SEO কী? SEO ওয়েব সাইটের জন্য কেন গুরুত্বপূর্ণ...

what-is-seo-search-engine-optimization
SEO শব্দটিকে ভাঙ্গলে পাওয়া যায় ‍S=Search, E=Engine, O=Optimization, অর্থাৎ Search Engine Optimization. মানুষ প্রয়োজনের তাগিদে তাদের সকল তথ্য খোজার জন্য বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে। যেমন গুগল, ইয়াহু, বিং ইত্যাদি। যে শব্দ বা বাক্যটি লিখে সার্চ করা হয় তখন ওই রিলেটেড অনেকগুলো রেজাল্ট একসাথে পাওয়া যায়।  যে কোন তথ্য খুজে পেতে বর্তমান বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষ গুগল ব্যবহার করে। এর কারণ স্বরুপ দেখা যায় গুগলের জনপ্রিয়তা ও এর সুবিধার জন্য। কোন শব্দ বা বাক্য লিখে সার্চ করলে অনেক ওয়েব সাইট সামনে আসে।
একটি সাইট বানালেই তা সবার সামনে আসবে? এর উত্তর না।
তাহলে সাইটকে সামনে দেখতেহলে কি করতে হবে? এর উত্তরটা পরে দিচ্ছি

মনে করুন আপনি ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, থ্রিডি ডিজাইন, ডাটা এন্ট্রি বা কম্পিউটার রিলেটেড কাজ করতে পারেন। এ কথা শুধুমাত্র আপনার বন্ধু বা একান্ত যারা আপনার সাথে মিশে শুধুমাত্র তারাই জানবে এটাই ঠিক। অন্যরা জানার প্রশ্নই আসে না। তাহলে ধরুন আপনি কাজ পারেন তা সবাইকে জানাবেন। এর জন্য আপনাকে কি করতে হবে? উত্তর হল আপনার প্রচার করতে হবে। আপনার প্রচার করার জন্য বিভিন্ন মাধ্যম হতে পারে যেমন লিফলেট, পোস্টার, ব্যানার ইত্যাদি। কিন্তু ইন্টারনেটে তো এগুলো নেই তাহলে আপনার প্রচার করবেন কিভাবে?
আসুন আজ আমরা শিখতে চাই কিভাবে খুব সহজে আপনার সাইটকে সবার উপরে রাখা যায়।
বিজ্ঞাপনের এই কাজ করাকে বলা হবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা SEO।
SEO শিখতে গেলে কি কি জানতে হবে।
.          বিভিন্ন ধরনের সার্চ ইঞ্জিন সম্পর্কে ধারণা
.          HTML সম্পর্কে হালকা ধারণা
.          সর্বপরো ইন্টারনেটের উপর স্পষ্ট ধারণা থাকা বাঞ্চনীয়
এখন আসি সার্চ ইঞ্চিন কি?
আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় যেকোন বিষয়ের তথ্য জানতে হলে ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে থাকি। তখন সারা দোনিয়ার যত ওয়েবসাইটে এ ব্যপারে যেকোন তথ্য আছে, সব আমাদের সামনে চলে আসে। কয়েকটি জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্চিনের নাম হল- গুগল(google), ইয়াহু(yahoo), বিং(Bing), অ্যামাজন(Amozan), ইবাই(ebay), টুইটার(Twiter) ইত্যাদি।
সার্চ ইঞ্জিন কিভাবে কাজ করে :
সার্চ ইঞ্জিনগুলো তৈরি হয়েছে, মানুষের তথ্য থুজে পাওয়ার জন্য। সেজন্য কোন কিছু সার্চ দিলে যাতে সবচাইতে সেরা তথ্য খুজে পাওয়া যায় সেজন্য সার্চইঞ্জিন সাইটগুলো কিছু পোগ্রাম তৈরি করে রাখে। যেটি সকল সাইটগুলোর মধ্যে কিছু বিষয় তুলনা করে সেরা সাইটগুলোকে সার্চের সামনে নিয়ে আসে। সেরা সাইট নির্বাচন করার জন্য তারা দেখে ওয়েবসাইটটির মানসম্মত কিনা, ওয়েবসাইটের তথ্য সকলের জন্য প্রয়োজনীয় কিনা, ওয়েব সাইটটি কেমন জনপ্রিয়। এগুলোসহ আরও কিছু বিষয় নিয়ে ফলাফল প্রদর্শন করে।
কেন এসইও করব:
ওয়েব সাইট বানানোর পিছনে সবার একটা লক্ষ্য থাকে। কেউ তার ব্যবসার জন্য, আবার কেউবা পন্য ক্রয়-বিক্রয় বা মার্কেটিং এর জন্য সাইট বানায়। আসলে এগুলো করতে হলে প্রয়োজন হয় ভিজিটরের। আপনার সাটেইর ভিজিটর ভাল না হলে ভাল ফলাফল আসা করা যায় না। তাই সবাই চায় তার ওয়েব সাইট সার্চে ১ নম্বরে আসুক। আর এ জন্য আমরা যে কাজটি পদ্ধতিগত ভাবে করি তাই এসইও।
সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং ক্ষেত্রে কেন এত গুরুত্বপূর্ণ :
ওয়েবসাইট তৈরি হয়  কোম্পানীর পণ্যের প্রসারের জন্য। যতবেশি মানুষ আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করবে, ততমানুষ আপনার পণ্য সম্পর্কে কিংবা সার্ভিস সম্পর্কে ধারণা পাবে।  সার্চ ইঞ্জিন কোন একটি ওয়েব সাইটে ভিজিটরের প্রধান উৎস। শতকরা ৮০% ভিজিটর সার্চ ইঞ্জিন মাধ্যমে কোন ওয়েব সাইটে আসে । তাই সার্চ ইঞ্জিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।
ক) যেকোন ওয়েবসাইটের বেশীর ভাগ ভিজিটর সার্চ ইঞ্জিনে থেকে আসে । প্রতি মাসে প্রায় বিলিয়ন বিলিয়ন সার্চ হয় । United States এ এক জরিপে দেখা গেছে প্রতি মাসে কমপক্ষে দশ বিলিয়ন সার্চ হয় । (সূএ : com score.2008 )
গ) অনেকে জানেনা তাদের প্রয়োজনীয় কোন তথ্য কোথায় পাওয়া যাবে।সে জন্য তারা সার্চ ইঞ্জিনগুলোতে সে বিষয় লিখে সার্চ করে । তখন প্রয়োজনীয় সাইটের লিস্ট তাদের কাছে চলে আসে।
ঘ) বিনামুল্যে যেকোন তথ্য খুজে পাওয়া যায়, সেজন্য সবাই এটি ব্যবহার করে।
ঙ) সকল তথ্যে বিশাল ভান্ডার হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন। সেজন্য দিনে দিনে এটির উপর সবার নির্ভরশীলতা দিনে দিনে বাড়ছে।
চ) যেহেতু তথ্য খুজে পেতে সবাই সার্চইঞ্জিনের সাহায্য নিয়ে থাকে, সেজন্য সব কোম্পানী তাদের পণ্য প্রচারের জন্য সনাতনী পদ্ধতি ছেড়ে দিয়ে সার্চ ইঞ্জিনের সার্চের প্রথমে তাদের কোম্পানীর ওয়েবসাইটকে রাখতে চায়।
জ) মার্কেটিংয়ের সনাতনী সকল পদ্ধতিগুলো ব্যয়বহুল এবং বর্তমানযুগে কম কাযকরী। অন্যদিকে SEO তে খরচ কম কিন্তু আগের পদ্ধতির চাইতে কমপক্ষে ৬০ভাগ বেশি কাযকরী।

আইবিপি (IBP) কি এবং কেন?


জেনে নিন আপনার পারফেক্ট এসইও পার্টনারকে।
  IBP

.
