিগত উদ্যোগে ১৯৮৯ খৃষ্টাব্দ থেকে স্বপ্নপুরীর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। আর বর্তমানে স্বপ্নপুরী বাংলাদেশের মানুষের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। চিড়িয়াখানা, কৃত্রিম চিড়িয়াখানা, কৃত্রিম মৎস্য জগৎ অনেক সুন্প্রাদর কৃতিক দৃশ্যবলি এবং রেস্টুরেন্ট সহ বিভিন্ন বিনোদন সুবিধা নিয়ে পার্কটি গঠিত হয়েছে।তাছাড়া এখানে রাত্রি যাপনের জন্য রয়েছে দশটি ভিআইপি রেস্ট হাউজ, চোদ্দটি  মধ্যম শ্রেণীর রেস্ট হাউজ ও আটটি  অন্যান্য রেস্ট হাউজ। মূল গেটে দুটি পরী আকাশের দিকে হাত তুলে আপনাকে স্বাগত জানাবে, যা সত্যিই মনকে আন্দোলিত করে তুলবে।

সুবিশাল এলাকা জোরে , তুলনাহীন প্রাকৃতিক  পরিবেশ। সম্পূর্ণ এলাকা জুড়ে আছে বিভিন্ন প্রকার গোলাপ,
চন্দ্রমল্লিকা, ডালিয়া, রজনীগন্ধা, কসমস, লিলি,  গ্লোবাল,  গাদা-সূর্যমুখী সহ ইত্যাদি ফুল। আরও রয়েছে বিভিন্ন প্রকার ঝাউগাছ, ইপিলইপিল,ওইপেং,  ক্রিসমাসট্রি, ক্যাকটাস,  ঘনসবুজ ঘাসে ঘেরা বাগানের গাছের ডালে বসেছে হাজারো রকম পাখির মেলা, যা হাজারো প্রকৃতি প্রেমিক  পর্যটক ও পরিব্রাজকদের মনোরঞ্জন এবং বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম হতে পারে।
শিক্ষামূলক ভ্রমণ স্বপ্নপুরী পর্যটন কেন্দ্র ছাত্রছাত্রীদের জন্য ভিন্ন মাত্রায় সজ্জিত। যার প্রমাণ স্বপ্নপুরীতে রয়েছে। যেমন শিশু পার্ক, জীবন্ত এবং কৃত্রিম চিড়িয়াখানা সহ অনেক কিছু।
sopnopuri


স্বপ্ন পুরী আছে পর্যটকদের নামাজ পড়ার মসজিদ এবং কারুকার্যময় অজুখানা। আরও আছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ও জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের ভাস্কর্য। চোখে স্বাপ্নিক বিস্ময়তা আর অন্তরে মুগ্ধতা নিয়ে স্বপ্নপুরীর লেকে স্পিড বোটে জলবিহারে মেতে ওঠার আছে । লেকের ওপরে তৈরি করা হয়েছে কেবল কার। পর্যটকদের গোসল করার জন্য রংতুলি দিয়ে আকার মত শাপলা ঘাট। সুবিশাল স্বপ্নপুরীর স্থানে স্থানে আছে  অনেক সুন্দর সুন্দর বিশ্রাম ছাউনি। এ যেন নিপুণ হাতের পরশে বাগ-বাগিচার সৌন্দর্যে পেয়েছে নতুনরূপ। এসব বাগান মন-মনকে করে তোলে আকাশচারী ও স্বপ্নময়। স্বপ্নপুরীর রাস্তাগুলো একেকটি একেক রকম। একটি রাস্তার দুই পাশে উদ্বাহু হংসমিথুনের দল। আরেকটি রাস্তার দু’পাশে মাছ আকৃতির ফুলের টপ দিয়ে সাজানো হয়েছে। কৃত্রিম চিড়িয়াখানায় প্রবেশের করার জন্য তৈরি করা হয়েছে চোখ ধাঁধানো রাস্তা। জীবন্ত চিড়িয়াখানায় প্রবেশের প্রধান ফটকটিতে রয়েছে বাংলার ঐতিহ্য, বিশ্বখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মুখাকৃতির এ ফটক পর্যটকদের শিহরিত করে তুলতে সদা প্রস্তুত।


 সব কিছু  মিলিয়ে বলা যায়, যে কোন পর্যটক যদি একবার স্বপ্নপুরীতে যান তাহলে সত্যিই আপনি স্বপ্নের মাঝে হারিয়ে যাবেন। নিজেকে পশ্ন করবেন, এটা আমি কোন জগতে এসেছি নাকি ঘুমের ঘরে স্বপ্ন দেখতেছি।

