লাল শাক Red Amaramth: 1


লাল শাক  অথবা Red Amaramth

লাল শাক  অথবা Red Amaramth




আমাদের বাংলাদেশে লাল শাক একটি জনপ্রিয় সুস্বাদু শাকএর ইংরেজি নাম হচ্ছে Red amaramth এবং বৈজ্ঞানিক নাম Anaranthus oleraceus.  আমাদের বাংলাদেশে প্রায় অঞ্চলেই কম বেশি লাল শাকের চাষ হয় করা হয়রান্না করার পর শাকের রং গাঢ় লাল রঙ হয়ে যায়আমাদের এ দেশে অনেক জায়গায় লাল শাক এখন বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ ও বাজারজাত করা হচ্ছে  একজন বেকার নারী অথবা পুরুষ নিজের কর্মসংস্থান ব্যবস্থার জন্য নিজের জমিতে অথবা বর্গা নেওয়া জমিতে লাল শাক চাষ করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন

লাল শাকের পুষ্টিগুণ

লাল শাকে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ, বি, সি এবং ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়

লাল শাকের বাজার সম্ভাবনা

লাল শাক অনেক সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর তাই ছোট-বড় সবাই লাল শাক পছন্দ করেযেহেতু লাল শাকের চাহিদা মোটামটি সবার কাছেই আছে তাই লাল শাক চাষ করে পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে তার পাশাপাশি অতিরিক্ত উৎপাদন বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করাও সম্ভব হয়

উৎপাদন কৌশল

জাত
  •  বাংলাদেশে বারি লালশাক-১ জাতের শাক চাষ ১৯৯৬ সালে অনুমোদন করা হয়েছে 
  •  এই শাকের পাতার বোটা ও কান্ড নরম এবং উজ্জ্বল লাল রঙের হয়ে থাকে  
  •  প্রতি গাছে পনেরো থেকে বিষ টি পাতা থাকে
  •  গাছের উচ্চতা ২৫ থেকে ৩৫ সে.মি. এবং ওজন ১০ থেকে ১৫ গ্রাম হয়ে থাকে 
  •  এ শাকের ফুলের রঙ লাল এবং বীজ গোলাকার হয়ে থাকে
  •  বীজের উপরিভাগে কালো ও কিছুটা লাল দাগ মেশানো থাকে


তথ্যসূত্র : কৃষি প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল, জুন ২০০৭, Microfinance  for Marginal and Small Farmers (MFMSF) Project, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট সেল-১, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ), ঢাকা 



 চাষের উপযোগী পরিবেশ ও মাটি

জলবায়ুমাটির প্রকৃতি
সারাবছরই লালশাক চাষ করা যায়। তবে শীতের শুরুতে লাল শাকের ফলন বেশি হয়।প্রায় সব ধরণের মাটিতেই সারা বছর বারি লাল শাক-১ এর চাষ করা হয়। তবে দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটি লাল শাক চাষের জন্য সবচেয়ে ভালো।


পরবর্তী পোস্ট পেতে নিয়মিত Visit করুন www.bdwrite.com 


স্বপ্নপুরী পার্ক. Sopno Puri Park

স্বপ্নপুরী পার্ক দিনাজপুর 


স্বপ্নপুরী পার্ক

বন্ধুরা আজ আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেব বাংলাদেশের অন্যতম দর্শনীয় স্থান দিনাজপুরের পার্ক স্বপ্ন পুরী।
দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার সদর থেকে পনের কিলোমিটার উত্তর দিকে কুশদহ ইউনিয়ন পরিষদের অধীন খালিকপুর মৌজায় বিশাল জায়গা জুড়ে স্বপ্নপুরী অবস্থিত। ব্যক্তিগত উদ্যোগে ১৯৮৯ খৃষ্টাব্দ থেকে স্বপ্নপুরীর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। আর বর্তমানে স্বপ্নপুরী বাংলাদেশের মানুষের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। চিড়িয়াখানা, কৃত্রিম চিড়িয়াখানা, কৃত্রিম মৎস্য জগৎ অনেক সুন্প্রাদর কৃতিক দৃশ্যবলি এবং রেস্টুরেন্ট সহ বিভিন্ন বিনোদন সুবিধা নিয়ে পার্কটি গঠিত হয়েছে।তাছাড়া এখানে রাত্রি যাপনের জন্য রয়েছে দশটি ভিআইপি রেস্ট হাউজ, চোদ্দটি  মধ্যম শ্রেণীর রেস্ট হাউজ ও আটটি  অন্যান্য রেস্ট হাউজ। মূল গেটে দুটি পরী আকাশের দিকে হাত তুলে আপনাকে স্বাগত জানাবে, যা সত্যিই মনকে আন্দোলিত করে তুলবে।