বর্তমানে ওয়েবসাইটের এসইও করার জন্য প্রচুর সফ্টওয়্যার পাওয়া যায়। এর মধ্যে কিছু কিছু সফ্টওয়্যার আছে যেগুলো আপনার ওয়েবসাইটের জন্য বেস্ট এসইও করার ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। এধরনেরই একটি সফ্টওয়্যার হলো ইন্টারনেট বিজনেস প্রমোটার বা আইবিপি (IBP- Internet Business Promoter)। এসইও এর কাজে একজন নির্ভরযোগ্য সহযোগী হিসেবে নিশ্চিন্তে বেছে নিতে পারেন এই সফ্টওয়্যারটিকে।
কিন্তু প্রথমেই বলেছি বর্তমানে এসইও করার জন্য এধরনের প্রচুর সফ্টওয়্যার পাওয়া যায় তাহলে এই প্রাচুর্যের মাঝে আপনি আইবিপি-কেই কেন বেছে নেবেন....................?
চলুন জেনে নেয়া যাক-
# ০১
আইবিপি-তে পাবেন বেস্ট এসইও টুল্সঃ আইবিপি ইউজ করলে আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন আপনি এসইও করার জন্য সবচেয়ে ভালো টুল্সগুলোকেই পাচ্ছেন এবং এটা এমন একটা ওয়েবসাইট প্রমোশন সফ্টওয়্যার যেটা প্রতিনিয়ত রিফাইন হয়। তাই আপনি যখন আইবিপি ব্যাবহার করছেন তখন আপনি এসইও করার জন্য বর্তমান সময়ের সবচেয়ে কার্যকরি পদ্ধতিতে এসইও করার সুযোগ পাচ্ছেন যেটা অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইটকে সার্চ রেজাল্টে টপ র্যাঙ্কিং করাবে। আইবিপি-তে আপনি বিভিন্ন ধরনের এসইও টুল পাবেন যেগুলো ব্যাবহার করে আপনি ওয়েবসাইট অপটিমাইজেশন, লিঙ্ক বিল্ডিং, পজিশন চেকিং, সার্চ ইঞ্জিন সাবমিশন, ডাইরেক্টরি সাবমিশন, কিওয়ার্ড রিসার্চ, এ্যালাইসিস সহ আরো বিভিন্ন কাজ করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি আইবিপি-তেই পাবেন এ্যাডভান্সড্ লিঙ্ক বিল্ডিং টুল এবং মোস্ট এ্যাডভান্সড্ ওয়েবপেজ অপটিমাইজেশন টুল।
# ০২
সার্চ ইঞ্জিন এ্যাপ্রুভড্ এসইও মেথডঃ কিছু কিছু এসইও সফ্টওয়্যার আছে যেগুলো বিভিন্ন ব্লাকহ্যাট এসইও পদ্ধতি এবং কৌশল ব্যাবহার করে যেগুলো সার্চ ইঞ্জিনের কাছে সরাসরি স্পাম হিসেবে গণ্য হয়। আপনি আপনার ওয়েবসাইট র্যাঙ্কিংকে হুমকির মুখে আনতে পারেন যদি এধরনের এসইও সফ্টওয়্যার ব্যাবহার করেন। কিন্তু আইবিপি শুধুমাত্র সার্চ ইঞ্জিনে গ্রহনযোগ্য পদ্ধতি এবং কৌশলগুলোকেই ব্যাবহার করে। তাই আপনি যদি আইবিপি ব্যাবহার করেন তাহলে কোন ধরনের অবৈধ পদ্ধতি ছাড়াই আপনার ওয়েবসাইটকে টপ র্যাঙ্কিং করাতে পারবেন।
# ০৩
একটি বিশ্বস্ত সহযোগীঃ আইবিপি এর কোম্পানি ১৯৯৭ সাল থেকে ব্যাবসা করে আসছে। তারা সব সময় তাদের কাস্টোমারদেরকে সর্বচ্চ সুবিধাটাই দিয়ে এসেছে। তাই আপনি যখন আইবিপি ব্যাবহার করবেন তখন অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইটের এসইও করার জন্য সবচেয়ে কার্যকরি পদ্ধতিটাই ব্যাবহার করার সুযোগ পাবেন।
.
আইবিপি এমন একটা সফ্টওয়্যার যেটা আপনার ওয়েবসাইটের এসইও এর কাজকে আরো সহজ এবং আরো ভালো করে দিতে পারে। কিন্তু একটা কথা সবসময় মনে রাখবেন, অল্প বিদ্যা ভয়ংকর। আপনি যখন আইবিপি ব্যাবহার করবেন তখন এটিকে অবশ্যই সঠিকভাবে ব্যাবহার করতে হবে। আইবিপি একটি এ্যাডভান্স এসইও সফ্টওয়্যার তাই এসইও ভালো ভাবে জানা না থাকলে কখনো এটা ব্যাবহারের কথা ভাবা ঠিক না। আপনি যদি ভেবে থাকেন এসইও না শিখেই আইবিপি দিয়ে এসইও করে সাইটকে র্যাঙ্ক করাবেন তাহলে জেনে রাখুন আপনি ভুল ভাবছেন। এতে হিতে বিপরিত হতে পারে। এধরনের সফ্টওয়্যার ব্যাবহার করার জন্য অবশ্যই বেশ ভালো এসইও জ্ঞান এবং দক্ষতা থাকতে হবে।
||

কিডনিতে পাথর হওয়ার ১০ কারণ

Kidney Stones
যাঁরা জীবনে কিডনিতে পাথরের সমস্যায় ভুগেছেন, তাঁরাই জানেন এই ছোট জিনিসটি কতটা ব্যথা দিতে পারে। গবেষণায় বলা হয়, অন্তত ১১ জনের মধ্যে একজন জীবনের কখনো না কখনো এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। আগে বলা হতো, পুরুষদের এই সমস্যা বেশি হয়। তবে নতুন কিছু গবেষণায় বলা হচ্ছে এর অন্যতম কারণ হতে পারে ওজনাধিক্য।
মূলত কিডনির ভেতরে কঠিন পদার্থ জমা হয়ে কিডনিতে পাথর তৈরি হয়। প্রস্রাবে বিভিন্ন উপাদান তরল, খনিজ এবং অম্লের ভারসাম্যহীনতার কারণে কিডনিতে পাথর হয়। কিডনিতে পাথর হওয়ার কিছু কারণের কথা জানিয়েছে হেলথ ডট কম।
১. ক্যালসিয়ামের অভাব
কিডনির পাথরে মধ্যে ক্যালসিয়াম থাকে। তাই একসময় খাদ্যে ক্যালসিয়াম কমানোর পরামর্শ দিতেন গবেষকরা। তবে এটা ছিল পুরোনো ধারণা। এখন বিশেষজ্ঞরা বলেন, যারা কম ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার খায়, তাদেরও এই সমস্যা হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, আসলে পুরো বিষয়টিই হলো ভারসাম্যের। বেশিও নয়, কমও নয়, পরিমাণ মতো খেতে হবে।  
২. সবজি
অক্সালেট পাওয়া যায় পাতাযুক্ত শাকসবজিতে। যেমন : পুঁইশাক, বিট পালং ইত্যাদি। এই অক্সালেট ক্যালসিয়ামের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অন্ত্রে ইউরিনারি ট্যাক্ট দিয়ে বের হয়ে যায়। তবে এই অক্সালেট যদি বেশি পরিমাণে হয়, এটি পাথর গঠন করতে পারে। এর মানে এই নয় যে আপনি সবজি খাবেন না। তবে আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ নিয়ে কম অক্সালেট-সমৃদ্ধ সবজি খান।
৩. লবণ
বেশি লবণ খাওয়া কিডনির জন্য ক্ষতিকর। যদি আপনার সোডিয়াম গ্রহণ বেড়ে যায়, তবে কিডনি থেকে ক্যালসিয়াম নিঃসৃত হয়। প্রস্রাবে ক্যালসিয়াম বেড়ে গেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, একজন সুস্থ মানুষ প্রতিদিন দুই হাজার ৩০০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম গ্রহণ করতে পারবেন। তবে যাঁরা উচ্চ রক্তচাপের রোগী, তাঁরা এক হাজার ৫০০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম প্রতিদিন গ্রহণ করতে পারবেন। 
৪. বেশি মাংস খাওয়া
অন্যদিকে বেশি লাল মাংস (গরু খাসি) এবং পোলট্রির মাংস খাওয়া কিডনির পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা সবজি এবং মাছ বেশি খায় তাদের ৩০ থেকে ৫০ ভাগ কিডনির পাথর হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে।