স্বপ্ন পরিতে প্রবেশ মূল্য বাস-মিনিবাস (যাত্রীসহ) চারশত টাকা। মাইক্রোবাস-পিকআপ (যাত্রীসহ) দুইশত টাকা। কার-জিপ টেক্সিক্যাব যাত্রীসহ একশত টাকা। গাড়ি ছাড়া গেলে জনপ্রতি বিশ টাকা।
স্বপ্নপুরীর বাংলো ভাড়া নীলপরী তিনশত টাকা (প্রতি ডবল রুম), রজনীগন্ধা চারশত টাকা(প্রতি ডবল রুম), নিশি পদ্ম পনেরশ টাকা (তিন রুমসহ বাংলো), চাঁদনী পাচশত টাকা (প্রতি ডবল রুম), সন্ধ্যা তারা আকশ থেকে তেরশ টাকা (প্রতি ডবল নন এসি ও এসি রুম) 
বিঃ দ্রঃ সময়ের সাথে মূল্য কম বেশি হতে পারে। 

রাজধানী ঢাকা থেকে বুকিং ব্যবস্থাঃ
 ঢাকা থেকেও স্বপ্নপুরীর মোটেল বা বাংলো বুকিংয়ের সুবিধা আছে। ঠিকানা : হোটেলের সফিনা, ১৫২ হাজী ওসমান গনি রোড, আলুবাজার ঢাকা। ফোন : ৯৫৫৪৬৩০-৯৫৬২১৩০।

স্বপ্নপুরীতে রয়েছে খুব কম দামে খাবারের ব্যবস্থা : ভাত, সবজি, ডাল পনের টাকা, ভাত, সবজি, মাছ, ডাল বিষ টাকা ও ভাত, সবজি মুরগি, ডাল ৩০ টাকা।
বিঃ দ্রঃ সময়ের সাথে মূল্য কম বেশি হতে পারে। 
এছাড়াও স্বপ্নপুরীর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা পর্যটন সুবিধা দিতে একটি আধুনিক হোটেল, চাইনিজ  রেস্টুরেন্ট,  মুক্তিযুদ্ধের স্মরণে স্বতন্ত্র স্পট, পাখির রাজ্য, বেলকার, রোপকার, মানবিক চৈতন্যে ভাস্কর্য শিল্প ইত্যাদি নির্মাণের পরিকল্পনা মোতাবেক, যার নির্মাণ কাজ  শুরু হয়েছে। স্বপ্নপুরী ভ্রমণে আপনাদের সবাইকে আমন্ত্রণ।  




bdwrite.com
bdwrite.com


bdwrite.com


চুলে শ্যাম্পু করার লাভ এবং ক্ষতি


চুলে শ্যাম্পু করার লাভ এবং ক্ষতি
 চুল ঝরঝরে ও স্বাস্থ্যকর রাখতে আমদের মধ্যে অনেকেই আচেন যারা  প্রতি দিন চুলে শ্যাম্পু মাখেনআবার অনেক আছেন সাপ্তায় দুতিন দিন শ্যাম্পু করেন, অনেকে আছেনআবার সপ্তাহে মাত্র একবারই শেম্পু ব্যাবহার করেনঘনঘন কিংবা অনেক বিরতি দিয়ে শ্যাম্পু ব্যাবহার করার লাভ এবং ক্ষতি কী? যারা শ্যাম্পু ব্যাবহার  করছেন-তারাও কি এই ব্যাপারে পুরোপুরি জানেন?

যুক্ত রাষ্ট্র ভিত্তিক Online সংবাদ মাধ্যম about.com এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে চুলে শ্যাম্পু করার লাভ এবং ক্ষতির হিসাব তুলে ধরছি

প্রথমেই দেখে আসা  যাক লাভের খাতা...

চুল হয় স্বাস্থ্যকর, আকর্ষণীয়,এবং আবেদনময়ী রাখতে নিঃসন্দেহে শ্যাম্পুর চেয়ে আর কিছু ভালো নাইএ কারণে অনেকেই আছেন যারা দিনের বেশিরভাগ সময় স্যালুন বা পার্লারে বসে কাটানকেউ আবার আছেন বাসাকেও পার্লার বানিয়ে ফেলেন-শ্যাম্পু ব্যবহার করে

নিয়মিত শ্যাম্পু করলে কেবল চুলই  পরিষ্কার হবে না, মাথার খুলিকেও স্বাস্থ্যকর ও পরিচ্ছন্ন রাখ

 শ্যাম্পু কীভাবে চুল ও মাথার খুলি পরিষ্কার রাখে?