সুবিশাল এলাকা জোরে , তুলনাহীন প্রাকৃতিক  পরিবেশ। সম্পূর্ণ এলাকা জুড়ে আছে বিভিন্ন প্রকার গোলাপ,
চন্দ্রমল্লিকা, ডালিয়া, রজনীগন্ধা, কসমস, লিলি,  গ্লোবাল,  গাদা-সূর্যমুখী সহ ইত্যাদি ফুল। আরও রয়েছে বিভিন্ন প্রকার ঝাউগাছ, ইপিলইপিল,ওইপেং,  ক্রিসমাসট্রি, ক্যাকটাস,  ঘনসবুজ ঘাসে ঘেরা বাগানের গাছের ডালে বসেছে হাজারো রকম পাখির মেলা, যা হাজারো প্রকৃতি প্রেমিক  পর্যটক ও পরিব্রাজকদের মনোরঞ্জন এবং বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম হতে পারে।
শিক্ষামূলক ভ্রমণ স্বপ্নপুরী পর্যটন কেন্দ্র ছাত্রছাত্রীদের জন্য ভিন্ন মাত্রায় সজ্জিত। যার প্রমাণ স্বপ্নপুরীতে রয়েছে। যেমন শিশু পার্ক, জীবন্ত এবং কৃত্রিম চিড়িয়াখানা সহ অনেক কিছু।
sopnopuri


স্বপ্ন পুরী আছে পর্যটকদের নামাজ পড়ার মসজিদ এবং কারুকার্যময় অজুখানা। আরও আছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ও জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের ভাস্কর্য। চোখে স্বাপ্নিক বিস্ময়তা আর অন্তরে মুগ্ধতা নিয়ে স্বপ্নপুরীর লেকে স্পিড বোটে জলবিহারে মেতে ওঠার আছে । লেকের ওপরে তৈরি করা হয়েছে কেবল কার। পর্যটকদের গোসল করার জন্য রংতুলি দিয়ে আকার মত শাপলা ঘাট। সুবিশাল স্বপ্নপুরীর স্থানে স্থানে আছে  অনেক সুন্দর সুন্দর বিশ্রাম ছাউনি। এ যেন নিপুণ হাতের পরশে বাগ-বাগিচার সৌন্দর্যে পেয়েছে নতুনরূপ। এসব বাগান মন-মনকে করে তোলে আকাশচারী ও স্বপ্নময়। স্বপ্নপুরীর রাস্তাগুলো একেকটি একেক রকম। একটি রাস্তার দুই পাশে উদ্বাহু হংসমিথুনের দল। আরেকটি রাস্তার দু’পাশে মাছ আকৃতির ফুলের টপ দিয়ে সাজানো হয়েছে। কৃত্রিম চিড়িয়াখানায় প্রবেশের করার জন্য তৈরি করা হয়েছে চোখ ধাঁধানো রাস্তা। জীবন্ত চিড়িয়াখানায় প্রবেশের প্রধান ফটকটিতে রয়েছে বাংলার ঐতিহ্য, বিশ্বখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মুখাকৃতির এ ফটক পর্যটকদের শিহরিত করে তুলতে সদা প্রস্তুত।


 সব কিছু  মিলিয়ে বলা যায়, যে কোন পর্যটক যদি একবার স্বপ্নপুরীতে যান তাহলে সত্যিই আপনি স্বপ্নের মাঝে হারিয়ে যাবেন। নিজেকে পশ্ন করবেন, এটা আমি কোন জগতে এসেছি নাকি ঘুমের ঘরে স্বপ্ন দেখতেছি।

স্বপ্ন পরিতে প্রবেশ মূল্য বাস-মিনিবাস (যাত্রীসহ) চারশত টাকা। মাইক্রোবাস-পিকআপ (যাত্রীসহ) দুইশত টাকা। কার-জিপ টেক্সিক্যাব যাত্রীসহ একশত টাকা। গাড়ি ছাড়া গেলে জনপ্রতি বিশ টাকা।
স্বপ্নপুরীর বাংলো ভাড়া নীলপরী তিনশত টাকা (প্রতি ডবল রুম), রজনীগন্ধা চারশত টাকা(প্রতি ডবল রুম), নিশি পদ্ম পনেরশ টাকা (তিন রুমসহ বাংলো), চাঁদনী পাচশত টাকা (প্রতি ডবল রুম), সন্ধ্যা তারা আকশ থেকে তেরশ টাকা (প্রতি ডবল নন এসি ও এসি রুম) 
বিঃ দ্রঃ সময়ের সাথে মূল্য কম বেশি হতে পারে। 

রাজধানী ঢাকা থেকে বুকিং ব্যবস্থাঃ
 ঢাকা থেকেও স্বপ্নপুরীর মোটেল বা বাংলো বুকিংয়ের সুবিধা আছে। ঠিকানা : হোটেলের সফিনা, ১৫২ হাজী ওসমান গনি রোড, আলুবাজার ঢাকা। ফোন : ৯৫৫৪৬৩০-৯৫৬২১৩০।