৫. ভৌগোলিক কারণে
দক্ষিণ-পূর্ব ইউনাইটেড স্টেটকে সাধারণত বাইবেল বেল্ট বলা হয়। তবে ইউরোলজিস্টরা একে কিডনি স্টোন বেল্ট হিসেবে বলে থাকেন। আমেরিকান জার্নাল অব এপিডেমোলজি ১৯৯৬ সালে জানিয়েছে, যাঁরা এই এলাকায় থাকেন, তাঁরা কিডনিতে পাথর হওয়ার দ্বিগুণ ঝুঁকিতে থাকেন। কারণ এসব অঞ্চলে তাপমাত্রা বেশি থাকে। এর ফলে এরা প্রচুর ঘামে এবং পানিশূন্যতায় ভোগেন। যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি না পান করেন, তবে কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
৬. বংশগত কারণে
যদি আপনার বাবা-মা কারো এই সমস্যা হওয়ার ঘটনা থাকে, তবে আপনারও কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা থাকবে। জিনগত কারণ এখানে কাজ করে। ওজনাধিক্য এবং ডায়াবেটিস হওয়ার ক্ষেত্রেও জিনগত কিছু কারণ কাজ করে
৭. আইবিডি
যেসব লোকের ইনফ্লামেটরি বাউয়েল রোগ থাকে, তারা কিডনির রোগ হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন। ২০১৩ সালের ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব নিউরোপ্যাথির একটি গবেষণায় এই তথ্য পাওয়া যায়।
৮. ইউরিনারি ট্রাক্ট ইনফেকশন
ইউরিনারি ট্রাক্ট ইনফেকশন আরেকটি কারণ কিডনিতে পাথর হওয়ার। কেবল কিডনিতেই পাথর হয় না, ইউরিনারি ট্রাক্টেও পাথর তৈরি হতে পারে। 
৯. মাইগ্রেনের ওষুধ
টপিরামেট জাতীয় (এটা টোপাম্যাক্স হিসেবে পাওয়া যায়) ওষুধ কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। এগুলো সাধারণত মাইগ্রেনের রোগে ব্যবহার করা হয়। ২০০৬ সালের আমেরিকান জার্নাল অব কিডনি ডিজিজের প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা যায়, টপিরামেট ইউরিনারি ট্র্যাক্টে পিএইচের পরিমাণ বাড়ায় যেটা কিডনিতে পাথর তৈরি হওয়ার জন্য দায়ী। তাই এ ধরনের ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। 
১০. ওজন
২০১১ সালের জার্নাল অব ইউরোলজিতে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়, পাতলা লোকদের থেকে ওজনাধিক্য নারীরা ৩৫ শতাংশ বেশি কিডনির পাথর হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন। বেশি ওজন ইউরিনারি ট্র্যাক্ট পরিবেশকে পরিবর্তন করে, যা কিডনির পাথর হওয়ার প্রক্রিয়া বাড়ায়। প্রস্রাবের পিএইচের মাত্রাকে পরিবর্তন করে; যা ইউরিক এসিড তৈরি করে এবং কিডনিতে পাথরের ঝুঁকি বাড়ায়।

৫ টি ব্লগসাইট যা আপনাকে সবসময় এসইও সম্পর্কে আপ-টু-ডেট রাখতে পারে।

৫ টি ব্লগ সাইট যা আপনাকে সবসময় এসইও সম্পর্কে আপ-টু-ডেট রাখতে পারে
এসইও এমন একটি প্রসেস যেটাতে প্রতিনিয়ক ঘটে চলেছে অনেক ধরনের পরিবর্তন । একজন এসইও ওয়ার্কারকে সবসময় এসব পরিবর্তন সম্পর্কে আপ-টু-ডেট থাকতে হয়। আর গুগোলের একের পর এক নতুন এ্যালগরিদম আটডেটের আত্মপ্রকাশ এবং পুরাতন আপডেটের প্রতিনিয়ত ডাটা রিফ্রেশের কারনে এসইওতে আপ-টু-ডেট থাকার প্রয়োজনিয়তা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি। এসইও করতে কিছুদিন আগেও যে কৌশলগুলো কাজ করতো বর্তমানে সেগুলো কোন কাজে নাও লাগতে পারে আবার আজকের দিনে যেগুলো কাজ করছে ভবিষ্যতে সেগুলো কাজ করবে এমন কোন গ্যারান্টি নেই। একটা উদাহরন দিলে বিষয়টা পরিষ্কার হবে যেমন, একটা সময় ছিল যখন শুধুমাত্র প্রচুর ব্যাকলিঙ্কের জোরেই গুগোলের টপ পেজে আসা যেত। তাই ওয়েবমাস্টাররা তাদের সাইটের জন্য এলোপাতারিভাবে লিঙ্কবিল্ডিং করেই ভালো র্যাঙ্কিং অর্জন করতে সক্ষম হতো। কিন্তু এখনকার দিনে যদি কেও এমনটা করে তাহলে টপ র্যাঙ্কিং পাওয়া তো দুরের কথা উল্টো সাইট সার্প থেকে পেনাল্টি খেতে পারে, এখন ব্যাকলিঙ্ক তৈরী করতে হয় অনেক ভেবে চিন্তে।
কোনভাবে এসইও করলে সাইট ভালো র্যাঙ্ক করবে, কোন সাইটের জন্য কোন স্ট্রাটেজি ফলো করতে হবে, সাইটকে নিরাপদ রাখতে কি করতে হবে, কোন কাজ করলে লং-টাইম র্যাঙ্কিং অর্জন করা যাবে- একজন এসইও ওয়ার্কারকে সবসময় এসব বিষয়ে খোজ-খবর রাখতে হয়।
আজ আপনাদেরকে ৫ টি ব্লগসাইটের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবো যেগুলো আপনাকে সব সময় এসইও এর নিয়মিত খোজ-খবর রাখতে সাহায্য করবে।
তাহলে শুরু করা যাক........
# ০১
নামঃ The Google Blog
এসইও এর কথা বলতে গেলে গুগোলের কথা না বলে উপায় নেই। গুগোলকে সার্চ ইঞ্জিন জ্যায়ান্ট বলা হয, এসইও জগতের প্রায় সবকিছুতেই গুগোলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রন রয়েছে। এজন্য গুগোল সম্পর্কে সবসময় সচেতন থাকা উচিৎ। এই ব্লগটি গুগোলের নিজস্ব ব্লগ, গুগোলের যেকোন সংবাদ এখানে নিয়মিত প্রকাশ করা হয়। তাই এই ব্লগটি একজন এসইও ওয়ার্কারকে অনেক অংশেই সাহায্য করতে পারে।
# ০২
নামঃ Moz
এটি এসইও বিষয়ক অনেক বড় মাপের একটি ব্লগসাইট। এখান থেকে এসইও এর বিভিন্ন টিপস্, ট্রিকস্ আর কৌশল সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যায়। তাছাড়া এরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন টিউটোরিয়ালও ইউটিউবে প্রকাশ করে থাকে।
এ্যাডভান্স এসইও এক্সপার্ট হতে হলে অবশ্যই এই ব্লগের একজন নিয়মিত পাঠক হওয়া উচিৎ।
# ০৩
নামঃ Search Engine Journal
এটিও সার্চ ইঞ্জিন এবং এসইও বিষয়ক অনেক তথ্যবহুল একটি ব্লগসাইট। এখান থেকেও এসইও এর বিভিন্ন বিষয়ে অনেক কিছু জানা যায়। একজন এসইও ওয়ার্কার এর নিয়মিত ভিজিট করা ব্লগের তালিকায় অবশ্যই এই ব্লগটা থাকা উচিৎ।
# ০৪
নামঃ Search Engine Land
এই ব্লগটি অনেক জনপ্রিয় একটি ব্লগ। এরা সবসময় এসইও এর সর্বশেষ নিউজ সবার আগে দেয়ার জন্য বিখ্যাত। এসইও বিষয়ে অনেক প্রশ্নের উত্তরই এখান থেকে পাওয়া যাবে।
# ০৫
নামঃ Search Engine Watch
ইউআরএলঃ http://searchenginewatch.com
এই ব্লগটি সম্পর্কে বেশি কিছু বলার প্রয়োজন নেই। এখানে এসইও এর বিভিন্ন নিউজ অনেক বিস্তারিত এবং তথ্যবহুলভাবে প্রকাশ করা হয়। ব্লগটিতে ভিজিট করলে নিজেরাই এর গুরুত্ব বুঝতে পারবেন।
.
