ডমেইন এবং ওয়েব হোস্টিং নেবেন কি কি ফিচার দেখে? 0.01 পয়সা একটি হোস্টিং কিনুন....

         


ডমেইন এবং ওয়েব হোস্টিং নেবেন কি কি ফিচার দেখে?

ফ্রি ডমেইন, ফ্রি হোস্টিং এইসব অনেক আলোচনা হয়েছে। কিন্তু যারা ডমেইন এবং হোস্টিং কিনে ব্যবহার করতে চান, তারা কি কি ফিচার দেখে কিনবেন? আমি আজকে যা লিখতে চলেছি, সেইসব সাধারনত কোনো ওয়েবসাইটে লেখা পাবেন না। একান্তই ব্যবহারিক অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এই লেখা লিখতে চলেছি, এবং, এর সবটাই আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতা নাহলেও অনেক কাছে থেকে দেখা অন্যান্যদের সুবিধা ও অসুবিধা দেখেই এই লেখা। ফ্রি জিনিসের প্রতি মায়া তেমন হবেনা যেমনটা হবে নিজের কষ্টের টাকা দিয়ে কেনা জিনিসের প্রতি। তাই, প্রতিটি টাকার মূল্য যাতে সঠিকভাবে আপনি পান, তা আপনি নিশ্চয় চাইবেন? বিনামূল্যের জিনিস, তার ফিচার পছন্দ নাহলেই তা বদলে ফেলা যাবে, ছেড়ে দেওয়া যাবে, কিন্তু একবার টাকা দিয়ে কেনা মানে সাধারনত সেটা এক বছরের জন্য, মাঝে ছেড়ে দেওয়ার অর্থ নিজের টাকা অপচয় হওয়া।
প্রথমেই আসি ডমেইনের কথায়। ইন্টারনেটে অনেক নামীদামী ডমেইন বিক্রেতা আছেন, তাদের কাছে থেকে ক্রেডিট কার্ড দিয়ে কিনবেন? নাকি আপনার স্থানীয় বিক্রেতার কাছে থেকে ক্যাশ টাকা দিয়ে কিনবেন? তফাৎ কি? তফাৎ অবশ্যই আছে! ডমেইন সিকিউরিটির ক্ষেত্রে এটা কাজে দেবে অনেক। ধরুন আপনার জনপ্রিয় ডমেইন হ্যাক করে নিলো কেউ এবং সেটা ট্র্যান্সফার করে নিল তার একাউন্টে, সেই ডমেইন ফেরত পেতে অনেক ঝামেলা হতে পারে যদি সেই ডমেইন ক্রেডিট কার্ড দিয়ে নিজে কিনে থাকেন। প্রথমেই ডমেইন রেজিস্ট্রারের সাথে যোগাযোগ করা, তাকে সম্পূর্ণ ব্যাপারটা ইমেইলে জানানো, এর পরে ফোনে সরাসরি কথা বলতে হতে পারে – ISD বিলের কথা মাথায় রাখবেন। এর পরে নিজের আইডেন্টিটি প্রমাণের ব্যাপার আছে। ক্রেডিট কার্ড নিজের নামে নাহয়ে পরিবারের কারো নামে কিম্বা বন্ধুবান্ধবের নামে হলেই কেলেঙ্কারি, তাদেরকে নিয়ে টানাটানি, তারা ভেইফাই না করলে ডমেইন ফেরত পাবেন না।
এইসব ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকতে হলে স্থানীয় বিক্রেতার কাছে থেকেই কেনা ভালো। তারাও হয়তো তাদের ক্রেডিট কার্ড দিয়েই কেনে, আপনি যেখান থেকে কিনবেন তারাও হয়তো সেখান থেকেই কেনে, কিন্তু তার পরেও তারা হচ্ছে রিসেলার এজেন্ট, কোম্পানীর সাথে আপনার চেয়ে তাদের আরও কাছের যোগাযোগ, ব্যবসায়িক সম্পর্কের ভিত্তিতে তারা অনেক সহজেই আপনার ডমেইন আপনাকে ফেরত এনে দিতে পারবে। যেহেতু স্থানীয়, তাই তারা আপনাকে চিনবে, আইডেন্টিটি প্রমাণের প্রশ্ন আসবেনা। তাই, আমি বলবো যে ডমেইন স্থানীয় বিক্রেতার কাছে থেকেই কেনা ভালো।