স্বপ্নপুরীতে রয়েছে খুব কম দামে খাবারের ব্যবস্থা : ভাত, সবজি, ডাল পনের টাকা, ভাত, সবজি, মাছ, ডাল বিষ টাকা ও ভাত, সবজি মুরগি, ডাল ৩০ টাকা।
বিঃ দ্রঃ সময়ের সাথে মূল্য কম বেশি হতে পারে। 
এছাড়াও স্বপ্নপুরীর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা পর্যটন সুবিধা দিতে একটি আধুনিক হোটেল, চাইনিজ  রেস্টুরেন্ট,  মুক্তিযুদ্ধের স্মরণে স্বতন্ত্র স্পট, পাখির রাজ্য, বেলকার, রোপকার, মানবিক চৈতন্যে ভাস্কর্য শিল্প ইত্যাদি নির্মাণের পরিকল্পনা মোতাবেক, যার নির্মাণ কাজ  শুরু হয়েছে। স্বপ্নপুরী ভ্রমণে আপনাদের সবাইকে আমন্ত্রণ।  




bdwrite.com
bdwrite.com


bdwrite.com


চুলে শ্যাম্পু করার লাভ এবং ক্ষতি


চুলে শ্যাম্পু করার লাভ এবং ক্ষতি
 চুল ঝরঝরে ও স্বাস্থ্যকর রাখতে আমদের মধ্যে অনেকেই আচেন যারা  প্রতি দিন চুলে শ্যাম্পু মাখেনআবার অনেক আছেন সাপ্তায় দুতিন দিন শ্যাম্পু করেন, অনেকে আছেনআবার সপ্তাহে মাত্র একবারই শেম্পু ব্যাবহার করেনঘনঘন কিংবা অনেক বিরতি দিয়ে শ্যাম্পু ব্যাবহার করার লাভ এবং ক্ষতি কী? যারা শ্যাম্পু ব্যাবহার  করছেন-তারাও কি এই ব্যাপারে পুরোপুরি জানেন?

যুক্ত রাষ্ট্র ভিত্তিক Online সংবাদ মাধ্যম about.com এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে চুলে শ্যাম্পু করার লাভ এবং ক্ষতির হিসাব তুলে ধরছি

প্রথমেই দেখে আসা  যাক লাভের খাতা...

চুল হয় স্বাস্থ্যকর, আকর্ষণীয়,এবং আবেদনময়ী রাখতে নিঃসন্দেহে শ্যাম্পুর চেয়ে আর কিছু ভালো নাইএ কারণে অনেকেই আছেন যারা দিনের বেশিরভাগ সময় স্যালুন বা পার্লারে বসে কাটানকেউ আবার আছেন বাসাকেও পার্লার বানিয়ে ফেলেন-শ্যাম্পু ব্যবহার করে

নিয়মিত শ্যাম্পু করলে কেবল চুলই  পরিষ্কার হবে না, মাথার খুলিকেও স্বাস্থ্যকর ও পরিচ্ছন্ন রাখ

 শ্যাম্পু কীভাবে চুল ও মাথার খুলি পরিষ্কার রাখে?

কেউ যখন চুলে শ্যাম্পু করে তখন তার মাথার খুলি থেকে তেল নিগ্রিত হয়ে যায়, যার ফলে চুল ও খুলি স্বাস্থ্যকর এবং খুশকি মুক্ত হয়আবার যখন মাথার চুল থেকে তেল শোধিত হয়ে যায় তখন শ্যাম্পুকারীর মাথার খুলি খসখসে হয়ে তেল আরও বাড়াতে থাকেতখন ব্যবহারকারীর মনে হতে পারে মাথার খুলিতে চর্বি হয়ে গেছে, যে কারণে বারবার এবং প্রতিদিন একাধিকবার শ্যাম্পু করেন তিনি, অর্থাৎ শ্যাম্পু ব্যাবহার করার কারণেই আবার শ্যাম্পু ব্যাবহার করতে বাধ্য হন

মাথা তৈলাক্ত হয়ে থাকে বলে এ ব্যাপারে আকাট ব্যক্তিরা অস্থির ও বিরক্ত থাকেন

চুল স্বাস্থ্যকর রাখার জন্য বারবার শ্যাম্পু ব্যাবহার করলেও তাতে বিপরীত দেখা যায় প্রায়  সময়ই,  