এসইও এর বিভিন্ন বিষয়ের জন্য এই ব্লগসাইটগুলোর সারা বিশ্বে অনেক জনপ্রিয়তা রয়েছে। এসইও সম্পর্কে আপ-টু-ডেট থাকতে এই ব্লগগুলো অনেক সাহায্য করে। তাই আপনি যদি একজন আপ-টু-ডেট এসইও ওয়ার্কার হতে চান তাহলে আপনার অবশ্যই এই ব্লগসাইটগুলোর একজন নিয়মিত ভিজিটর হওয়া উচিৎ।

ইন্টারনেট জগতের সবচেয়ে আলোচিত দুই প্রাণী পান্ডা ও পেঙ্গুইনের পরিচয় এবং এদের থেকে আপনার সাইটকে নিরাপদ রাখার কৌশল।

google-panda-penguin-updates-bangla


[A Complete Guideline By SA]
.
.
বিশ্বের বড় বড় সব ইউনিভার্সিটির বায়োলজি ক্লাসেও কোন প্রাণীকে নিয়ে কোনদিন এতটা আলোচনা করা হয় নি যতটা আলোচনা করা হয়েছে ভার্চুয়াল জগতের দুই প্রাণী পান্ডা ও পেঙ্গুইনকে নিয়েInternet জগতের এই তুমুল আলোচিত প্রাণী দু'টো বাস্তবে কোন প্রাণী না হলেও এদের ওয়ার্কিং এলগরিদম এবং স্মার্টনেস কোন বুদ্ধিসম্পন্ন প্রাণীর চেয়ে কোন অংশেই কম নয় বরং তাদের থেকে অনেক বেশী। 
এই দুই ভার্চুয়াল প্রাণী হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় সার্চ ইঞ্জিন দি সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট গুগোলের সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য ও নির্ভরযোগ্য এবং নিখুত কার্যক্ষমতা সম্পন্ন দু'টো এলগরিদম আপডেট, যা কোন সাইটকে তাদের কুয়ালিটি, তথ্যের পরিমান, তথ্যের গুরুত্বপুর্নতা, সাইটের ডোমেইন, ইউজার এক্সপেরিয়েন্স, বাউন্স রেট, ট্রাফিক ডেটা ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় এর ওপর নির্ভর করে নির্দিষ্ট র্যাঙ্ক প্রদান করে এবং সেই র্যাঙ্ক অনুযায়ি সার্চ রেজাল্টে বিভিন্ন সাইটকে ইউজারদের সার্চকৃত কিওয়ার্ডের ভিত্তিতে প্রদর্শন করে
গুগোল তাদের ইউজারদেরকে আরো ভালো সুযোগ-সুবিধা দিতে এবং সবসময় ইউজারদের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনিয় তথ্য খুজে দেয়ার লক্ষে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলগরিদম আপডেট নিয়ে আসেএসব আপডেট এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন এবং এসইও এর ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তারকারী আপডেট হলো এই পান্ডা এবং পেঙ্গুইন এলগরিদম আপডেটএদেরকে গুগোল পান্ডা আপডেট এবং গুগোল পেঙ্গুইন আপডেট বলা হয়এদেরকে গুগোলের দু'টো শক্তিশালি অস্ত্রও বলা যায় যা প্রতিনিয়ত ওয়েবস্প্যাম এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেই চলেছে
.
এই পোস্টে আপনাদেরকে জানাবো গুগোলের এই দুই ওয়েবস্প্যাম প্রতিরোধকারী শক্তিশালি অস্ত্রের পরিচয় এবং তাদের থেকে আপনার সাইটকে নিরাপদ রাখার সঠিক কৌশল
.
# গুগোল পান্ডা ও পেঙ্গুইন আপডেটের পরিচয়ঃ
>> গুগোল পান্ডা আপডেটঃ
গুগোল প্রথম পান্ডা আপডেট রিলিজ করে ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, সে সময় এর প্রধান লক্ষ ছিল লো কুয়ালিটি ও দুর্বল সাইটগুলোকে সার্চ র্যাঙ্কিং থেকে নিচে নামিয়ে দেয়া এবং হাই কুয়ালিটি ও বেশি তথ্যবহুল সাইটগুলোকে সার্চ রেজাল্টে টপ পজিশনে নিয়ে আসাপ্রথম পান্ডা আপডেট রিলিজ করার পর সকল সার্চ রেজাল্টের প্রায় ১২% এর ওপর প্রভাব ফেলে, যা অনেক সাইটকে র্যাঙ্কিং এ নিচে নামিয়ে দেয় পাশাপাশি ভালো মানের সাইটগুলোকে র্যাঙ্কিং এ ওপরে উঠিয়ে দেয়এরপর বিভিন্ন সময় পান্ডার বিভিন্ন ভার্সন রিলিজ করা হয়, যার সবগুলোরই প্রধান লক্ষ ছিল লো কুয়ালিটি সাইট এবং পেজ যেগুলো সার্চ ইঞ্জিনে ভালো র্যাঙ্কিং এ ছিল সেগুলোকে সরিয়ে হাই কুয়ালিটি এবং বিশ্বাসযোগ্য সাইটগুলোকে র্যাঙ্কিং এর প্রথমে নিয়ে আসা
সর্বশেষ ২০১৫ সালের জুলাই মাসের ১৮ তারিখে পান্ডার লেটেস্ট ভার্সন পান্ডা ৪.২ রিলিজ করা হয়েছে
>>পেঙ্গুইন আপডেটঃ
২০১২ সালের ২৪ এপ্রিলে প্রথম পেঙ্গুইন আপডেট রিলিজ করা হয়এই আপডেট এর লক্ষ ছিল বিভিন্ন সাইট যেগুলো গুগোলের ওয়েবমাস্টার গাইডলাইন অমান্য করেছে এবং বিভিন্ন ব্লাক হ্যাট এসইও টেকনিক ব্যাবহার করে টপ র্যাঙ্কিং এ এসেছে সেগুলোর র্যাঙ্কিং নিচে নামিয়ে দেয়া প্রথম রিলিজের পর সকল সার্চ কুয়েরির মধ্যে ইংরেজি ভাষার ৩.১%, প্রায় ৩% এর মত জার্মান, চাইনিজ ও অ্যারাবিক ভাষার এবং অন্যান্ন বিভিন্ন স্প্যামিং ভাষা ব্যাবহারকারী বহু সাইট পেঙ্গুইন আপডেট দ্বারা আক্রান্ত হয়২৫ মে, ২০১২ সালে পেঙ্গুইন ১.১ নামে দ্বিতীয়বারের মত পেঙ্গুইন আপডেট রিলিজ করে গুগোলএই আপডেট এর প্রধান লক্ষ ছিল অবৈধ পদ্ধতি ব্যাবহার করে টপ র্যাঙ্কিং এ আসা সাইটগুলোকে পেনালাইজ করে সার্চ রেজাল্ট থেকে বের করে দেয়া
এরপর আরো কয়েকবার পেঙ্গুইন আপডেটের বিভিন্ন ভার্সন রিলিজ করা হয়, যার সবগুলোরই লক্ষ ছিল মুলত স্প্যাম প্রতিরোধ করা এবং ব্লাক হ্যাট এসইও ব্যাবহার করে টপ র্যাঙ্কিং এ আসা সাইটগুলোকে পেনালাইজ করা
.
পান্ডা এবং পেঙ্গুইন উভয় আপডেটই এসইও জগতে অনেক পরিবর্তন নিয়ে আসেএই আপডেটগুলোর পর থেকে গুগোল গাইডলাইন মেনে চলা এবং সাইটকে কুয়ালিটি সম্পন্ন ও সঠিকভাবে তথ্যবহুল করা একরকম বাধ্যতামুলক হয়ে গিয়েছেগুগোল পান্ডা এবং পেঙ্গুইন দুই আপডেটই যে কারো সাইটকে মারাত্বকভাবে আক্রান্ত করতে পারে তাই অবশ্যই সঠিক পদ্ধতিতে এসইও করতে হবে এবং গুগোলের সকল গাইডলাইন মেনে চলতে হবেপান্ডা আপডেটে কোন সাইট আক্রান্ত হলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সহজেই সেই সাইট রিকভার করা যায় কিন্তু পেঙ্গুইন আক্রান্ত সাইটকে রিকভার করা অনেক সময় খুব কঠিন হয়ে যায় এবং কিছু কিছু ক্ষেেত্র রিকভার করা সম্ভবই হয় নাতাই পান্ডা আপডেট সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে এবং অবশ্যই পেঙ্গুইন আপডেট সম্পর্কে অনেক বেশি সচেতন থাকতে হবে
.
সাইটকে পান্ডা এবং পেঙ্গুইন আপডেট থেকে নিরাপদ রাখতে গুগোলের গাইডলাইন মেনে হোয়াইট হ্যাট এসইও করতে হবেএজন্য অনপেজ ও অফপেজ এসইওতে কিছু কৌশল অবশ্যই মেনে চলতে হবে
চলুন জেনে নেয়া যাক অত্যান্ত গুরুত্বপুর্ন এই কৌশলগুলো
.
# অনপেজ এসইও এর ক্ষেত্রেঃ
>> কন্টেন্ট কুয়ালিটিঃ যে কোন ওয়েবসাইটের জন্য কন্টেন্ট খুবই গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা রাখেযদি কোন সাইটের কন্টেন্ট এর মান খারাপ হয় তাহলে সেই সাইট সার্চ ইঞ্জিনে ভালো র্যাঙ্ক করতে পারে নাতাই কন্টেন্টকে অবশ্যই মানসম্পন্ন করতে হবেকন্টেন্ট এর মান মুলত নির্ভর করে সেখানে কি পরিমান তথ্য আছে, তথ্যগুলো সঠিক কিনা, ভিজিটররা সহজেই তথ্যগুলো পাচ্ছে কিনা এসবের ওপরতাই অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে কন্টেন্ট যেন খুব বেশি ছোট না হয় আর তথ্যবহুল হয় এবং ভিজিটররা যেন সহজেই তাদের প্রয়োজনিয় তথ্যটা পেয়ে যায়
>> ইউনিক কন্টেন্টঃ ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট শুধুমাত্র মানসম্পন্ন হলেই হবে না, কন্টেন্টগুলো অবশ্যই ইউনিক হতে হবেঅন্য কোন সাইট থেকে কন্টেন্ট কপি করে সেটা নিজের সাইটে দিলে কখনো ভালো ফল পাওয়া যাবে না, বরং সাইটটা যেকোন সময় সার্চ রেজাল্টে নিচে নেমে যেতে পারেগুগোলের কাছে বিশ্বের প্রায় সব ওয়েবসাইটের তথ্য আছে তাই আপনি যে সাইট থেকেই কন্টেন্ট কপি করেন না কেন গুগোল সেটা অবশ্যই ধরতে পারবে এবং এধরনের কপি করা কন্টেন্ট এর ওয়েবসাইটকে গুগোল মোটেও ভালো চোখে দেখে না, তাছাড়া এটা গুগোলের ওয়েবমাস্টার গাইডলাইনও ভঙ্গ করেতাই সাইটকে নিরাপদ রাখতে কপি পেস্ট থেকে সম্পুর্নরুপে বিরত থাকা উচিৎতবে বিভিন্ন কন্টেন্ট হতে ধারনা নিয়ে নিজে কন্টেন্ট তৈরী করতে পারেন, শুধু খেয়াল রাখতে হবে সেটা যেন কপি করা না হয়
>> কন্টেন্ট সাইজঃ প্রথমেই বলেছি কন্টেন্ট এর কুয়ালিটি ভালো হতে হবে আর কুয়ালিটি ভালো করতে হলে অবশ্যই কন্টেন্ট সাইজ প্রয়োজনিয় বড় করতে হবেবাফারএ্যাপ এর প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে বলা যায় একটা ব্লগ পোস্টে ১৬০০ এর মত ওয়ার্ড থাকা উচিৎ, যেটা পড়তে ভিজিটরদের ৭ মিনিটের মত সময় লাগতে পারেতাই বলে এই নয় যে অপ্রয়োজনিয় তথ্য দিয়ে কন্টেন্টকে বড় করতে হবেযদি কোন কন্টেন্ট এ কম তথ্য দেয়ার প্রয়োজন হয় তাহলে সেটাকে বড় না করাই ভালোঅপ্রয়োজনিয় তথ্য দিয়ে কন্টেন্টকে বড় করলে ভিজিটররা বিভ্রান্ত হয়, যা মোটেও ভালো কথা নয়তাই অপ্রয়োজনিয় তথ্য দিয়ে কন্টেন্টকে বড় করা যাবে নাতবে কমপক্ষে ১০০ ওয়ার্ড এর মত রাখা উচিৎ, এর চেয়ে ছোট করা ঠিক না
>> এ্যাবোভ দি ফোল্ড কন্টেন্টঃ কোন কন্টেন্ট এর ওপরের অংশ বা কন্টেন্ট এর প্রথম প্যারার ওপরের অংশকে এ্যাবোভ দি ফোল্ড কন্টেন্ট বলা হয়কন্টেন্টকে এমন ভাবে তৈরী করতে হবে যেন এর প্রথম অংশ দেখেই বোঝা যায় সম্পুর্ন কন্টেন্ট হতে কি ধরনের তথ্য পাওয়া যাবেতাই কন্টেন্ট এর ওপরের অংশে সম্পুর্ন কন্টেন্ট এর সম্পর্কে একটা ধারনা দিতে হবে এবং এ অংশে সঠিকভাবে কিওয়ার্ড ব্যাবহার করতে হবেএতে সার্চ ইঞ্জিন বা ভিজিটর উভয়ই খুব সহজেই সম্পুর্ন কন্টেন্ট সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারনা পেয়ে যাবে
>> কিওয়ার্ড ডেনসিটিঃ কিওয়ার্ড ডেনসিটি হলো কোন সাইটের মধ্যে কিওয়ার্ডের ঘনত্ব, অর্থাৎ একটা সাইটের মধ্যে ওই সাইটের কিওয়ার্ড এর উপস্থিতির হারকে কিওয়ার্ড ডেনসিটি বলেসাইটের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে এবং কন্টেন্ট এর মধ্যে কিওয়ার্ড রাখতে হয় এতে সার্চ ইঞ্জিন বুঝতে পারে সাইটে কি ধরনের তথ্য আছে এবং কোন ভিজিটর যখন ওই কিওয়ার্ড লিখে সার্চ করে তখন সার্চ ইঞ্জিন তার র্যাঙ্কিং এর ভিত্তিতে সাইটকে সার্চ রেজাল্টে প্রদর্শন করেতবে কোন সাইটের মধ্যে যদি মাত্রাতিরিক্ত হারে কিওয়ার্ড দেয়া হয় তাহলে গুগোল সেটাকে স্প্যাম হিসেবে গ্রহন করবে অর্থাৎ গুগোল ধরে নেবে আপনি কোন নির্দিষ্ট একটি বিষয়কে অবৈধভাবে সার্চ রেজাল্টে আনার চেষ্টা করছেনআর গুগোলের পেঙ্গুইন আপডেটের প্রধান লক্ষ যেহেতু স্প্যাম প্রতিরোধ করা তাই অতিরিক্ত হারে কিওয়ার্ড দেয়ার ফলে আপনার সাইট যেকোন মুহুর্তে পেঙ্গুইন এ্যাটাকের শিকার হতে পারেএছাড়াও কন্টেন্টের মধ্যে অতিরিক্ত কিওয়ার্ড ব্যাবহারের ফলে কন্টেন্ট এর মান কমে যায়, যা সাইটের জন্য ক্ষতিকরতাই সাইটকে নিরাপদ রাখতে হলে অবশ্যই কিওয়ার্ড ডেনসিটি সঠিক রাখতে হবে, প্রয়োজন ছাড়া কন্টেন্ট এ কিওয়ার্ড দেয়া ঠিক নয়বিভিন্ন এসইও স্পেশালিস্টদের মতে কন্টেন্ট এ কিওয়ার্ড ডেনসিটি ১৫% এর মত হলে ভালো
>> ইন্টারনাল লিঙ্কিং প্যাটার্নঃ ইন্টারনাল লিঙ্কিং হলো সাইটের ভেতরের বিভিন্ন লিঙ্ক, যেগুলো সাইটের এক পেজকে অন্য এক বা একাধিক পেজের সাথে লিঙ্কিং করেঅর্থাৎ সাইটের মধ্যে বিভিন্ন পেজকে এ্যাঙ্কর টেক্সট্ এর মাধ্যমে যে লিঙ্কিং করা হয় সেটাকে ইন্টারনাল লিঙ্কিং বলেএই লিঙ্কগুলোর মাধ্যমে ভিজিটররা সহজেই সাইটের এক পেজ থেকে অন্য পেজে যেতে পারেসাইটের ইন্টারনাল লিঙ্কিং এমন হওয়া উচিৎ যাতে ভিজিটররা হোমপেজ থেকে সাইটের অন্যান্ন বিভিন্ন পেজে যেতে পারে এবং এই লিঙ্কগুলোর এ্যাঙ্কর টেক্সট্গুলো দেখেই যেন বোঝা যায় সেখানে ক্লিক করলে কোন পেজ ওপেন হবেমুলত সাইটের মধ্যে ভিজিটররা যাতে খুব সহজেই নেভিগেশন করতে পারে সেভাবেই লিঙ্কিং করতে হবেএতে ভিজিটররা সাইট ব্রাউজ করতে স্বাচ্ছন্দবোধ করবে তাছাড়া ইন্টারনাল লিঙ্কিং ভালো হলে গুগোলও সেটাকে ভালো চোখে দেখে
>> মেটাডেটাঃ সাইটের এসইও এর জন্য মেটা ট্যাগ গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা রাখেমেটা ট্যাগের সাহায্যে সাইটের মধ্যে যেকোন পেজ সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যায়তাছাড়া গুগোল কোন পেজ সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য পেতে মেটা ট্যাগের ওপর নির্ভর করেতাই বুঝতেই পারছেন মেটা ট্যাগ সাইটের জন্য কতটা গুরুত্বপুর্ন, এজন্য অবশ্যই সঠিকভাবে এবং সঠিক পদ্ধতিতে সাইটে মেটা ট্যাগ দিতে হবেপ্রথমেই খেয়াল রাখতে হবে আপনি অবশ্যই ভিজিটরদের জন্য মেটা ট্যাগ তৈরী করছেন, গুগোলের জন্য নাতাই আগে খেয়াল রাখতে হবে ভিজিটরদের কথা তারপর গুগোলঅর্থাৎ মেটা ট্যাগে শুধুমাত্র কিওয়ার্ড বসিয়ে সার্চ ইঞ্জিনকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করলে সেটা ক্ষতি ছাড়া কোন উপকার করবে নাকারন গুগোল পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছে ভিজিটরদের কথা খেয়াল রেখে এসইও করুন, গুগোলের কথা নাতাই অবশ্যই মানসম্পন্ন মেটা ট্যাগ তৈরী করে সেটা সাইটে দিতে হবে
>> এ্যাড রেশিওঃ আপনি সাইট তৈরী করেছেন সেটা থেকে আয় করার জন্য আর সেই আয় করতে হলে আপনার সাইটে অবশব্যই এ্যাড বা বিজ্ঞাপন দিতে হবেকিন্তু এই এ্যাডের পরিমান যদি বেশি হয়ে যায় তাহলে পান্ডা হিটের সম্ভাবনা বেড়ে যায়মুলত কোন সাইটের পেজে যদি কন্টেন্ট রিলেটেড এ্যাড অত্যাধিক বেশি পরিমানে থাকে তাহলে সেই সাইটে পান্ডা এ্যাটাকের সম্ভাবনা আছেতাই সাইটে অত্যাধিক মাত্রায় এ্যাড দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে আর তাছাড়া কোন সাইটে অতিরিক্ত বেশি পরিমানে এ্যাড থাকলে গুগোল সেটাকে স্প্যাম হিসেবে দেখে, আর গুগোলের চোখে কোন সাইট স্প্যামিং সাইট হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার ফল কি সেটা আগেই বলেছিকিন্তু সাইট থেকে ইনকাম করতে হলে তো অবশ্যই সাইটে এ্যাড দিতে হবেতাই সঠিক পদ্ধতিতে, সঠিক রেশিও ফলো করেই কাজটা করতে হবে
>> ক্লোকিং টেকনিকঃ ক্লোকিং হলো এক ধরনের ব্লাকহ্যাট এসইও টেকনিক যেটা ব্যাবহারের মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিনকে এক ধরনের কন্টেন্ট দেখানো হয় এবং ভিজিটরদেরকে অন্য ধরনের কন্টেন্ট দেখানো হয়অর্থাৎ সার্চ ইঞ্জিন স্পাইডার বা ক্রউলার যখন কোন ওয়েব সাইটের কোন পেজে যায় তখন সার্ভার সাইড স্ক্রিপ্টিং এর মাধ্যমে এদেরকে ভালো মানের ও তথ্যবহুল কন্টেন্ট দেখানো হয় তাই সার্চ ইঞ্জিন ক্রউলার সেটাকে সার্চ রেজাল্টে ভালো র্যাঙ্কিং এ রাখেকিন্তু কোন ভিজিটর যখন ব্রাউজারের মাধ্যমে সার্চ রেজাল্ট খেকে ওই পেজে যায় তখন একই ধরনের সার্ভার সাইড স্ক্রিপ্টিং ব্যাবহারের মাধ্যমে ভিজিটরের ব্রাউজারে স্প্যামিং কন্টেন্ট প্রদর্শন করা হয়ক্লোকিং এর মুল উদ্যেশ্যই হলো স্প্যামিং করে অবৈধভাবে ইনকাম করাকিন্তু গুগোল এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি স্মার্ট তাই এখন আর ক্লোকিং করে পার পাওয়ার কোন উপায় নেইএখনকার সময়ে ক্লোকিং করলে গুগোল সেটাকে ধরতে সক্ষম এবং সাইটকে পেনালাইজ করতে প্রস্তুততাই সাইটে ক্লোকিং করা থেকে সম্পুর্নরুপে বিরত থাকতে হবে
>> ডোরওয়ে পেজঃ ডোরওয়ে পেজকেও এক ধরনের ক্লোকিং টেকনিকই বলা যায়, যার প্রধান উদ্যেশ্যই মুলত স্প্যামিং এর মাধ্যমে ইনকাম করাকেও যদি ডোরওয়ে পেজ ক্রিয়েট করে এবং কোন ভিজিটর যদি সার্চ রেজাল্ট থেকে ওই পেজে ক্লিক করে তাহলে সেই ভিজিটর একটি মেটা রিফ্রেশ কমান্ডের মাধ্যমে অন্য একটি পেজে রিডাইরেক্ট হয়ে যাবেঅর্থাৎ ভিজিটরের ব্রাউজারে একটি স্প্যামিং কন্টেন্ট ধারনকৃত পেজ ওপেন হবেএটাও একটি ব্লাকহ্যাট এসইও টেকনিক এবং এটা গুগোলের নীতিমালা ভঙ্গ করেতাই সাইটে কখনো ডোরওয়ে পেজ তৈরী করা উচিৎ নয়
.