এবারে আসছি হোস্টিংয়ের কথায়। স্থানীয় বিক্রেতার কাছে হোস্টিং কেনা অনেক ব্যয়সাধ্য ব্যাপার। তাই, হোস্টিং কিনতে পারেন ক্রেডিট কার্ড দিয়ে, পেপাল দিয়ে ইত্যাদি। কিন্তু কি কি ফিচার আপনার প্রয়োজন? তালিকায় অনেক কিছুই লেখা থাকে, সব কি আপনার দরকার? তালিকায় লেখা প্রচুর ফিচার দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়ে হোস্টিং না কেনাই ভালো। আবার এও ঠিক যে তালিকায় লেখা অনেক ফিচার আপনার অসুবিধার সৃষ্টি করতে পারে ভবিষ্যতে। আসুন জেনে নিই?
আপনি কি একটি ব্যাক্তিগত ওয়েবসাইট বানাতে চান? সেক্ষেত্রে তথাকথিত ‘আনলিমিটেড’ হোস্টিং আপনারএকেবারেই প্রয়োজন নেই। কম টাকায় পেয়ে গেলেও তাতে কিই বা হোস্টিং করবেন যাতে ‘আনলিমিটেড’ স্পেস লাগতে পারে? কারন আপনি প্রচুর পরিমানে অডিও/ভিডিও আপলোড করতে পারবেন না। সার্ভারে MP3 রেখে দেওয়া যেতে পারে, কিন্তু সেইসব ডাউনলোডের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া কিন্তু বেআইনি। কপিরাইটের ঝামেলা আছে। আপনি গানবাজনার সাথে যুক্ত হলে আপনার নিজস্ব মিউজিক ফাইলগুলি রাখার ক্ষেত্রেও আগে জিজ্ঞেস করে নেবেন, অনেক হোস্টিং বিক্রেতা তাদের terms & conditions’এ লিখেই দেন যে বহু পরিমানে মিডিয়া ফাইল লোড করে রাখা যাবেনা। ব্যাক্তিগত কিছু ভিডিও নিশ্চয় রাখতে পারেন, তাও কতোখানি, সেটা জিজ্ঞেস করে নেবেন সাপোর্টে ইমেইল করে।
আপনি কি বানিজ্যিক ওয়েবসাইট কিম্বা ফোরাম কিম্বা গ্রুপ ব্লগিং ওয়েবসাইট বানাতে চান? এক্ষেত্রেও আমি বলবো যে আনলিমিটেড হোস্টিংয়ের প্রয়োজন নেই। Bandwidth সেখানে বেশি জরুরী জিনিস। আমি কয়েকদিন আগে একটি হোস্টিং কোম্পানীর ওয়েবসাইটে দেখছিলাম তারা লিখেছে “storing unusual quantity of media files is not allowed”, এই ‘unusual quantity’ তাহলে কতোখানি? আরেকটি হোস্টিং কোম্পানীর ওয়েবসাইটে পড়লাম যে “MySQL database Unlimited (200MB)” – অবস্থা বুঝতে পারছেন? একদিকে লেখা আনলিমিটেড, কিন্তু ব্র্যাকেটে লেখা ২০০ মেগাবাইট। সাপোর্টে ইমেইল করে জানলাম যে এখানে Unlimited মানে অগনিত সংখ্যায় ডেটাবেস বানাতে পারলেও এক একটির সাইজ যেন 200MB পার না করে! সুতরাং এইসব জেনে নেবেন। ফোরাম কিম্বা গ্রুপ ব্লগিং ওয়েবসাইটে ডেটাবেস সাইজ কিন্তু বাড়বে। আবার Bandwidth বিষয়টিও মাথায় রাখবেন। অনেক কোম্পানীই লেখে আনলিমিটেড। কিন্তু এখানে লেখার মধ্যে সামান্য কারিগরির ব্যাপার আছে।
ঢাকার এক গ্রাহক এই অসুবিধার মধ্যে পড়েছিলো। জটিল এক সমস্যা। তার bandwidth unlimited, কিন্তু নামী এক ওয়েবসাইট তার সাথে লিঙ্ক করার সঙ্গে সঙ্গে তার ওয়েবসাইটে প্রতি মিনিটে প্রায় ১০,০০০ করে পাঠক আসছিল। পাঁচ মিনিটের মধ্যেই আমি দেখলাম ৬০,০০০ ভিজিটার ছাড়িয়েছে! ব্যাস, এর পরে মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে তার হোস্টিং একাউন্ট সাসপেন্ড হল। কেন? কোম্পানী জানালো যে এতো সংখ্যায় ভিজিটার আসলে সেক্ষেত্রে যেন বিজনেস হোস্টিং নেওয়া হয়, নয়তো ডেডিকেটেড সার্ভার নেওয়া হয়। যে ওয়েবসাইট তার সাথে লিঙ্ক করেছিল তাদের ভিজিটার দিনে প্রায় ১০ লাখের উপরে (ইউনিক + রিটার্নিং মিলিয়ে), একটি পথ দুর্ঘটনার কিছু ছবি, তারা নিজেরা সেইসব ভয়ঙ্কর ছবি প্রকাশ করতে চায়না বলে এই ওয়েবসাইটে লিঙ্ক করে দিয়েছিল, তাই পাঠকরা সেইসব ছবি দেখতেই ভীড় করেছিলো।