অতিরিক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করলে কী ক্ষতি হতে পারে, এবার সে খাতায় চোখ বুলানো যাক!
  •  নিয়মিত শ্যাম্প‍ু ব্যাবহার করার কারণে মাথা শুষ্ক হয়ে চুলকানি এমনকি চামড়া ফাটার উপক্রমের শিকার হতে পারেন 
  • চুলের রং বিবর্ণ হয়ে যেতে পারে, যে কারণে শ্যাম্পু ব্যাবহার কারীকে নিজের চুলে কৃত্রিম রং ব্যবহার করতে হতে পারে
  •  শ্যাম্পু ও মাথার চুল নিয়ে অনেক বেশি দুঃশ্চিন্তার সময় কাটাতে হবে কেবল ওয়াশরুমেই, বাকি সময় সময়ত আছেই
  • অতিরিক্ত শ্যাম্পু ব্যবহারের কারণে খরচ করতে হবে বাড়তি অর্থ
  • শ্যাম্পুর বেবহারের কারণে পানি অতিরিক্ত খরচ করতে হবে
  •  অস্বাস্থ্যকর মাথার খুলি আপনার চুলকে বর হতে দেবে না
  • এবং  স্বাস্থ্যের ওপরই প্রভাব ফেলতে পারে অতিরিক্ত শ্যাম্পুর ব্যবহার


তাহলে উপায় কি ?


প্রাথমিক পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে যে, প্রথমত একদিন পর পর শ্যাম্পু ব্যবহার করা যেতে পারে এবং শ্যাম্পু ব্যবহারের বিরতির সময়টা বাড়াতে থাকুন, এভাবে বাড়াতে বাড়াতে একসময় চার-ছয় দিন বিরতি দিয়ে শ্যাম্পু ব্যাবহার করুনএছাড়া, শ্যাম্পু ব্যাবহার করার ক্ষেত্রে যেদিন বাইরে বের হওয়া লাগবে না এমন একটি দিন বাছাই করুন


ঘুরে আসুন শেরপুরের গজনী অবকাশ থেকে......

গজনী অবকাশ কেন্দ্র শেরপুর 




পাহাড়ের ঢালে, পাহাড় চূড়ায় সারি সারি শাল, গজারী,সেগুন, মহুয়া,  ইউকেলিপটাস, আকাশমনি, মিলজিয়ামসহ আরো নাম না জানা কত শত পাহাড়ি গাছ, বনফুল ও ছায়াঢাকা বিন্যাস যেন বিশাল ক্যানভাসে সুনিপুন শিল্পীর রঙ-তুলি দিয়ে আঁকা। গজনী অবকাশ অতি সহজেই প্রকৃতিপ্রেমীদের হৃদয়ে দোলা দিয়ে যেতে পারে বলেই সারা  বছর বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার প্রকৃতিপ্রেমী নারী-পুরুষ, শিশু, বয়োবৃদ্ধসহ সবাই ছুটে আসেন গজনী অবকাশের মন ছুঁয়ে যাওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অবলোকন করতে।


লাল মাটির উঁচু পাহাড়,  গহীন জঙ্গল, টিলা, মাঝে সমতল  দু’পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে ছন্দ তুলে পাহাড়ী ঝর্ণার এগিয়ে চলা। পাহাড়, বনানী, ঝরণা, হ্রদ এতসব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যেও অনেক কৃত্রিম সৌন্দর্যের অনেক সংযোজনই রয়েছে গজনী অবকাশে ।

গজনী অবকাশে কি কি আছে তা  নিম্নে  বিভিন্ন অংশের বর্ণনা দেওয়া হলঃ

 ডাইনোসরঃ
উচ্চতা 33 ফুট। নির্মাণ কাল 2007 পরিকল্পনা ও পৃষ্ঠপোষকতায় মোঃ আবু বকর সিদ্দিক, জেলা প্রশাসক, শেরপুর। নির্মাতা ভাস্কর হারুন অর রশীদ খান। এটি একটি বৃহৎ ভাস্কর্য যা দেখে আমরা পৃথিবীর বিবর্তনের  ইতিহাস জানতে পারি।

 ড্রাগনঃ
এটি একটি স্থাপত্যধর্মী ভাস্কর্য। পৃষ্ঠপোষকতায় জনাব নওফেল মিয়া, জেলা প্রশাসক, শেরপুর। ড্রাগনের মাথা দিয়ে প্রবেশ করে ভিতর দিয়ে বের হয়ে যাওয়া একটা অন্যরকম অনুভূতি ।

 জলপরীঃ
ঝিলের পাড়ে নির্মিত  জলপরি। দেখে মনে হয় জল থেকে সদ্য উঠে এসে  শ্রান্ত ক্লান্ত অবস্থায় বসে আছে। সাদা সিমেন্টে নির্মিত ভাস্কর্যটি পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন নওফেল মিয়া, জেলা প্রশাসক, শেরপুর। নির্মাতা  ভাস্কর রায়হান ও শীষ ।



 দন্ডায়মান জিরাফঃ
উচ্চতা ২৫ ফুট। নির্মাণকাল ২০০৮। এটি  গজনীর অন্যতম বৃহৎ ভাস্কর্য। জেলা প্রশাসক সামছুন্নাহার বেগমের পৃষ্ঠপোষকতায় এটি নির্মিত হয়।