কেউ যখন চুলে শ্যাম্পু করে তখন তার মাথার খুলি থেকে তেল নিগ্রিত হয়ে যায়, যার ফলে চুল ও খুলি স্বাস্থ্যকর এবং খুশকি মুক্ত হয়আবার যখন মাথার চুল থেকে তেল শোধিত হয়ে যায় তখন শ্যাম্পুকারীর মাথার খুলি খসখসে হয়ে তেল আরও বাড়াতে থাকেতখন ব্যবহারকারীর মনে হতে পারে মাথার খুলিতে চর্বি হয়ে গেছে, যে কারণে বারবার এবং প্রতিদিন একাধিকবার শ্যাম্পু করেন তিনি, অর্থাৎ শ্যাম্পু ব্যাবহার করার কারণেই আবার শ্যাম্পু ব্যাবহার করতে বাধ্য হন

মাথা তৈলাক্ত হয়ে থাকে বলে এ ব্যাপারে আকাট ব্যক্তিরা অস্থির ও বিরক্ত থাকেন

চুল স্বাস্থ্যকর রাখার জন্য বারবার শ্যাম্পু ব্যাবহার করলেও তাতে বিপরীত দেখা যায় প্রায়  সময়ই,  

অতিরিক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করলে কী ক্ষতি হতে পারে, এবার সে খাতায় চোখ বুলানো যাক!
  •  নিয়মিত শ্যাম্প‍ু ব্যাবহার করার কারণে মাথা শুষ্ক হয়ে চুলকানি এমনকি চামড়া ফাটার উপক্রমের শিকার হতে পারেন 
  • চুলের রং বিবর্ণ হয়ে যেতে পারে, যে কারণে শ্যাম্পু ব্যাবহার কারীকে নিজের চুলে কৃত্রিম রং ব্যবহার করতে হতে পারে
  •  শ্যাম্পু ও মাথার চুল নিয়ে অনেক বেশি দুঃশ্চিন্তার সময় কাটাতে হবে কেবল ওয়াশরুমেই, বাকি সময় সময়ত আছেই
  • অতিরিক্ত শ্যাম্পু ব্যবহারের কারণে খরচ করতে হবে বাড়তি অর্থ
  • শ্যাম্পুর বেবহারের কারণে পানি অতিরিক্ত খরচ করতে হবে
  •  অস্বাস্থ্যকর মাথার খুলি আপনার চুলকে বর হতে দেবে না
  • এবং  স্বাস্থ্যের ওপরই প্রভাব ফেলতে পারে অতিরিক্ত শ্যাম্পুর ব্যবহার


তাহলে উপায় কি ?


প্রাথমিক পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে যে, প্রথমত একদিন পর পর শ্যাম্পু ব্যবহার করা যেতে পারে এবং শ্যাম্পু ব্যবহারের বিরতির সময়টা বাড়াতে থাকুন, এভাবে বাড়াতে বাড়াতে একসময় চার-ছয় দিন বিরতি দিয়ে শ্যাম্পু ব্যাবহার করুনএছাড়া, শ্যাম্পু ব্যাবহার করার ক্ষেত্রে যেদিন বাইরে বের হওয়া লাগবে না এমন একটি দিন বাছাই করুন


ঘুরে আসুন শেরপুরের গজনী অবকাশ থেকে......

গজনী অবকাশ কেন্দ্র শেরপুর 




পাহাড়ের ঢালে, পাহাড় চূড়ায় সারি সারি শাল, গজারী,সেগুন, মহুয়া,  ইউকেলিপটাস, আকাশমনি, মিলজিয়ামসহ আরো নাম না জানা কত শত পাহাড়ি গাছ, বনফুল ও ছায়াঢাকা বিন্যাস যেন বিশাল ক্যানভাসে সুনিপুন শিল্পীর রঙ-তুলি দিয়ে আঁকা। গজনী অবকাশ অতি সহজেই প্রকৃতিপ্রেমীদের হৃদয়ে দোলা দিয়ে যেতে পারে বলেই সারা  বছর বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার প্রকৃতিপ্রেমী নারী-পুরুষ, শিশু, বয়োবৃদ্ধসহ সবাই ছুটে আসেন গজনী অবকাশের মন ছুঁয়ে যাওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অবলোকন করতে।