ভাবতে পারছেন? একদিন সারাদিন যদি এইভাবে পাঠক আসতো, তাহলে তার পেজ র‌্যাঙ্ক কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়? আর গুগল এডসেন্সে কতো আয় হতে পারতো? কিন্তু সে এই লাভ তুলতেই পারলোনা তার হোস্টিং কোম্পানীর কারনে, নাম জানতে চান সেই হোস্টিং কোম্পানীর? Namecheap.com! বিনা নোটিসেই হোস্টিং সাসপেন্ড করে দিলো তারা। সুতরাং এই অবস্থায় যেন না পড়েন, তাই কেনার আগেই সাপোর্টে এইসব প্রয়োজনীয় কথা বলে নেবেন। ফোরাম কিম্বা গ্রুপ ব্লগিং ওয়েবসাইট বানান, কিম্বা ব্যাক্তিগত, আপনি তো জানেন না কালকে কোনো জনপ্রিয় ওয়েবসাইট আপনার সাথে লিঙ্ক করবে কিনা? আপনি তো জানেন না লিঙ্ক নাহলেও এমনিতেই কতো ইউজার আসতে পারে? জেনে নেবেন প্রতি মিনিটে কতো ভিজিটার হোস্টিং কোম্পানী মেনে নেবেন। Shared hosting অবশ্যই সীমা আছে, এর পরে বেশি দাম দিয়ে VPS/VDS কিম্বা Dedicated server কিনতে হতে পারে।
কেন Shared hosting’এ কিছু সীমা বেঁধে দেওয়া আছে? তার কারন শুধু আপনার একলার ওয়েবসাইট তাতে চলেনা, আরও অন্য অনেক গ্রাহকের ওয়েবসাইট চলে সেখানে। তাই কারো যেন অসুবিধা নাহয়, সার্ভার যেন ধীরগতির নাহয়ে যায়, সার্ভার যেন ডাউন না যায় এইসব নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই নানারকমের বিধিনিষেধ আরোপ করা থাকে। সার্ভারে যদি এমন কোনো স্ক্রিপ্ট চালাতে চান যেটা অনেক মেমোরি কনজিউম করবে, সেক্ষেত্রেও কিন্তু বিধিনিষেধ আছে।
VPS/VDS কিনলেও যে খুব সুবিধা পেয়ে যাবেন তা নাও হতে পারে। সেটা নির্ভর করবে সেই সার্ভারের RAM, Processor (Single or Dual or Quad processor) ইত্যাদি অনেক কিছুর উপরে। ভারী ধরনের ওয়েবসাইট বানাতে হলে বুঝেশুনে ভালো কনফিগারেশানের ডেডিকেটেড সার্ভার নিতে হবে। সেই সার্ভারের ইন্টারনেট গেটওয়ে কেমন, কোন নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত, সার্ভারের ডেটাসেন্টার কোন দেশে, তার পিং স্পিড কতো, আপটাইম কেমন সেইসব জেনে নেওয়াও জরুরী। একজন দায়িত্ববান ওয়েবমাস্টার হতে গেলে এইসব জানা নিতান্তই জরুরী।
সাত পাঁচ না ভেবেই শুরু করে দিলে পরে আপনার সব হোস্টিং ফাইল অন্য হোস্টে সরানোর ঝামেলা পোহাতে হতে পারে। তাই আগে থেকেই সাবধানে এবং বুঝেশুনে শুরু করা ভালো। এতে নিজের টাকার সঠিক মূল্য পাবেন, দায়িত্ববান ওয়েবমাস্টার হয়ে উঠতে পারবেন, সার্চ ইঞ্জিনেও র‌্যাঙ্ক ধরে রাখতে সক্ষম হবেন।
 