ওয়াচ টাওয়ারঃ
সুউচ্চ শীর্ষ পাহাড় চূড়ায় নির্মিত হয়েছে আধুনিক স্থাপত্য রীতিতে ৬৪ ফুট উচ্চতা সম্পন্ন নয়নকাড়া ‘সাইট ভিউ টাওয়ার’। এ টাওয়ারের চূড়ায় উঠে এলে চারদিকে শুধু দেখা যায় ধূসর, আকাশী ও সবুজের মিতালি।

পদ্ম সিড়িঃ
এটিও জনাব নওফেল মিয়ার চিমত্মা চেতনা থেকে তৈরী হয়েছিল। সিড়ি বেয়ে আকাশ পানে ওঠা এক অন্যবদ্য সৃষ্টি। রেস্ট হাউস থেকে পাহাড়ের পাদদেশে নামার জন্য আঁকাবাঁকা প্রায় দু’শতাধিক সিঁড়িসহ অত্যন্ত আকর্ষণীয় ‘পদ্ম সিড়ি’ রয়েছে। ‘পদ্ম সিড়ির পাশেই গজারী বনে কাব্য প্রেমীদের জন্য কবিতাঙ্গনের গাছে গাছে ঝোলানো আছে প্রকৃতিনির্ভর রচিত কবিতা। পাহাড়ের পাদদেশে বর্ষীয়ান বটবৃক্ষের ছায়াতলে শান বাঁধানো বেদীসহ বিশাল চত্ত্বর।     


আপনাদের  প্রশ্নঃ কিভাবে গজনী অবকাশ যাব ? 


গজনী অবকাশে আসার জন্য সড়ক পথে যাতায়ত অনেক সহজ। গজনী অবকাশ পর্যন্ত রয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগের মসৃণ পিচঢালা পথ। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ হয়ে যাতায়াতই সব থেকে ভালো । উত্তরবঙ্গ থেকে টাঙ্গাইল-জামালপুর হয়েও আসতে পারেন সড়ক পথে। শেরপুর শহর থেকে গজনী অবকাশের দুরত্ব মাত্র ৩০ কিলোমিটার। ঢাকা থেকে সরাসরি মাইক্রো বাস অথবা প্রাইভেটকারে গজনী অবকাশ যেতে পারেন। ঢাকা থেকে নিজস্ব বাহনে মাত্র সাড়ে তিন থেকে চার ঘন্টায় ঝিনাইগাতীর গজনী অবকাশে আসা যায়। 

এ ছাড়া ঢাকার মহাখালি থেকে ড্রিমল্যান্ড বাসে শেরপুর আসা যায়। মহাখালী থেকে দুপুর ২টায় ছাড়ে বাস । এছাড়া ঢাকা বঙ্গবন্ধু জাতীয় ষ্টেডিয়াম ৪ নং গেইট থেকে সরাসরী বিকাল ৩-৪টায় শিল্প ও বণিক সমিতির গাড়ী ঝিনাইগাতীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। যারা ড্রিমল্যান্ডে আসবেন। শেরপুর নেমে নিউমার্কেট থেকে ভাড়ায় মাইক্রোবাস ৫০০ টাকায় সোজা গজনী যাতায়াত করা যায়। শেরপুর থেকে লোকাল বাস,টেম্পু, সিএনজি অথবা রিক্সায় গজনী অবকাশ কেন্দ্রে যাওয়া যায়। 

 গজনী অবকাশের আবসন ব্যবস্থা 

শেরপুর জেলা সদরে রাতযাপনের জন্য ৫০ থেকে ৫শত টাকায় গেষ্ট হাউজ রোম ভাড়া পাওয়া যায়।শেরপুর শহরের রঘুনাথ বাজারে হোটেল সম্পদ, শহীদ বুলবুল সড়কে কাকলী ও বর্ণালী গেষ্ট হাউজ, নয়ানী বাজারে ভবানী প্লাজা, বটতলায় আধুনিক মানের থাকার হোটেল রয়েছে। তা ছাড়া অনুমতি সাপেক্ষে থাকতে পারেন সার্কিট হাউজ, সড়ক ও জনপথ, এলজিইডি, পল্লী বিদ্যুৎ কিংবা এটিআই বেষ্ট হাউজে। ঝিনাইগাতী জেলা প্রশাসন, সড়ক ও জনপথ বিভাগ ও বন-বিভাগের ডাকবাংলোতে থাকতে পারবেন।

গজনী অবকাশের প্রবেশ ফি

গজনী অবকাশ কেন্দ্রে গাড়ী প্রবেশের জন্য উপজেলা পরিষদ চেকপোষ্ট থেকে বাস-কোচ, ট্রাক-৩ শত টাকা, মাইক্রোবাস, পিকআপ, মেক্সি-১শত ৫০টাকা, জিপ,কার,টেম্পু-১শত টাকা, সিএনজি-৫০টাকা দিয়ে গেটপাস নিতে হবে। অন্যথায় গজনী অবকাশ কেন্দ্রে গাড়ী ঢুকাতে পারবেন না। তা ছাড়া সীমান্ত পথে বিজিবি নকশী ক্যাম্পে সে পাস দেখাতে হবে। আর অবকাশ কেন্দ্রে টাওয়ারের জন্য জন প্রতি ৫ টাকা, শিশু পার্কের জন্য-১০টাক, প্যাডেল বোড ৩০মিনিটে ৪জনে -৬০টাকা, পানসিতরী নৌকায় জন প্রতি-১০টাকা এবং পাতালপুরি ড্রাগন ট্যানেলে জন প্রতি-৫টাকা প্রদর্শনী ফি রয়েছে। 

 গজনী অবকাশের  কোথায় যোগাযোগ করবেন

 একটি কথা ভূলবেন না, গজনী অবকাশ ভারতীয় সীমান্ত সংলগ্ন। সীমান্তের দিকে না যাওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। অন্যথায় বিপদ ঘাড়ে চেপে বসতে পারে। শেরপুর জেলা প্রশাসকের নেজারত শাখা “(ফোন) ০৯৩১-৬১২৮৩/০৯৩১-৬১৯৫৪/০৯৩১-৬১৯০০, সার্কিট হাউজ ০৯৩১-৬১২৪৫ (হোটেল সম্পদ) ,০১৭১২৪২২১৪৫( হোটেল সাইদ) ০৯৩১-৬১৭৭৬ (কাকলী গেষ্ট হাউজ), ০১৯১৪৮৫৪৪৫০( টিকেট কাউ্ন্টার চেকপোষ্ট), ০৯৩১-৬১২০৬/০৯৩২-২৭৪৪০০১(ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার) ঝিনাইগাতী প্রেসকাবঃ- ০১৭৩৬৯৯১৪০৫
সংগ্রহঃ মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন

সতেজ থাকতে সবুজ শাক-সবজি খান



কে চায় না? সুস্থ, সুন্দর, স্লিম আকর্ষণীয় ফিগার ।  এই সুস্থ দেহের মূলমন্ত্র হল সঠিক খাবার। তাই সবুজ শাক-পাতা খেয়ে খুব সহজেই আপনি ধরে রাখতে পারেন আপনার তারুণ্য। সবুজ শাক-পাতাই রয়েছে প্রছুর পরিমানে ভিটামিন সি, ই, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, বিটা-ক্যারোটিন, অ্যান্টি -অক্সিডেন্ট সহ অনেক উপাদান৷ bdwrite.com পক্ষ থেকে আজ থাকছে নানা রকম সবজির গুণাগুণের কথা। চলুন শরু করি...
পালং শাক
পালং শাক

পালং শাকের উপকারিতার কথা বলার আর অপেক্ষা রাখে না৷ ২০১৪ সালে সুইডিশ গবেষকদের করা এক তথ্য থেকে জানিয়েছে  যে, পালং শাক ওজন কমাতে সহায়তা  করে৷ এর আঁশ, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম – যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও, উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে পেশিকে শক্ত করে রক্তের ঘনত্ব কমাতেও সহায়তা করে৷ পালং শাক সেদ্ধ, স্যুপ বা স্মুদি বানিয়ে খাওয়া যায়৷ সঙ্গে রসুন, লেবু বা আদা দিলে স্বাদ ও বাড়ে, উপকারও অনেক গুনে বেরে যায় ৷ 

শসা

গরমের দিন আসলে শরীরকে ঠান্ডা করতে শসার জুড়ি নেই, কারণ শসায় রয়েছে শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ পানি৷ তাই পুষ্টিবিদরা গরম কালে বেশি বেশি করে শসা খেতে বলেন৷ শসায় খুবই অল্প পরিমানে ক্যালোরি থাকে,শসা শুধু শরীরকেই হালকা-পাতলা রাখে না, শসার মাস্ক বা স্লাইস করা শসা ত্বককে করে স্নিগ্ধ আর সুন্দর৷ শসা অনেক ভাবে খওয়া যায়৷ প্রচণ্ড গরমে শসার কুচি ঠান্ডা পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে তা পান করলে শরীর জুড়িয়ে যায়। 
সবুজ ফুলকপি

সবুজ বা সবুজ রং-এর ফুলের মতো দেখতে এই সবজি ভাজি খেতে খুবই মজা ।  জার্মানির হাইডেলব্যার্গ বিশ্ববিদ্যালয় ক্লিনিকের গবেষক ইনগ্রিড হ্যার  তথ্য দিয়েছে ফুলকপির  মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা ক্যনসারের টিউমার দমন করে৷  শুধু তাই নয়, ব্রকোলি হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমায়৷ এছাড়া ডায়বেটিস রোগীদের জন্যও দারুণ উপকারি হল ফুলকপি ৷
পুদিনা পাতা
পুদিনা পাতা

 কাউকে আর আলাদা করে বলার প্রয়োজন নেই, ভেষজ উদ্ভিদ পুদিনা পাতার গুণের কথা ৷ হাজারো বছর ধরে এই পাতা ব্যবহার হয়ে আসছে গ্যাসট্রিক, পেটের সমস্যা বা ত্বকের অনেক সমস্যায় ৷ নারীদের সৌন্দর্যচর্চায় পুদিনার পাতা খুবই পরিচিত৷ পুদিনা পাতার রস, চা, চাটনি ইউরোপেও আজকাল বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ৷ সবুজ ঔষধি পুদিনা পাতা খেয়ে শরীর ও ত্বককে সতেজ রাখুন৷ বিশেস  যত্ন ছাড়াই পুদিনা গাছ বাগান, টব বা পানিতে হয়৷
বরবটি

 বরবটিতে রয়েছে প্রচুর আঁশ, আয়রন, প্রোটিন,  ক্যালশিয়াম ও শর্করা – মানে প্রচুর পরিমানে পুষ্টি গুণ৷ এই কারণে ডায়বেটিস রোগীদের জন্যও বরবটি অনেক উপকারি৷ বরবটি  অনেক  ভাবে খাওয়া যায়৷ জলপাইয়ের তেলে সামান্য ভেজে খেতে দারুণ স্বাদ লাগে এই সবজি৷ তাছাড়া পুষ্টিগুণ সম্পন্ন সবুজ সবজির মধ্যে বরবটি একটি, যা অল্প খেলেই পেট ভরে যায় ৷ অর্থাৎ বাড়তি মেদ হবার কোনো সুযোগ নেই বলে ফিট ও সুন্দর থাকা যায় সহজেই!
সালাদ পাতা

বিভিন্ন সবুজ সালাদ বা লেটুস পাতায় রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা তারুণ্য ধরে রাখতে সহায়তা করে ৷ সবজিতে থাকা ভিটামিন সি এবং ই সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে আপনাকে রক্ষা করতে সাহায্য  করে থাকে৷ তাছাড়া শাক বা সালাদ পাতা খাবার সাজানোর জন্যও ব্যবহার করা যায়, যা দেখতে সুন্দর তো লাগেই, খাবারে রুচিবারাতে সাহায্য করে ৷তবে শাক-সবজির ক্ষেত্রে সবচেয়ে যেটা জরুরি হলো, একে হতে হবে একদম টাটকা৷ তা না হলে স্বাদে এবং গুণে হেরফের হবেই৷

ফরমালিন মুক্ত শাক সবজি খান।
আল্লাহ হাফেজ 

রাতে কেন হালকা খাবার খাবেন?

হালকা খাবার

সকালে খাবেন রাজার মতোদুপুরে খাবেন প্রজার মতোআর রাতে খাবেন ভিক্ষুকের মতো’—এমন প্রবাদ নিশ্চয়ই শুনেছেন? বিশেষজ্ঞরা বলেন, শরীর ভালো রাখতে রাতে হালকা খাবার খাওয়া অনেক উপকারীএ অভ্যাস শরীরের অনেক সমস্যা প্রতিরোধে করতে সাহায্য করে
২০১৩ সালে জার্নাল ওবেসিটির প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, শরিরের বাড়তি ওজন নিয়ন্ত্রণে খাবারের জন্য সঠিক সময় নির্বাচন বেশ বড় ভূমিকা পালন করে থাকে যাঁরা ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চান,  এ বিষয় তাঁদের খেয়াল রাখা উচিতবিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে,  লাইফস্টাইল-বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই জানিয়েছে রাতে হালকা খাবার খেলে কী উপকার হয়, সে কথা। আজ আমরা জানবঃ 
হজম ভালো করে
রাতে ভারী খাবার খেলে হজমে গণ্ডগোল করতে পারেহালকা খাবার হজম সহজে হয়ে যায় এবং আরামদায়ক হয় পেটের জন্য রাতে হালকা খাবার খাওয়া বুক জ্বালা-পোড়া, এসিডিটি, পেট ফোলা ভাবের, সমস্যা রোধে সাহায্য করেরাতে হজমের সমস্যা হলে  পরবর্তী দিনের কার্যক্রমের ওপর বাজে প্রভাব ফেলেতাই রাতে তাড়াতাড়ি খাবার খাওয়া এবং হালকা খাবার খাওয়া  পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা
ভালো ঘুমের জন্য
ভারী খাবার রাতে না খাওয়াই ভালোঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় এটি বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভালো ঘুমের জন্য রাতে ভারী খাবার, ঝালযুক্ত খাবার এবং ক্যাফেইন (চা, কফি) জাতীয় খাবার এইসব এড়িয়ে যাওয়াই ভালোদেহের হরমোনকে শিথিল করতে সাহায্য করে হালকা খাবার 
মেদ কম জমায়
আপনি যদি শরীরে চর্বি কম জমাতে চান তাহলে রাতে হালকা খাবার খাওয়া ভালোআপনি যদি ভুল খাবার ভুল সময়ে খান, তবে এটি মেদ বাড়িয়ে দিতে পারেবিশেষজ্ঞরা বলেন, যেহেতু রাতে আমরা কম কাজ করি, নড়াচড়া কম করি, তাই ভারী খাবার খেলে ক্যালরি কম পোড়ে
শর্করার মাত্রা ঠিক রাখে
রক্তের শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে ঘুমানোর এক ঘণ্টা আগে হালকা খাবার খাওয়া উচিতএটি রাতের বেলার হাইপোগ্লাইসেমিয়া নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে
শক্তি বাড়ায়
রাতে হালকা খাবার খাওয়া  রাখে মেজাজ ঠিক এবং  মস্তিষ্কের কার্যক্রমকে ভালো রাখতে সাহায্য করেবিশেষজ্ঞরা বলেন, রাতে তাড়াতাড়ি খাওয়া এবং হালকা খাবার খাওয়া পরবর্তী দিনের জন্য শরীরে শক্তি জোগাতেও সাহায্য করে
আজ এই পর্যন্তই। আল্লাহ হাফেজ। 