# অফপেজ এসইও এর ক্ষেত্রেঃ
>> রিলেভেন্ট ব্যাকলিঙ্কঃ ওয়েব সাইটকে র্যাঙ্ক করাতে ব্যাকলিঙ্ক দারুন সহযোগিতা করতে পারেকিন্তু গুগোল স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছে যে, ব্যাকলিঙ্কগুলো অবশ্যই রিলেভেন্ট সাইট থেকে নিতে হবেঅর্থাৎ এমন কোন সাইটে ব্যাকলিঙ্ক করতে হবে যে সাইটের বিষয়বস্তুর সাথে ব্যাকলিঙ্ককারী সাইটের বিষয়বস্তুর মিল আছেতাই অবশ্যই নিশ বা কিওয়ার্ড রিলেটেড সাইটে ব্যাকলিঙ্ক করতে হবেএটা র্যাঙ্কিং এ যেমন সহায়তা করে তেমনই ওই সব সাইট থেকে ভিজিটর আনতেও সাহায্য করে
>> ব্যাকলিঙ্ক কুয়ালিটিঃ সাইটের জন্য যে ব্যাকলিঙ্ক করা হবে সেগুলো অবশ্যই ভালো মানের হতে হবেঅর্থাৎ হাই পেজ র্যাঙ্ক, ডোমেইন অথোরিটি, ভালো রেপুটেশন ইত্যাদি বিষয় আছে এমন সাইটে ব্যাকলিঙ্ক করতে হবেআপনি যদি এমন কোন সাইটে ব্যাকলিঙ্ক করেন যেটা ইতিমধ্যে গুগোল থেকে পেনাল্টি খেয়েছে অথবা এমন কোন সাইট যেটা ডুপ্লিকেট বা কপি করা কন্টেন্ট ইউজ করেছে তাহলে আপনার সাইটের র্যাঙ্কিং বৃদ্ধি পাওয়ার বদলে উল্টো কমে যেতে পারেঅর্থাৎ আপনি যদি এমন কোন সাইটে ব্যাকলিঙ্ক করেন যে সাইট গুগোল ওয়েবমাস্টার বা গুগোল কুয়ালিটি গাইডলাইন ভঙ্গ করেছে তাহলে সেই ব্যাকলিঙ্ক আপনার সাইটের জন্য ক্ষতিকর হতে পারেতাই অবশ্যই ব্যাকলিঙ্কগুলো ভালো মানস্মপন্ন হতে হবে এবং সঠিক লিঙ্ক বিল্ডিং স্ট্রাটেজি ফলো করে করতে হবে
>> এ্যাঙ্কর টেক্সট্ কিওয়ার্ডঃ এ্যাঙ্কর টেক্সট্ এর মধ্যে কিওয়ার্ড রাখাটা বুদ্ধিমানের কাজকেননা এ্যাঙ্কর টেক্সট্ গুগোলকে লিঙ্ক সম্পর্কে একটা ভালো ধারনা দিতে পারেব্যাকলিঙ্ক করার সময় সেটার এ্যাঙ্কর টেক্সট্ এ টার্গেটেড কিওয়ার্ড রাখতে হবেঅর্থাৎ যদি কোন সাইট বা পেজের ব্যাকলিঙ্ক করা হয় তাহলে সেটার এ্যাঙ্কর টেক্সট্ এ Click here, Click to know more, Go to this site ইত্যাদিভাবে দেয়া ঠিক না, কারন গুগোল এগুলোকে অনেক সময় স্প্যাম হিসেবে দেখে, এজন্য এ্যাঙ্কর টেক্সট্ এ কিওয়ার্ড রাখা উচিৎএক্ষেত্রে বলা যায় যদি কোন কার সেলিং রিলেটেড সাইটের ব্যাকলিঙ্ক করতে হয় তাহলে সেটার এ্যাঙ্কর টেক্সট্ এ Click to buy a car, Buy a brand car, car selling company এইভাবে কিওয়ার্ড দিয়ে করা ভালোএতে ভিজিটররা বুঝতে পারে সেখানে ক্লিক করলে কোন ধরনের পেজ ওপেন হবে, পাশাপাশি গুগোলও লিঙ্ক সম্পর্কে একটা প্রাথমিক তথ্য পায়, যার ফলে গুগোলের কাছে ব্যাকলিঙ্কগুলো মানসম্পন্ন হয় এবং পেঙ্গুইন এ্যাটাকের সম্ভাবনা কমে যায়আর একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, ব্যাকলিঙ্কে কখনো কোন স্প্যাম ওয়ার্ড যেমন, Money, Free, Earn ইত্যাদি দেয়া ঠিক না
>> এ্যাঙ্কর টেক্সট্ কুয়ালিটিঃ ব্যাকলিঙ্ক করার সময় সেটার এ্যাঙ্কর টেক্সট্ কুয়ালিটি অবশ্যই ভালো হতে হবেএকটা ব্যাকলিঙ্ক এমনভাবে করতে হবে যেন সেটার এ্যাঙ্কর টেক্সট্ দেখলেই বোঝা যায় সেখানে ক্লিক করলে কি ধরনের পেজ আসবেঅর্থাৎ এ্যাঙ্কর টেক্সট্ এ অবশ্যই অর্থবহ শব্দ এবং টার্গেটেড কিওয়ার্ড রাখতে হবে, যাতে সহজেই সেই ব্যাকলিঙ্কটা সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যায়
>> ন্যাচারাল ব্যাকলিঙ্কিং টেকনিকঃ কোন সাইটের ব্যাকলিঙ্ক করার সময় খেয়াল রাখতে হবে ব্যাকলিঙ্কগুলো যেন সাভাবিক দেখায়অর্থাৎ ব্যাকলিঙ্কগুলো দেখে কোন ভাবেই যেন মনে না হয় আপনি স্প্যামিং করছেনকোন সাইটের ব্যাকলিঙ্ক করার সময় সবগুলো বা বেশিরভাগ ব্যাকলিঙ্কের এ্যাঙ্কর টেক্সট্ এ যদি একই কিওয়ার্ড ব্যাবহার করেন তাহলে সেটা স্প্যামিং হিসেবে গণ্য হয়ধরুন আপনি কার সেলিং বিষয়ক একটা সাইটের এসইও করছেন, এখন আপনি যদি একটা ব্যাকলিঙ্কের এ্যাঙ্কর টেক্সট্ এ Buy car দেন, অন্য আরেকটায়ও দিলেন Buy car, এবং সবগুলোতেই দিলেন Buy car অর্থাৎ সব ব্যাকলিঙ্কে একই এ্যাঙ্কর টেক্সট্ ব্যাবহার করলেন তাহলে গুগোল ভাববে আপনি কোন একটি নির্দিষ্ট কিওয়ার্ডকে অবৈধভাবে র্যাঙ্ক করাতে চাচ্ছেন, যেটা সাধারনত স্প্যামিং হিসেবেই বিবেচিত হয়তাই এভাবে ব্যাকলিঙ্ক করা থেকে বিরত থাকতে হবে
>> ন্যাচারাল লিঙ্কবিল্ডিং টেকনিকঃ ব্যাকলিঙ্ক দুই ধরনের হয়, ডুফলো ব্যাকলিঙ্ক এবং নোফলো ব্যাকলিঙ্কযে ব্যাকলিঙ্কগুলো গুগোল ফলো করে এবং ক্লিক করা যায় অর্থাৎ যে ব্যাকলিঙ্কগুলো গুগোলবটের গ্রহন করার অনুমতি থাকে সেগুলোকে ডুফলো ব্যাকলিঙ্ক বলেআর নোফলো ব্যাকলিঙ্ক বলা হয় যে ব্যাকলিঙ্কগুলো গুগোল ফলো করে না সেগুলোকেসাইটকে র্যাঙ্ক করাতে মুলত ডুফলো ব্যাকলিঙ্ক সহায়তা করে, এক্ষেত্রে নোফলো ব্যাকলিঙ্ক কোন ভূমিকা রাখে নাকিন্তু আপনি যদি সাইটের জন্য শুধুমাত্র ডুফলো ব্যাকলিঙ্ক করেন তাহলে গুগোল সেটাকে ভালো চোখে দেখবে না, কারন গুগোল ধরে নেবে আপনি বেআইনি ভাবে সাইটকে র্যাঙ্ক করাতে চাচ্ছেনএজন্য ডুফলো ব্যাকলিঙ্কের পাশাপাশি কিছু নোফলো ব্যাকলিঙ্কও করতে হবেবিভিন্ন এসইও এক্সপার্টদের মতে সাইটের জন্য ডুফলো ও নোফলো ব্যাকলিঙ্কের রেশিও ১০০:১৫ এর মত থাকা ভালো
>> ইউজিং ডিজ্যাভো টুলঃ অনেক সময় কিছু লো কুয়ালিটি ব্যাকলিঙ্ক বা স্প্যামিং ব্যাকলিঙ্ক সাইটের জন্য ক্ষতিকর হতে পারেকিছু কিছু ক্ষেত্রে এসব ব্যাকলিঙ্কের পরিমান কয়েক হাজারও হয়এসব ক্ষেত্রে ব্যাবলিঙ্কগুলো ডিলিট করাও কোন ভাবে সম্ভব হয় না 
এমন পরিস্থিতিতে ব্যাবহার করতে হবে গুগোল ডিজ্যাভো টুলএটি এমন একটি টুল যেটি ব্যাবহারের মাধ্যমে আপনি গুগোলকে বলতে পারবেন কোন ব্যাকলিঙ্কগুলো কাউন্ট করবে আর কোন ব্যাকলিঙ্কগুলো করবে নাসাইটের জন্য ক্ষতিকর ব্যাকলিঙ্কগুলো চিন্হিত করে ডিজ্যাভো টুলের মাধ্যমে গুগোলকে কমান্ড দিতে হবে সেগুলো যেন কাউন্ট না করেঅর্থাৎ আপনি গুগোলকে বলতে পারছেন আপনি এই ব্যাকলিঙ্কগুলো চাচ্ছেন নাএতে ক্ষতিকর ব্যাকলিঙ্কগুলো সাইটে আর কোন প্রভাব ফেলতে পারবে না
এখন বুঝতেই পারছেন এটি এসইও এর জন্য কতটা গুরুত্বপুর্ন একটা টুলতাই এই টুলের সঠিক ব্যাবহার জানতে হবে
>> সোশ্যাল সিগনালঃ 


ফেসবুক, গুগোল+, টুইটার, লিঙ্কড্ইন এবং এ ধরনের বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে মানুষজন যে লাইক, কমেন্ট, শেয়ার, ভোট, পিন ইত্যাদি করে এগুলোকে সোশ্যাল সিগনাল বলেপ্রথমে একটা কথা মনে রাখতে হবে, সোশ্যাল সিগনাল কোন র্যাঙ্কিং ফ্যাক্টর না তবে এটা সাইটের জন্য এমন কিছু কাজ করে যেটার ফলে গুগোল পান্ডা ও পেঙ্গুইন থেকে সাইটকে নিরাপদ রাখা যায়
কোন সাইট সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে আলোচনা হলে গুগোল সেটাকে ভালো চোখে দেখে, গুগোল দেখবে মানুষজন আপনার সাইট নিয়ে আলাপ-আলোচনা করছে তার মানে আপনার সাইটটা ভালো মানের হতে পারেতাছাড়া সোশ্যাল মিডিয়া সাইট থেকে প্রচুর ট্রাফিক নিজের সাইটে নিয়ে আসা যায়আর সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন যে বিষয় সেটা হলো সোশ্যাল মিডিয়া সাইট থেকে রিটার্নিং ভিজিটর পাওয়া যায়, যেটা গুগোল এসইও এর জন্য খুবই গুরুত্বপুর্নতাই সাইটের সোশ্যাল সিগনাল বৃদ্ধি করার ব্যাপারে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে
>> লিঙ্ক একচেঞ্জ, পেইড লিঙ্কঃ অন্য কোন সাইটের সাথে ব্যাকলিঙ্ক আদান-প্রদান করা অর্থাৎ নিজের সাইটে অন্য কোন সাইটের লিঙ্ক দেয়ার বিনিময়ে ওই সাইটে নিজের সাইটের লিঙ্ক দেয়াকে লিঙ্ক একচেঞ্জ বলে, আর পেইড লিঙ্ক হলো ক্রয়কৃত লিঙ্ক অর্থাৎ অর্থের বিনিময়ে কোন সাইটে ব্যাকলিঙ্ক করালিঙ্ক একচেঞ্জ এবং পেইড লিঙ্ক দু'টোকেই গুগোল অপছন্দ করে আর তাছাড়া ম্যাট কাটস্ তো বলেই দিয়েছে পেইড লিঙ্ক সাইটের জন্য ক্ষতিকরতাই লিঙ্ক একচেঞ্জ করা এবং পেইড লিঙ্ক নেয়া দু'টো থেকেই সম্পুর্নরুপে বিরত থাকতে হবে
>> এ্যাগ্রেসিভ লিঙ্কবিল্ডিং প্রসেসঃ সাইটের জন্য সময় নিয়ে লিঙ্কবিল্ডিং করতে হবেএমন না যে, আপনার সাইটের জন্য রাতারাতি হাজার হাজার ব্যাকলিঙ্ক তৈরী করবেনসময় নিয়ে ধীরে ধীরে লিঙ্কবিল্ডিং করা উচিৎআর একটা কথা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে, লিঙ্কবিল্ডিং করার জন্য কখনো কোন লিঙ্কবিল্ডিং সফ্টওয়্যার ব্যাবহার করা ঠিক নয়, সফ্টওয়্যার দিয়ে তৈরী করা ব্যাকলিঙ্কের মান খুবই খারাপ হয় যা পরবর্তিতে সাইটে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারেতাই ম্যানুয়্যালি লিঙ্কবিল্ডিং করাই বুদ্ধিমানের কাজতবে টিয়ার্ড লিঙ্কবিল্ডিং এর ক্ষেত্রে টিয়ার ৩ ব্যাকলিঙ্ক করার জন্য সফ্টওয়্যার ব্যাবহার করা যেতে পারে, অন্য ক্ষেত্রে ব্যাবহার করা ঠিক নয়তাই এধরনের এ্যাগ্রেসিভ লিঙ্কবিল্ডিং করা থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে
.
এই কৌশলগুলো যদি আপনি কোন সাইটে প্রয়োগ করতে পারেন তাহলে সেই সাইট অবশ্যই গুগোলে ভালো র্যাঙ্ক করতে সক্ষম হবে এবং পান্ডা ও পেঙ্গুইন আপডেট থেকে নিরাপদ থাকবেএ পদ্ধতিতে সাইটকে গুগোলের প্রথম পেজে র্যাঙ্ক করাতে হয়তো কিছুটা বেশি সময় লাগবে কিন্তু সেই র্যাঙ্কিং হবে দীর্ঘস্থায়িএখানে যে কৌশলগুলো বলা হয়েছে এবং যেভাবে যা করতে বলা হয়েছে এগুলো হোয়াইট হ্যাট টেকনিক, এভাবে করলে সাইটে গুগোল পান্ডা বা পেঙ্গুইন এ্যাটাকের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে, আর যদি কখনো সাইট এ্যাটাকের শিকার বা পেনালাইজ হয়ও তাহলেও সেই সাইটকে খুব সহজেই রিকভার করা যাবে
এ কৌশলগুলো ছাড়াও বিভিন্ন ব্লাকহ্যাট এসইও টেকনিক ব্যাবহার করে খুব সহজেই সাইটকে ভালো র্যাঙ্কিং এ আনা যায় কিন্তু সেই র্যাঙ্কিং হয় ক্ষনস্থায়ি, যেকোন মুহুর্তে সাইট পেনালাইজ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং এধরনের পেনালাইজ সাইট রিকভার করাও কঠিন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে তো সাইট রিকভার করা সম্ভবই হয় নাএজন্য অবশ্যই হোয়াইট হ্যাট টেকনিক ব্যাবহার করে এসইও করতে হবেতাই এই কৌশলগুলো সাইটে প্রয়োগ করুন এবং সাইটকে  গুগোল পান্ডা ও পেঙ্গুইন এট্যাক থেকে নিরাপদ রাখুন