 

ওয়ার্ডপ্রেস না গুগল ব্লগার, কোনটা বেশি ভালো

প্রিয় পাঠকগণ সবার মন মেজাজ ভাল তো৷ বেশ কিছুদিন হলে একটা প্রশ্ন শুনতেছি নতুন ব্লগারদের কাছে থেকে, প্রশ্নটা হল কোন ব্লগ সাইটটা বেশি ভাল বা আমার নতুন ব্লগ তৈরী করার সময় আমি কোন ফ্রি ব্লগটি আগে বেছে নিব। এটা তাদের একটা মূল সমস্যা হয়ে আছে। তাই আজ আপনাদের এর সহজ সমাধানটা দিব আমি কিছু বৈশিষ্ট্যের তুলনার মাধ্যমে। অনেকেই নতুন ব্লগ তৈরী করার সময় কনফিউস্‌ড হয়ে পড়েন, কোন সাইটে খুলব তা নিয়ে। ফ্রি ব্লগ সাইট তৈরির জন্য প্রধানত এই দুইটা সাইট সবার প্রথম পছন্দ হ।
একটা হল গুগোলের তৈরী Blogger.comআর, আরেকটা হল ওয়ার্ডপ্রেসের তৈরী wordpress.comআর এই দুইটা সাইট নিয়েই যতসব কনফিউশন।
আসুন দেখে নেয়া যাক ওয়ার্ডপ্রেস এবং ব্লগস্পটের সুবিধা এবং অসুবিধাগুলো:
ওয়ার্ডপ্রেস: wordpress.com একটি ফ্রি ওয়েব হোস্টিং সাইট। এই সাইটে নিজের ফ্রি ব্লগ তৈরী করা খুব সহজ। শুধু সাইটে গিয়ে ফ্রি রেজিষ্ট্রেশন করলেই চলে। এছাড়াও ওয়ার্ডপ্রেসের আরেকটা সার্ভিস আছে যা হচ্ছে CMS (Content Management System)

ওয়ার্ডপ্রেসের সুবিধাসমূহ:

  • ওয়ার্ডপ্রেসের জন্য আপনি বিভিন্ন ধরনের হাইকোয়ালিটি থীম পাবেন যার মাধ্যমে আপনি একটি ভালো প্রফেশনালমানের সাইট তৈরী করতে পারবেন।
  • ওয়ার্ডপ্রেসের ফ্রি ব্লগে কাজ করলে আপনি যদি পরবর্তীতে নিজস্ব সাইটে ওয়ার্ডপ্রেস CMS ব্যবহার করলে তা সহজে বুঝতে পাড়বেন।
  • এখানে আপনি গুগোল এডসেন্সের এ্যাড ব্যবহার করেও অর্থ আয় করতে পারবেন।
  • এখানে আপনি ছবি, ভিডিও, অডিও সহ বিভিন্ন ধরনের ফাইল আপলোড করে রাখতে পাড়েন।

ওয়ার্ডপ্রেসের অসুবিধা:

এখন ওয়ার্ডপ্রেসের অসুবিধার কথাগুলো বলি। প্রফেশনালী কাজ করতে গেলে ওয়ার্ডপ্রেস.কম এ অনেক অসুবিধা আছে। কারন, যারা ব্লগ তৈরী করেন তারা মোটামোটি একটা আয়ের কথা ভেবেই সাইট তৈরী করেন। আর, ব্লগে আয়ের ক্ষেত্রে গুগল এডসেন্সই সবচেয়ে জনপ্রিয়তা বেশি। আর এখানে মূল সমস্যাটাই হল গুগোল এডসেন্স। আসলে, ওয়ার্ডপ্রেস.কম এ গুগোল এডসেন্স পাওয়া অনেক কঠিন একটা বিষয়। এখানে এডসেন্স পেতে হলে দুইটা শর্ত আছে। প্রথম শর্ত হচ্ছে আপনার ব্লগ-সাইটে মাসের পেজ ভিউ ৩০,০০০ হতে হবে যা প্রথম অবস্থায় অসম্ভব। অন্য শর্তটি হচ্ছে এডসেন্স থেকে প্রাপ্ত আয়ের অর্ধেকটাই দিতে হবে ওয়ার্ডপ্রেস কর্তৃপক্ষকে। কি কথাটা শুনে একটু ধাক্কা লাগলো তাই না? তাই আমি মনে করি এই ব্লগটি পারসোনাল কাজের জন্যই ভালো, এখানে আর্নিং এর কথাটা মাথায় না রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ।

ব্লগস্পট:


blogger.com গুগোলের একটি ফ্রি ওয়েব হোস্টিং সার্ভিস। এখানেও আপনি ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরী করতে পাড়বেন। কিন্তু এখানে ওয়ার্ডপ্রেস.কম এর মতো ততটা সুবিধা পাবেন না

ব্লগারের সুবিধা:

  • ব্লগারে আপনি ফ্রি ওয়েব সাইট তৈরী করে ভালভাবে এস.ই.ও করতে পাড়লে অনেক ভিজিটর পাবেন এবং ভাল পি.আর ও পেতে পারেন।
  • ভালোমানের পোস্ট ও ইউনিক কন্টেন্ট থাকলে ব্লগার থেকে আপনি সহজে ও কম পরিশ্রমেই গুগোল এডসেন্স পেতে পাড়েন। তবে তা হবে এডসেন্সের কন্ডিশন অনুযায়ী।
  • এখানেও অনেক ভাল ব্লগ থিমস পাওয়া যায়। যা দিয়ে আপনি সহজেই আপনার সাইটটিকে আরো দৃষ্টিনন্দনভাবে তৈরী করতে পারবেন।
ওয়ার্ডপ্রেসের মত ব্লগারে এত বেশী অসুবিধা নাই। তাই আমার পরামর্শ হল আপনাদের মধ্যে যারা প্রোফেশনালী ফ্রি ব্লগে কাজ করতে চান তাদের জন্যই ব্লগার। এখন আপনার পালা আপনিই ভেবে নিন যে কোনটা কিভাবে ব্যবহার  করবেন। আর সামনের দিন থেকে দেখানো হবে গুগল ব্লগে কিভাবে একটি সম্পূর্ণ ফ্রি ব্লগসাইট খোলা যায়।

আয় করুন এডসেন্স এর বিকল্প জনপ্রিয় বিজ্ঞাপন ব্যবস্থা রিভেনুহিটস থেকে in অনলাইনে উপার্জন, এডসেন্স এর বিকল্প

 যাদের ওয়েবসাইট বা ব্লোগ রয়েছে তাদের প্রথম পছন্দ গুগল এডসেন্স।গুগল এডসেন্স খুব ভাল একটি বিজ্ঞাপন ব্যবস্থা।এর ক্লিক রেট অনেক বেশী।যদি আপনার একটি ভাল মানের ওয়েবসাইট বা ব্লোগ থাকে যা গুগল এডসেন্স এর ভাষা সাপোর্ট করে,বিভিন্ন দেশের ভিজিটরের আগমন ঘটে বিশেষ করে উন্নত দেশগুলো থেকে,দামি মানের কিওয়ার্ড ঠিক ঠিক জায়গামত থাকে, মোটামুটি দিনে ১০০০+ ইউনিক ভিজিটর আপনার সাইট ভিজিট করে এবং এড ঠিকমত সেটআপ দিতে পারেন এতেই আপনাকে আটকানো যাবে না।গুগল এডসেন্স এমনই একটি বিজ্ঞাপন ব্যবস্থা!!!!!

কিন্তু সমস্যা অনেক!!!কোন দুর্বল মার্কা ওয়েবসাইট বা ব্লোগ হলে সে ওয়েবসাইট বা ব্লোগ দিয়ে গুগল এডসেন্স পাওয়াই যাবে না।যদি একটু বুদ্ধি খাটানো যায় তাহলে হয়ত প্রথমবারের মত ইউটিউব দিয়ে এডসেন্স পাওয়া যেতে পারে।কিন্তু ব্যবহার করবেন কোথায় সেই দুর্বল মার্কাতেই তো তাইনা!!! তাহলে তো আপনার দুঃখ আরও বেড়ে যাবে,কষ্ট করে পাওয়া এডসেন্স ব্যান হয়ে যেতে পারে।গুগল এডসেন্স যদি আপনাকে দয়ার চোখে না দেখে তাহলে অবশ্যই কিছু কারন পেলেই আপনার একাউন্ট ব্যান হয়ে যেতে পারে।

  1. ইচ্ছায় ,অনিচ্ছায়,ভুলে,লোভে পড়ে,টেস্ট করতে অথবা অন্য কোন কারনে নিজের এডে নিজে ক্লিক করলে।

  2. অন্যের জিনিস কপি করে নিজের ব্লোগ বা ওয়েবসাইটে ব্যবহার করা শুরু করলে।অথবা কপিরাইট ভঙ্গ করলে।

  3. পর্ন জাতীয় কনটেন্ট,পিকচার,ফটো,ভিডিও এ জাতীয় কিছু পেলে।


তাদের রয়েছে জটিল কঠিন সব নীতিমালা।এসমস্ত কারনে সবার পক্ষে এডসেন্স ব্যবহার করা হয় না।বিশেষ করে বাংলা ওয়েবসাইট বা ব্লোগ গুলো এ ক্ষেত্রে একপ্রকার নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।তাই সবাই ছুটাছুটি করছে বিকল্প ব্যবস্থা তালাশ করার জন্য।এডসেন্স এর হাজারো বিকল্প আছে কিন্তু কাজের কাজ হয় না, মানে ভাল বিকল্প নয়।কোনটার এড সাইজ ভাল না,কোনটার পেমেন্ট সিস্টেম ভাল না,কোনটার ওপর বিশ্বাস আনাই মুশকিল(যেমন-Amaderad.com নামের একটি বিজ্ঞাপন ব্যবস্থা সবাইকে ধোকা দিয়ে পালিয়েছে ময়দান থেকে)


রিভেনুহিটস(আশার আলো)
বর্তমান সময়ে যে বিজ্ঞাপন ব্যবস্থা গুগল এডসেন্স এর প্রধান বিকল্প হিসাবে কাজ করে যাচ্ছে তা হল রিভেনুহিটস ডট কম।সবদিক থেকেই উন্নত মানের সেবা।মনে হয় আশার আলো নিয়ে এসেছে এই এড নেটওয়ার্কটি।বিশেষ করে বাংলা ভাষায় পরিচালিত ওয়েবসাইট বা ব্লোগ গুলোর জন্য।

রিভেনুহিটস এর জন্য কেমন ওয়েবসাইট দরকার?
  • রিভেনুহিটস যে কোন ধরনের ওয়েবসাইট বা ব্লোগের জন্য এড দিয়ে থাকে তাদের কোন কঠিন নিয়ম নেই।এডসেন্স কপি-পেস্ট ব্লোগ বা ওয়েবসাইট,পর্ন রিলেটেড ওয়েবসাইট সাপোর্ট করে না কিন্তু রিভেনুহিটস এসবে সমস্যা করে না।
  • এছাড়াও এডসেন্স এ ব্লোগ কিংবা ওয়েবের বয়স বাধা হয়ে দাড়ায়, নতুন ব্লোগ বা ওয়েবসাইট তারা গ্রহন করে না কিন্তু রিভেনুহিটস যে কোন ব্লোগ বা ওয়েবসাইটকেই সাদরে গ্রহন করে।
কিসের মাধ্যমে পেমেন্ট নেয়া যায়?
  • ১.পেপল। ২.পেওনিয়ার। ৩.ব্যাংক চেক।

সর্বনিম্ন কত ডলার হলে পেমেন্ট নেয়া যায়?
  • আপনার একাউন্টে সর্বনিম্ন ২০ ডলার হলে পেপল অথবা পেওনিয়ারে পেমেন্ট নিতে পারবেন।আর সর্বনিম্ন ৫০০ ডলার হলে ব্যাংক চেক নিতে পারবেন।


রিভেনুহিটস অন্য এড ব্যবহার করতে দেয় কি না?
  • রিভেনুহিটস ব্যবহার করার পাশাপাশি একই ব্লোগ বা ওয়েবসাইটে অন্য বিজ্ঞাপন কোম্পানির এড বা বিজ্ঞাপন ব্যবহার করা যায় এতে কোন ধরনের সমস্যা হয় না।
তাদের এড সিস্টেম কেমন?
  • তাদের এড সিস্টেম অনেক সুন্দর।তাদের বিভিন্ন সাইজের ব্যানার এড রয়েছে।
  • এছাড়া ৭২৮*৯০ এবং ৪৬৮*৬০ সাইজের অটো ফুটার এড রয়েছে।
  • তারা ডেস্কটপ এবং মোবাইল উভয় ধরনের এড তৈরির ব্যবস্থা রেখেছে।
  • এছাড়াও পপআনডার,শাডোবস্ক,স্লাইডার সহ বিভিন্ন ধরনের নিত্যনতুন পদ্ধতির বিজ্ঞাপন ব্যবস্থা রয়েছে তাদের।

 কিছু আলাদা সুবিধা যা এডসেন্স এর জন্য অসুবিধা:
  • এডসেন্স এ পিন ভেরিফাই করতে হয় যা বহু দিন সময় নেয়।রেভিনিউহিটস পিন বেরিফাই করে না।
  • এডসেন্স ফেক বা আনভেলিড ভিজিটর অথবা ক্লিক এর জন্য পে করে না বরং উল্টো ব্যান করে দেয়।রিভেনুহিটস এ বিষয়ে কোন ঝামেলা করে না।
  • ভুলে এডসেন্স এর কোন আইন না মানা হলে তারা সারা জীবনের জন্য একাউন্ট ব্যান করে দেয়।কিন্তু রিভেনুহিটস তা করে না।
 রিভেনুহিটস এর ব্যতিক্রম নিয়ম:
  • রিভেনুহিটস এর একটা ব্যতিক্রম নিয়ম আছে তা হল দুদিন পরে তারা আর্নিং রিপোর্ট দেখায়।মানে হল আজকে প্রথম আপনি রিভেনুহিটস এ একাউন্ট খুলে আপনার ওয়েবসাইট কিংবা ব্লোগে এড বসালেন, কালকে রিভেনুহিটস এর একাউন্টে লগিন করলেন কত জমা হয়েছে দেখতে কিন্তু ইম্প্রেশন,ক্লিক,সিটিআর সবই দেখতে পেলেন কিন্তু রেভিনিউ নেই,রেভিনিউ দেখতে পেলেন আরও একদিন পর।
  • অনেকে আছে এটা বুঝতে না পেরে মনে করে এতগুলো ইম্প্রেশন,ক্লিক হল কিন্তু আর্ন নেই!আসলে দুদিন পরপর এটা দেখা যায়।
কিরকম আয় হতে পারে?
  • ধরুন আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লোগে থেকে দৈনিক২০০০ ভিজিটর আসে এবং ৬০০০ এর মত ইম্প্রেশন হয়।যদি সিপিএম রেইট ভাল হয় তাহলে দৈনিক ৫-৭ ডলারের মত ইনকাম হতে পারে।তাহলে মাসে ৫*৩০=১৫০ ডলার অর্থাৎ ১২,০০০ টাকা।কারও ক্ষেত্রে কম হতে পারে আবার কারও ক্ষেত্রে বেশী হতে পারে।এটা বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে যেমন- সিপিএম রেইট,দেশভিত্তিক ভিজিটর,হাই পেয়িং কিওয়ার্ড ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে।

নিচে ব্লোগার Servando So Yong Silva Sohn এর ইনকাম এর পেমেন্ট প্রুফ দেয়া হল:

রেভিনিউহিটস এ একাউন্ট খুলতে এখানে ক্লিক করুন
এরপর Sign Up অথবা Join Now বাটনে ক্লিক করে ভালভাবে ফর্ম পূরন করুন।
ধন্যবাদ সময় দিয়ে পড়ার জন্য।