পেঁয়াজ কি সত্যিই চুলপড়া বন্ধ করে?

আমদের মধ্যে অনেকেই চুলপড়ার সমস্যায় ভোগে থাকেনতবে দিনে পঞ্চাশ থেকে একশ টি  চুল পড়াকে স্বাভাবিক হিসেবে ধরে নেওয়া হয়চুলপড়া কারো কারো ক্ষেত্রে মানসিক চাপের কারনেও হতে পারেঅনেকের আত্মবিশ্বাসও কমে যায় এর কারনে।  
চুলপড়া প্রতিরোধ করতে অনেকেই অনেক ধরনের ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকেএর মধ্যে পেঁয়াজের রসের ব্যবহার অন্যতম একটি বিশেষ  পদ্ধতিতবে পেঁয়াজের রস কি আসলেই চুলপড়া রোধ করে, চুল গজাতে সাহায্য করে? বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথ ডাইজেস্ট জানিয়েছে এর উত্তরআসুন জানি আসলে কী হয় পেঁয়াজের রস চুলে ব্যবহার করলে
বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, চুলে পেঁয়াজের রস ব্যবহার করা অনেক ভালো প্রাকৃতিক পদ্ধতিকোনো ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া পেঁয়াজ চুলপড়া প্রতিরোধ করে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে
বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণায় বলা হয়, পেয়াঁজ চুলপড়া নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করেপাশাপাশি এটি চুলের বিভিন্ন সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করেযেমন : খুশকি, ছত্রাক,  সংক্রমণ ইত্যাদিচুলে পেঁয়াজের রসের ব্যবহার অকালে চুল পাকা রোধেও সাহায্য করে থাকে
পেঁয়াজের রসের গুণ
অনেকের মনেই প্রশ্ন আসে, আসলেইপেঁয়াজ কীভাবে এই বিষয়গুলোতে সাহায্য করে? 
বিশেষজ্ঞরা বলেন, পেঁয়াজে ভালো মাত্রায় সালফার উপাদান রয়েছেযখন পেঁয়াজের রস লাগানো হয় তখন মাথায় রক্তসঞ্চালন বাড়েসালফার কোলাজেন টিস্যুর উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করেএই টিস্যু চুল গজানোর জন্য প্রয়োজনএ ছাড়া রক্ত সঞ্চালন বাড়লে স্ক্যাল্পের ফলিকল পুষ্টি পায়এটি নতুন  চুল গজাতে সাহায্য করে
সালফারের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদানএটি ফাঙ্গাস, ব্যাকটেরিয়া- এগুলোকে প্রতিরোধ করেফাঙ্গাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ অনেক সময় চুলপড়ার জন্য দায়ী হয়পেঁয়াজের রস চুল মজবুত করতে সাহায্য করে; চুল ভাঙ্গা ও চুল পাতালা হওয়া প্রতিরোধ করেতাই পেঁয়াজের রস নিয়মিত ব্যবহার করলে চুলপড়া প্রতিরোধ হয়
তবে চুল পড়ারও বিভিন্ন কারণ রয়েছেএর মধ্যে খাবারদাবার, জীবনযাপনের ধরন বা জিনগত কারণ  ইত্যাদি রয়েছেবিশেষজ্ঞরা বলেন, চুলপড়া রোধে অনেক সময় ওষুধও দরকার হয়তবে বেশির ভাগ চুলপড়া প্রতিরোধে পেঁয়াজের রস মাখার এই ঘরোয়া পদ্ধতিটি বেশ কার্যকরী
Collect: Internet