লাল মাটির উঁচু পাহাড়,  গহীন জঙ্গল, টিলা, মাঝে সমতল  দু’পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে ছন্দ তুলে পাহাড়ী ঝর্ণার এগিয়ে চলা। পাহাড়, বনানী, ঝরণা, হ্রদ এতসব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যেও অনেক কৃত্রিম সৌন্দর্যের অনেক সংযোজনই রয়েছে গজনী অবকাশে ।

গজনী অবকাশে কি কি আছে তা  নিম্নে  বিভিন্ন অংশের বর্ণনা দেওয়া হলঃ

 ডাইনোসরঃ
উচ্চতা 33 ফুট। নির্মাণ কাল 2007 পরিকল্পনা ও পৃষ্ঠপোষকতায় মোঃ আবু বকর সিদ্দিক, জেলা প্রশাসক, শেরপুর। নির্মাতা ভাস্কর হারুন অর রশীদ খান। এটি একটি বৃহৎ ভাস্কর্য যা দেখে আমরা পৃথিবীর বিবর্তনের  ইতিহাস জানতে পারি।

 ড্রাগনঃ
এটি একটি স্থাপত্যধর্মী ভাস্কর্য। পৃষ্ঠপোষকতায় জনাব নওফেল মিয়া, জেলা প্রশাসক, শেরপুর। ড্রাগনের মাথা দিয়ে প্রবেশ করে ভিতর দিয়ে বের হয়ে যাওয়া একটা অন্যরকম অনুভূতি ।

 জলপরীঃ
ঝিলের পাড়ে নির্মিত  জলপরি। দেখে মনে হয় জল থেকে সদ্য উঠে এসে  শ্রান্ত ক্লান্ত অবস্থায় বসে আছে। সাদা সিমেন্টে নির্মিত ভাস্কর্যটি পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন নওফেল মিয়া, জেলা প্রশাসক, শেরপুর। নির্মাতা  ভাস্কর রায়হান ও শীষ ।



 দন্ডায়মান জিরাফঃ
উচ্চতা ২৫ ফুট। নির্মাণকাল ২০০৮। এটি  গজনীর অন্যতম বৃহৎ ভাস্কর্য। জেলা প্রশাসক সামছুন্নাহার বেগমের পৃষ্ঠপোষকতায় এটি নির্মিত হয়।


ওয়াচ টাওয়ারঃ
সুউচ্চ শীর্ষ পাহাড় চূড়ায় নির্মিত হয়েছে আধুনিক স্থাপত্য রীতিতে ৬৪ ফুট উচ্চতা সম্পন্ন নয়নকাড়া ‘সাইট ভিউ টাওয়ার’। এ টাওয়ারের চূড়ায় উঠে এলে চারদিকে শুধু দেখা যায় ধূসর, আকাশী ও সবুজের মিতালি।

পদ্ম সিড়িঃ
এটিও জনাব নওফেল মিয়ার চিমত্মা চেতনা থেকে তৈরী হয়েছিল। সিড়ি বেয়ে আকাশ পানে ওঠা এক অন্যবদ্য সৃষ্টি। রেস্ট হাউস থেকে পাহাড়ের পাদদেশে নামার জন্য আঁকাবাঁকা প্রায় দু’শতাধিক সিঁড়িসহ অত্যন্ত আকর্ষণীয় ‘পদ্ম সিড়ি’ রয়েছে। ‘পদ্ম সিড়ির পাশেই গজারী বনে কাব্য প্রেমীদের জন্য কবিতাঙ্গনের গাছে গাছে ঝোলানো আছে প্রকৃতিনির্ভর রচিত কবিতা। পাহাড়ের পাদদেশে বর্ষীয়ান বটবৃক্ষের ছায়াতলে শান বাঁধানো বেদীসহ বিশাল চত্ত্বর।     


আপনাদের  প্রশ্নঃ কিভাবে গজনী অবকাশ যাব ? 


গজনী অবকাশে আসার জন্য সড়ক পথে যাতায়ত অনেক সহজ। গজনী অবকাশ পর্যন্ত রয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগের মসৃণ পিচঢালা পথ। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ হয়ে যাতায়াতই সব থেকে ভালো । উত্তরবঙ্গ থেকে টাঙ্গাইল-জামালপুর হয়েও আসতে পারেন সড়ক পথে। শেরপুর শহর থেকে গজনী অবকাশের দুরত্ব মাত্র ৩০ কিলোমিটার। ঢাকা থেকে সরাসরি মাইক্রো বাস অথবা প্রাইভেটকারে গজনী অবকাশ যেতে পারেন। ঢাকা থেকে নিজস্ব বাহনে মাত্র সাড়ে তিন থেকে চার ঘন্টায় ঝিনাইগাতীর গজনী অবকাশে আসা যায়। 

এ ছাড়া ঢাকার মহাখালি থেকে ড্রিমল্যান্ড বাসে শেরপুর আসা যায়। মহাখালী থেকে দুপুর ২টায় ছাড়ে বাস । এছাড়া ঢাকা বঙ্গবন্ধু জাতীয় ষ্টেডিয়াম ৪ নং গেইট থেকে সরাসরী বিকাল ৩-৪টায় শিল্প ও বণিক সমিতির গাড়ী ঝিনাইগাতীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। যারা ড্রিমল্যান্ডে আসবেন। শেরপুর নেমে নিউমার্কেট থেকে ভাড়ায় মাইক্রোবাস ৫০০ টাকায় সোজা গজনী যাতায়াত করা যায়। শেরপুর থেকে লোকাল বাস,টেম্পু, সিএনজি অথবা রিক্সায় গজনী অবকাশ কেন্দ্রে যাওয়া যায়। 

 গজনী অবকাশের আবসন ব্যবস্থা 

শেরপুর জেলা সদরে রাতযাপনের জন্য ৫০ থেকে ৫শত টাকায় গেষ্ট হাউজ রোম ভাড়া পাওয়া যায়।শেরপুর শহরের রঘুনাথ বাজারে হোটেল সম্পদ, শহীদ বুলবুল সড়কে কাকলী ও বর্ণালী গেষ্ট হাউজ, নয়ানী বাজারে ভবানী প্লাজা, বটতলায় আধুনিক মানের থাকার হোটেল রয়েছে। তা ছাড়া অনুমতি সাপেক্ষে থাকতে পারেন সার্কিট হাউজ, সড়ক ও জনপথ, এলজিইডি, পল্লী বিদ্যুৎ কিংবা এটিআই বেষ্ট হাউজে। ঝিনাইগাতী জেলা প্রশাসন, সড়ক ও জনপথ বিভাগ ও বন-বিভাগের ডাকবাংলোতে থাকতে পারবেন।

গজনী অবকাশের প্রবেশ ফি

গজনী অবকাশ কেন্দ্রে গাড়ী প্রবেশের জন্য উপজেলা পরিষদ চেকপোষ্ট থেকে বাস-কোচ, ট্রাক-৩ শত টাকা, মাইক্রোবাস, পিকআপ, মেক্সি-১শত ৫০টাকা, জিপ,কার,টেম্পু-১শত টাকা, সিএনজি-৫০টাকা দিয়ে গেটপাস নিতে হবে। অন্যথায় গজনী অবকাশ কেন্দ্রে গাড়ী ঢুকাতে পারবেন না। তা ছাড়া সীমান্ত পথে বিজিবি নকশী ক্যাম্পে সে পাস দেখাতে হবে। আর অবকাশ কেন্দ্রে টাওয়ারের জন্য জন প্রতি ৫ টাকা, শিশু পার্কের জন্য-১০টাক, প্যাডেল বোড ৩০মিনিটে ৪জনে -৬০টাকা, পানসিতরী নৌকায় জন প্রতি-১০টাকা এবং পাতালপুরি ড্রাগন ট্যানেলে জন প্রতি-৫টাকা প্রদর্শনী ফি রয়েছে। 

 গজনী অবকাশের  কোথায় যোগাযোগ করবেন

 একটি কথা ভূলবেন না, গজনী অবকাশ ভারতীয় সীমান্ত সংলগ্ন। সীমান্তের দিকে না যাওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। অন্যথায় বিপদ ঘাড়ে চেপে বসতে পারে। শেরপুর জেলা প্রশাসকের নেজারত শাখা “(ফোন) ০৯৩১-৬১২৮৩/০৯৩১-৬১৯৫৪/০৯৩১-৬১৯০০, সার্কিট হাউজ ০৯৩১-৬১২৪৫ (হোটেল সম্পদ) ,০১৭১২৪২২১৪৫( হোটেল সাইদ) ০৯৩১-৬১৭৭৬ (কাকলী গেষ্ট হাউজ), ০১৯১৪৮৫৪৪৫০( টিকেট কাউ্ন্টার চেকপোষ্ট), ০৯৩১-৬১২০৬/০৯৩২-২৭৪৪০০১(ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার) ঝিনাইগাতী প্রেসকাবঃ- ০১৭৩৬৯৯১৪০৫
সংগ্রহঃ মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন