[A Complete Guideline By SA]
.
.
বিশ্বের বড় বড় সব ইউনিভার্সিটির বায়োলজি ক্লাসেও কোন প্রাণীকে নিয়ে কোনদিন এতটা আলোচনা করা হয় নি যতটা আলোচনা করা হয়েছে ভার্চুয়াল জগতের দুই প্রাণী পান্ডা ও পেঙ্গুইনকে নিয়ে। Internet জগতের এই তুমুল আলোচিত প্রাণী দু'টো বাস্তবে কোন প্রাণী না হলেও এদের ওয়ার্কিং এলগরিদম এবং স্মার্টনেস কোন বুদ্ধিসম্পন্ন প্রাণীর চেয়ে কোন অংশেই কম নয়। বরং তাদের থেকে অনেক বেশী।
এই দুই ভার্চুয়াল প্রাণী হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় সার্চ ইঞ্জিন দি সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট গুগোলের সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য ও নির্ভরযোগ্য এবং নিখুত কার্যক্ষমতা সম্পন্ন দু'টো এলগরিদম আপডেট, যা কোন সাইটকে তাদের কুয়ালিটি, তথ্যের পরিমান, তথ্যের গুরুত্বপুর্নতা, সাইটের ডোমেইন, ইউজার এক্সপেরিয়েন্স, বাউন্স রেট, ট্রাফিক ডেটা ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় এর ওপর নির্ভর করে নির্দিষ্ট র্যাঙ্ক প্রদান করে এবং সেই র্যাঙ্ক অনুযায়ি সার্চ রেজাল্টে বিভিন্ন সাইটকে ইউজারদের সার্চকৃত কিওয়ার্ডের ভিত্তিতে প্রদর্শন করে।
গুগোল তাদের ইউজারদেরকে আরো ভালো সুযোগ-সুবিধা দিতে এবং সবসময় ইউজারদের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনিয় তথ্য খুজে দেয়ার লক্ষে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলগরিদম আপডেট নিয়ে আসে। এসব আপডেট এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন এবং এসইও এর ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তারকারী আপডেট হলো এই পান্ডা এবং পেঙ্গুইন এলগরিদম আপডেট। এদেরকে গুগোল পান্ডা আপডেট এবং গুগোল পেঙ্গুইন আপডেট বলা হয়। এদেরকে গুগোলের দু'টো শক্তিশালি অস্ত্রও বলা যায় যা প্রতিনিয়ত ওয়েবস্প্যাম এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেই চলেছে।
.
এই পোস্টে আপনাদেরকে জানাবো গুগোলের এই দুই ওয়েবস্প্যাম প্রতিরোধকারী শক্তিশালি অস্ত্রের পরিচয় এবং তাদের থেকে আপনার সাইটকে নিরাপদ রাখার সঠিক কৌশল।
.
# গুগোল পান্ডা ও পেঙ্গুইন আপডেটের পরিচয়ঃ
>> গুগোল পান্ডা আপডেটঃ
গুগোল প্রথম পান্ডা আপডেট রিলিজ করে ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, সে সময় এর প্রধান লক্ষ ছিল লো কুয়ালিটি ও দুর্বল সাইটগুলোকে সার্চ র্যাঙ্কিং থেকে নিচে নামিয়ে দেয়া এবং হাই কুয়ালিটি ও বেশি তথ্যবহুল সাইটগুলোকে সার্চ রেজাল্টে টপ পজিশনে নিয়ে আসা। প্রথম পান্ডা আপডেট রিলিজ করার পর সকল সার্চ রেজাল্টের প্রায় ১২% এর ওপর প্রভাব ফেলে, যা অনেক সাইটকে র্যাঙ্কিং এ নিচে নামিয়ে দেয় পাশাপাশি ভালো মানের সাইটগুলোকে র্যাঙ্কিং এ ওপরে উঠিয়ে দেয়। এরপর বিভিন্ন সময় পান্ডার বিভিন্ন ভার্সন রিলিজ করা হয়, যার সবগুলোরই প্রধান লক্ষ ছিল লো কুয়ালিটি সাইট এবং পেজ যেগুলো সার্চ ইঞ্জিনে ভালো র্যাঙ্কিং এ ছিল সেগুলোকে সরিয়ে হাই কুয়ালিটি এবং বিশ্বাসযোগ্য সাইটগুলোকে র্যাঙ্কিং এর প্রথমে নিয়ে আসা।
সর্বশেষ ২০১৫ সালের জুলাই মাসের ১৮ তারিখে পান্ডার লেটেস্ট ভার্সন পান্ডা ৪.২ রিলিজ করা হয়েছে।
>>পেঙ্গুইন আপডেটঃ
২০১২ সালের ২৪ এপ্রিলে প্রথম পেঙ্গুইন আপডেট রিলিজ করা হয়। এই আপডেট এর লক্ষ ছিল বিভিন্ন সাইট যেগুলো গুগোলের ওয়েবমাস্টার গাইডলাইন অমান্য করেছে এবং বিভিন্ন ব্লাক হ্যাট এসইও টেকনিক ব্যাবহার করে টপ র্যাঙ্কিং এ এসেছে সেগুলোর র্যাঙ্কিং নিচে নামিয়ে দেয়া। প্রথম রিলিজের পর সকল সার্চ কুয়েরির মধ্যে ইংরেজি ভাষার ৩.১%, প্রায় ৩% এর মত জার্মান, চাইনিজ ও অ্যারাবিক ভাষার এবং অন্যান্ন বিভিন্ন স্প্যামিং ভাষা ব্যাবহারকারী বহু সাইট পেঙ্গুইন আপডেট দ্বারা আক্রান্ত হয়। ২৫ মে, ২০১২ সালে পেঙ্গুইন ১.১ নামে দ্বিতীয়বারের মত পেঙ্গুইন আপডেট রিলিজ করে গুগোল। এই আপডেট এর প্রধান লক্ষ ছিল অবৈধ পদ্ধতি ব্যাবহার করে টপ র্যাঙ্কিং এ আসা সাইটগুলোকে পেনালাইজ করে সার্চ রেজাল্ট থেকে বের করে দেয়া।
এরপর আরো কয়েকবার পেঙ্গুইন আপডেটের বিভিন্ন ভার্সন রিলিজ করা হয়, যার সবগুলোরই লক্ষ ছিল মুলত স্প্যাম প্রতিরোধ করা এবং ব্লাক হ্যাট এসইও ব্যাবহার করে টপ র্যাঙ্কিং এ আসা সাইটগুলোকে পেনালাইজ করা।
.
পান্ডা এবং পেঙ্গুইন উভয় আপডেটই এসইও জগতে অনেক পরিবর্তন নিয়ে আসে। এই আপডেটগুলোর পর থেকে গুগোল গাইডলাইন মেনে চলা এবং সাইটকে কুয়ালিটি সম্পন্ন ও সঠিকভাবে তথ্যবহুল করা একরকম বাধ্যতামুলক হয়ে গিয়েছে। গুগোল পান্ডা এবং পেঙ্গুইন দুই আপডেটই যে কারো সাইটকে মারাত্বকভাবে আক্রান্ত করতে পারে তাই অবশ্যই সঠিক পদ্ধতিতে এসইও করতে হবে এবং গুগোলের সকল গাইডলাইন মেনে চলতে হবে। পান্ডা আপডেটে কোন সাইট আক্রান্ত হলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সহজেই সেই সাইট রিকভার করা যায় কিন্তু পেঙ্গুইন আক্রান্ত সাইটকে রিকভার করা অনেক সময় খুব কঠিন হয়ে যায় এবং কিছু কিছু ক্ষেেত্র রিকভার করা সম্ভবই হয় না। তাই পান্ডা আপডেট সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে এবং অবশ্যই পেঙ্গুইন আপডেট সম্পর্কে অনেক বেশি সচেতন থাকতে হবে।
.
সাইটকে পান্ডা এবং পেঙ্গুইন আপডেট থেকে নিরাপদ রাখতে গুগোলের গাইডলাইন মেনে হোয়াইট হ্যাট এসইও করতে হবে। এজন্য অনপেজ ও অফপেজ এসইওতে কিছু কৌশল অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
চলুন জেনে নেয়া যাক অত্যান্ত গুরুত্বপুর্ন এই কৌশলগুলো।
.
# অনপেজ এসইও এর ক্ষেত্রেঃ
>> কন্টেন্ট কুয়ালিটিঃ যে কোন ওয়েবসাইটের জন্য কন্টেন্ট খুবই গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা রাখে। যদি কোন সাইটের কন্টেন্ট এর মান খারাপ হয় তাহলে সেই সাইট সার্চ ইঞ্জিনে ভালো র্যাঙ্ক করতে পারে না। তাই কন্টেন্টকে অবশ্যই মানসম্পন্ন করতে হবে। কন্টেন্ট এর মান মুলত নির্ভর করে সেখানে কি পরিমান তথ্য আছে, তথ্যগুলো সঠিক কিনা, ভিজিটররা সহজেই তথ্যগুলো পাচ্ছে কিনা এসবের ওপর। তাই অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে কন্টেন্ট যেন খুব বেশি ছোট না হয় আর তথ্যবহুল হয় এবং ভিজিটররা যেন সহজেই তাদের প্রয়োজনিয় তথ্যটা পেয়ে যায়।
>> ইউনিক কন্টেন্টঃ ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট শুধুমাত্র মানসম্পন্ন হলেই হবে না, কন্টেন্টগুলো অবশ্যই ইউনিক হতে হবে। অন্য কোন সাইট থেকে কন্টেন্ট কপি করে সেটা নিজের সাইটে দিলে কখনো ভালো ফল পাওয়া যাবে না, বরং সাইটটা যেকোন সময় সার্চ রেজাল্টে নিচে নেমে যেতে পারে। গুগোলের কাছে বিশ্বের প্রায় সব ওয়েবসাইটের তথ্য আছে তাই আপনি যে সাইট থেকেই কন্টেন্ট কপি করেন না কেন গুগোল সেটা অবশ্যই ধরতে পারবে এবং এধরনের কপি করা কন্টেন্ট এর ওয়েবসাইটকে গুগোল মোটেও ভালো চোখে দেখে না, তাছাড়া এটা গুগোলের ওয়েবমাস্টার গাইডলাইনও ভঙ্গ করে। তাই সাইটকে নিরাপদ রাখতে কপি পেস্ট থেকে সম্পুর্নরুপে বিরত থাকা উচিৎ। তবে বিভিন্ন কন্টেন্ট হতে ধারনা নিয়ে নিজে কন্টেন্ট তৈরী করতে পারেন, শুধু খেয়াল রাখতে হবে সেটা যেন কপি করা না হয়।
>> কন্টেন্ট সাইজঃ প্রথমেই বলেছি কন্টেন্ট এর কুয়ালিটি ভালো হতে হবে আর কুয়ালিটি ভালো করতে হলে অবশ্যই কন্টেন্ট সাইজ প্রয়োজনিয় বড় করতে হবে। বাফারএ্যাপ এর প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে বলা যায় একটা ব্লগ পোস্টে ১৬০০ এর মত ওয়ার্ড থাকা উচিৎ, যেটা পড়তে ভিজিটরদের ৭ মিনিটের মত সময় লাগতে পারে। তাই বলে এই নয় যে অপ্রয়োজনিয় তথ্য দিয়ে কন্টেন্টকে বড় করতে হবে। যদি কোন কন্টেন্ট এ কম তথ্য দেয়ার প্রয়োজন হয় তাহলে সেটাকে বড় না করাই ভালো। অপ্রয়োজনিয় তথ্য দিয়ে কন্টেন্টকে বড় করলে ভিজিটররা বিভ্রান্ত হয়, যা মোটেও ভালো কথা নয়। তাই অপ্রয়োজনিয় তথ্য দিয়ে কন্টেন্টকে বড় করা যাবে না। তবে কমপক্ষে ১০০ ওয়ার্ড এর মত রাখা উচিৎ, এর চেয়ে ছোট করা ঠিক না।
>> এ্যাবোভ দি ফোল্ড কন্টেন্টঃ কোন কন্টেন্ট এর ওপরের অংশ বা কন্টেন্ট এর প্রথম প্যারার ওপরের অংশকে এ্যাবোভ দি ফোল্ড কন্টেন্ট বলা হয়। কন্টেন্টকে এমন ভাবে তৈরী করতে হবে যেন এর প্রথম অংশ দেখেই বোঝা যায় সম্পুর্ন কন্টেন্ট হতে কি ধরনের তথ্য পাওয়া যাবে। তাই কন্টেন্ট এর ওপরের অংশে সম্পুর্ন কন্টেন্ট এর সম্পর্কে একটা ধারনা দিতে হবে এবং এ অংশে সঠিকভাবে কিওয়ার্ড ব্যাবহার করতে হবে। এতে সার্চ ইঞ্জিন বা ভিজিটর উভয়ই খুব সহজেই সম্পুর্ন কন্টেন্ট সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারনা পেয়ে যাবে।
>> কিওয়ার্ড ডেনসিটিঃ কিওয়ার্ড ডেনসিটি হলো কোন সাইটের মধ্যে কিওয়ার্ডের ঘনত্ব, অর্থাৎ একটা সাইটের মধ্যে ওই সাইটের কিওয়ার্ড এর উপস্থিতির হারকে কিওয়ার্ড ডেনসিটি বলে। সাইটের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে এবং কন্টেন্ট এর মধ্যে কিওয়ার্ড রাখতে হয় এতে সার্চ ইঞ্জিন বুঝতে পারে সাইটে কি ধরনের তথ্য আছে এবং কোন ভিজিটর যখন ওই কিওয়ার্ড লিখে সার্চ করে তখন সার্চ ইঞ্জিন তার র্যাঙ্কিং এর ভিত্তিতে সাইটকে সার্চ রেজাল্টে প্রদর্শন করে। তবে কোন সাইটের মধ্যে যদি মাত্রাতিরিক্ত হারে কিওয়ার্ড দেয়া হয় তাহলে গুগোল সেটাকে স্প্যাম হিসেবে গ্রহন করবে অর্থাৎ গুগোল ধরে নেবে আপনি কোন নির্দিষ্ট একটি বিষয়কে অবৈধভাবে সার্চ রেজাল্টে আনার চেষ্টা করছেন। আর গুগোলের পেঙ্গুইন আপডেটের প্রধান লক্ষ যেহেতু স্প্যাম প্রতিরোধ করা তাই অতিরিক্ত হারে কিওয়ার্ড দেয়ার ফলে আপনার সাইট যেকোন মুহুর্তে পেঙ্গুইন এ্যাটাকের শিকার হতে পারে। এছাড়াও কন্টেন্টের মধ্যে অতিরিক্ত কিওয়ার্ড ব্যাবহারের ফলে কন্টেন্ট এর মান কমে যায়, যা সাইটের জন্য ক্ষতিকর। তাই সাইটকে নিরাপদ রাখতে হলে অবশ্যই কিওয়ার্ড ডেনসিটি সঠিক রাখতে হবে, প্রয়োজন ছাড়া কন্টেন্ট এ কিওয়ার্ড দেয়া ঠিক নয়। বিভিন্ন এসইও স্পেশালিস্টদের মতে কন্টেন্ট এ কিওয়ার্ড ডেনসিটি ১৫% এর মত হলে ভালো।
>> ইন্টারনাল লিঙ্কিং প্যাটার্নঃ ইন্টারনাল লিঙ্কিং হলো সাইটের ভেতরের বিভিন্ন লিঙ্ক, যেগুলো সাইটের এক পেজকে অন্য এক বা একাধিক পেজের সাথে লিঙ্কিং করে। অর্থাৎ সাইটের মধ্যে বিভিন্ন পেজকে এ্যাঙ্কর টেক্সট্ এর মাধ্যমে যে লিঙ্কিং করা হয় সেটাকে ইন্টারনাল লিঙ্কিং বলে। এই লিঙ্কগুলোর মাধ্যমে ভিজিটররা সহজেই সাইটের এক পেজ থেকে অন্য পেজে যেতে পারে। সাইটের ইন্টারনাল লিঙ্কিং এমন হওয়া উচিৎ যাতে ভিজিটররা হোমপেজ থেকে সাইটের অন্যান্ন বিভিন্ন পেজে যেতে পারে এবং এই লিঙ্কগুলোর এ্যাঙ্কর টেক্সট্গুলো দেখেই যেন বোঝা যায় সেখানে ক্লিক করলে কোন পেজ ওপেন হবে। মুলত সাইটের মধ্যে ভিজিটররা যাতে খুব সহজেই নেভিগেশন করতে পারে সেভাবেই লিঙ্কিং করতে হবে। এতে ভিজিটররা সাইট ব্রাউজ করতে স্বাচ্ছন্দবোধ করবে তাছাড়া ইন্টারনাল লিঙ্কিং ভালো হলে গুগোলও সেটাকে ভালো চোখে দেখে।
>> মেটাডেটাঃ সাইটের এসইও এর জন্য মেটা ট্যাগ গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা রাখে। মেটা ট্যাগের সাহায্যে সাইটের মধ্যে যেকোন পেজ সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যায়। তাছাড়া গুগোল কোন পেজ সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য পেতে মেটা ট্যাগের ওপর নির্ভর করে। তাই বুঝতেই পারছেন মেটা ট্যাগ সাইটের জন্য কতটা গুরুত্বপুর্ন, এজন্য অবশ্যই সঠিকভাবে এবং সঠিক পদ্ধতিতে সাইটে মেটা ট্যাগ দিতে হবে। প্রথমেই খেয়াল রাখতে হবে আপনি অবশ্যই ভিজিটরদের জন্য মেটা ট্যাগ তৈরী করছেন, গুগোলের জন্য না। তাই আগে খেয়াল রাখতে হবে ভিজিটরদের কথা তারপর গুগোল। অর্থাৎ মেটা ট্যাগে শুধুমাত্র কিওয়ার্ড বসিয়ে সার্চ ইঞ্জিনকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করলে সেটা ক্ষতি ছাড়া কোন উপকার করবে না। কারন গুগোল পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছে ভিজিটরদের কথা খেয়াল রেখে এসইও করুন, গুগোলের কথা না। তাই অবশ্যই মানসম্পন্ন মেটা ট্যাগ তৈরী করে সেটা সাইটে দিতে হবে।
>> এ্যাড রেশিওঃ আপনি সাইট তৈরী করেছেন সেটা থেকে আয় করার জন্য আর সেই আয় করতে হলে আপনার সাইটে অবশব্যই এ্যাড বা বিজ্ঞাপন দিতে হবে। কিন্তু এই এ্যাডের পরিমান যদি বেশি হয়ে যায় তাহলে পান্ডা হিটের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। মুলত কোন সাইটের পেজে যদি কন্টেন্ট রিলেটেড এ্যাড অত্যাধিক বেশি পরিমানে থাকে তাহলে সেই সাইটে পান্ডা এ্যাটাকের সম্ভাবনা আছে। তাই সাইটে অত্যাধিক মাত্রায় এ্যাড দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে আর তাছাড়া কোন সাইটে অতিরিক্ত বেশি পরিমানে এ্যাড থাকলে গুগোল সেটাকে স্প্যাম হিসেবে দেখে, আর গুগোলের চোখে কোন সাইট স্প্যামিং সাইট হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার ফল কি সেটা আগেই বলেছি। কিন্তু সাইট থেকে ইনকাম করতে হলে তো অবশ্যই সাইটে এ্যাড দিতে হবে। তাই সঠিক পদ্ধতিতে, সঠিক রেশিও ফলো করেই কাজটা করতে হবে।
>> ক্লোকিং টেকনিকঃ ক্লোকিং হলো এক ধরনের ব্লাকহ্যাট এসইও টেকনিক যেটা ব্যাবহারের মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিনকে এক ধরনের কন্টেন্ট দেখানো হয় এবং ভিজিটরদেরকে অন্য ধরনের কন্টেন্ট দেখানো হয়। অর্থাৎ সার্চ ইঞ্জিন স্পাইডার বা ক্রউলার যখন কোন ওয়েব সাইটের কোন পেজে যায় তখন সার্ভার সাইড স্ক্রিপ্টিং এর মাধ্যমে এদেরকে ভালো মানের ও তথ্যবহুল কন্টেন্ট দেখানো হয় তাই সার্চ ইঞ্জিন ক্রউলার সেটাকে সার্চ রেজাল্টে ভালো র্যাঙ্কিং এ রাখে। কিন্তু কোন ভিজিটর যখন ব্রাউজারের মাধ্যমে সার্চ রেজাল্ট খেকে ওই পেজে যায় তখন একই ধরনের সার্ভার সাইড স্ক্রিপ্টিং ব্যাবহারের মাধ্যমে ভিজিটরের ব্রাউজারে স্প্যামিং কন্টেন্ট প্রদর্শন করা হয়। ক্লোকিং এর মুল উদ্যেশ্যই হলো স্প্যামিং করে অবৈধভাবে ইনকাম করা। কিন্তু গুগোল এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি স্মার্ট তাই এখন আর ক্লোকিং করে পার পাওয়ার কোন উপায় নেই। এখনকার সময়ে ক্লোকিং করলে গুগোল সেটাকে ধরতে সক্ষম এবং সাইটকে পেনালাইজ করতে প্রস্তুত। তাই সাইটে ক্লোকিং করা থেকে সম্পুর্নরুপে বিরত থাকতে হবে।
>> ডোরওয়ে পেজঃ ডোরওয়ে পেজকেও এক ধরনের ক্লোকিং টেকনিকই বলা যায়, যার প্রধান উদ্যেশ্যই মুলত স্প্যামিং এর মাধ্যমে ইনকাম করা। কেও যদি ডোরওয়ে পেজ ক্রিয়েট করে এবং কোন ভিজিটর যদি সার্চ রেজাল্ট থেকে ওই পেজে ক্লিক করে তাহলে সেই ভিজিটর একটি মেটা রিফ্রেশ কমান্ডের মাধ্যমে অন্য একটি পেজে রিডাইরেক্ট হয়ে যাবে। অর্থাৎ ভিজিটরের ব্রাউজারে একটি স্প্যামিং কন্টেন্ট ধারনকৃত পেজ ওপেন হবে। এটাও একটি ব্লাকহ্যাট এসইও টেকনিক এবং এটা গুগোলের নীতিমালা ভঙ্গ করে। তাই সাইটে কখনো ডোরওয়ে পেজ তৈরী করা উচিৎ নয়।
.
# অফপেজ এসইও এর ক্ষেত্রেঃ
>> রিলেভেন্ট ব্যাকলিঙ্কঃ ওয়েব সাইটকে র্যাঙ্ক করাতে ব্যাকলিঙ্ক দারুন সহযোগিতা করতে পারে। কিন্তু গুগোল স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছে যে, ব্যাকলিঙ্কগুলো অবশ্যই রিলেভেন্ট সাইট থেকে নিতে হবে। অর্থাৎ এমন কোন সাইটে ব্যাকলিঙ্ক করতে হবে যে সাইটের বিষয়বস্তুর সাথে ব্যাকলিঙ্ককারী সাইটের বিষয়বস্তুর মিল আছে। তাই অবশ্যই নিশ বা কিওয়ার্ড রিলেটেড সাইটে ব্যাকলিঙ্ক করতে হবে। এটা র্যাঙ্কিং এ যেমন সহায়তা করে তেমনই ওই সব সাইট থেকে ভিজিটর আনতেও সাহায্য করে।
>> ব্যাকলিঙ্ক কুয়ালিটিঃ সাইটের জন্য যে ব্যাকলিঙ্ক করা হবে সেগুলো অবশ্যই ভালো মানের হতে হবে। অর্থাৎ হাই পেজ র্যাঙ্ক, ডোমেইন অথোরিটি, ভালো রেপুটেশন ইত্যাদি বিষয় আছে এমন সাইটে ব্যাকলিঙ্ক করতে হবে। আপনি যদি এমন কোন সাইটে ব্যাকলিঙ্ক করেন যেটা ইতিমধ্যে গুগোল থেকে পেনাল্টি খেয়েছে অথবা এমন কোন সাইট যেটা ডুপ্লিকেট বা কপি করা কন্টেন্ট ইউজ করেছে তাহলে আপনার সাইটের র্যাঙ্কিং বৃদ্ধি পাওয়ার বদলে উল্টো কমে যেতে পারে। অর্থাৎ আপনি যদি এমন কোন সাইটে ব্যাকলিঙ্ক করেন যে সাইট গুগোল ওয়েবমাস্টার বা গুগোল কুয়ালিটি গাইডলাইন ভঙ্গ করেছে তাহলে সেই ব্যাকলিঙ্ক আপনার সাইটের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই অবশ্যই ব্যাকলিঙ্কগুলো ভালো মানস্মপন্ন হতে হবে এবং সঠিক লিঙ্ক বিল্ডিং স্ট্রাটেজি ফলো করে করতে হবে।
>> এ্যাঙ্কর টেক্সট্ কিওয়ার্ডঃ এ্যাঙ্কর টেক্সট্ এর মধ্যে কিওয়ার্ড রাখাটা বুদ্ধিমানের কাজ। কেননা এ্যাঙ্কর টেক্সট্ গুগোলকে লিঙ্ক সম্পর্কে একটা ভালো ধারনা দিতে পারে। ব্যাকলিঙ্ক করার সময় সেটার এ্যাঙ্কর টেক্সট্ এ টার্গেটেড কিওয়ার্ড রাখতে হবে। অর্থাৎ যদি কোন সাইট বা পেজের ব্যাকলিঙ্ক করা হয় তাহলে সেটার এ্যাঙ্কর টেক্সট্ এ Click here, Click to know more, Go to this site ইত্যাদিভাবে দেয়া ঠিক না, কারন গুগোল এগুলোকে অনেক সময় স্প্যাম হিসেবে দেখে, এজন্য এ্যাঙ্কর টেক্সট্ এ কিওয়ার্ড রাখা উচিৎ। এক্ষেত্রে বলা যায় যদি কোন কার সেলিং রিলেটেড সাইটের ব্যাকলিঙ্ক করতে হয় তাহলে সেটার এ্যাঙ্কর টেক্সট্ এ Click to buy a car, Buy a brand car, car selling company এইভাবে কিওয়ার্ড দিয়ে করা ভালো। এতে ভিজিটররা বুঝতে পারে সেখানে ক্লিক করলে কোন ধরনের পেজ ওপেন হবে, পাশাপাশি গুগোলও লিঙ্ক সম্পর্কে একটা প্রাথমিক তথ্য পায়, যার ফলে গুগোলের কাছে ব্যাকলিঙ্কগুলো মানসম্পন্ন হয় এবং পেঙ্গুইন এ্যাটাকের সম্ভাবনা কমে যায়। আর একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, ব্যাকলিঙ্কে কখনো কোন স্প্যাম ওয়ার্ড যেমন, Money, Free, Earn ইত্যাদি দেয়া ঠিক না।
>> এ্যাঙ্কর টেক্সট্ কুয়ালিটিঃ ব্যাকলিঙ্ক করার সময় সেটার এ্যাঙ্কর টেক্সট্ কুয়ালিটি অবশ্যই ভালো হতে হবে। একটা ব্যাকলিঙ্ক এমনভাবে করতে হবে যেন সেটার এ্যাঙ্কর টেক্সট্ দেখলেই বোঝা যায় সেখানে ক্লিক করলে কি ধরনের পেজ আসবে। অর্থাৎ এ্যাঙ্কর টেক্সট্ এ অবশ্যই অর্থবহ শব্দ এবং টার্গেটেড কিওয়ার্ড রাখতে হবে, যাতে সহজেই সেই ব্যাকলিঙ্কটা সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যায়।
>> ন্যাচারাল ব্যাকলিঙ্কিং টেকনিকঃ কোন সাইটের ব্যাকলিঙ্ক করার সময় খেয়াল রাখতে হবে ব্যাকলিঙ্কগুলো যেন সাভাবিক দেখায়। অর্থাৎ ব্যাকলিঙ্কগুলো দেখে কোন ভাবেই যেন মনে না হয় আপনি স্প্যামিং করছেন। কোন সাইটের ব্যাকলিঙ্ক করার সময় সবগুলো বা বেশিরভাগ ব্যাকলিঙ্কের এ্যাঙ্কর টেক্সট্ এ যদি একই কিওয়ার্ড ব্যাবহার করেন তাহলে সেটা স্প্যামিং হিসেবে গণ্য হয়। ধরুন আপনি কার সেলিং বিষয়ক একটা সাইটের এসইও করছেন, এখন আপনি যদি একটা ব্যাকলিঙ্কের এ্যাঙ্কর টেক্সট্ এ Buy car দেন, অন্য আরেকটায়ও দিলেন Buy car, এবং সবগুলোতেই দিলেন Buy car অর্থাৎ সব ব্যাকলিঙ্কে একই এ্যাঙ্কর টেক্সট্ ব্যাবহার করলেন তাহলে গুগোল ভাববে আপনি কোন একটি নির্দিষ্ট কিওয়ার্ডকে অবৈধভাবে র্যাঙ্ক করাতে চাচ্ছেন, যেটা সাধারনত স্প্যামিং হিসেবেই বিবেচিত হয়। তাই এভাবে ব্যাকলিঙ্ক করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
>> ন্যাচারাল লিঙ্কবিল্ডিং টেকনিকঃ ব্যাকলিঙ্ক দুই ধরনের হয়, ডুফলো ব্যাকলিঙ্ক এবং নোফলো ব্যাকলিঙ্ক। যে ব্যাকলিঙ্কগুলো গুগোল ফলো করে এবং ক্লিক করা যায় অর্থাৎ যে ব্যাকলিঙ্কগুলো গুগোলবটের গ্রহন করার অনুমতি থাকে সেগুলোকে ডুফলো ব্যাকলিঙ্ক বলে। আর নোফলো ব্যাকলিঙ্ক বলা হয় যে ব্যাকলিঙ্কগুলো গুগোল ফলো করে না সেগুলোকে। সাইটকে র্যাঙ্ক করাতে মুলত ডুফলো ব্যাকলিঙ্ক সহায়তা করে, এক্ষেত্রে নোফলো ব্যাকলিঙ্ক কোন ভূমিকা রাখে না। কিন্তু আপনি যদি সাইটের জন্য শুধুমাত্র ডুফলো ব্যাকলিঙ্ক করেন তাহলে গুগোল সেটাকে ভালো চোখে দেখবে না, কারন গুগোল ধরে নেবে আপনি বেআইনি ভাবে সাইটকে র্যাঙ্ক করাতে চাচ্ছেন। এজন্য ডুফলো ব্যাকলিঙ্কের পাশাপাশি কিছু নোফলো ব্যাকলিঙ্কও করতে হবে। বিভিন্ন এসইও এক্সপার্টদের মতে সাইটের জন্য ডুফলো ও নোফলো ব্যাকলিঙ্কের রেশিও ১০০:১৫ এর মত থাকা ভালো।
>> ইউজিং ডিজ্যাভো টুলঃ অনেক সময় কিছু লো কুয়ালিটি ব্যাকলিঙ্ক বা স্প্যামিং ব্যাকলিঙ্ক সাইটের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এসব ব্যাকলিঙ্কের পরিমান কয়েক হাজারও হয়। এসব ক্ষেত্রে ব্যাবলিঙ্কগুলো ডিলিট করাও কোন ভাবে সম্ভব হয় না।
এমন পরিস্থিতিতে ব্যাবহার করতে হবে গুগোল ডিজ্যাভো টুল। এটি এমন একটি টুল যেটি ব্যাবহারের মাধ্যমে আপনি গুগোলকে বলতে পারবেন কোন ব্যাকলিঙ্কগুলো কাউন্ট করবে আর কোন ব্যাকলিঙ্কগুলো করবে না। সাইটের জন্য ক্ষতিকর ব্যাকলিঙ্কগুলো চিন্হিত করে ডিজ্যাভো টুলের মাধ্যমে গুগোলকে কমান্ড দিতে হবে সেগুলো যেন কাউন্ট না করে। অর্থাৎ আপনি গুগোলকে বলতে পারছেন আপনি এই ব্যাকলিঙ্কগুলো চাচ্ছেন না। এতে ক্ষতিকর ব্যাকলিঙ্কগুলো সাইটে আর কোন প্রভাব ফেলতে পারবে না।
এখন বুঝতেই পারছেন এটি এসইও এর জন্য কতটা গুরুত্বপুর্ন একটা টুল। তাই এই টুলের সঠিক ব্যাবহার জানতে হবে।
>> সোশ্যাল সিগনালঃ
ফেসবুক, গুগোল+, টুইটার, লিঙ্কড্ইন এবং এ ধরনের বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে মানুষজন যে লাইক, কমেন্ট, শেয়ার, ভোট, পিন ইত্যাদি করে এগুলোকে সোশ্যাল সিগনাল বলে। প্রথমে একটা কথা মনে রাখতে হবে, সোশ্যাল সিগনাল কোন র্যাঙ্কিং ফ্যাক্টর না তবে এটা সাইটের জন্য এমন কিছু কাজ করে যেটার ফলে গুগোল পান্ডা ও পেঙ্গুইন থেকে সাইটকে নিরাপদ রাখা যায়।
কোন সাইট সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে আলোচনা হলে গুগোল সেটাকে ভালো চোখে দেখে, গুগোল দেখবে মানুষজন আপনার সাইট নিয়ে আলাপ-আলোচনা করছে তার মানে আপনার সাইটটা ভালো মানের হতে পারে। তাছাড়া সোশ্যাল মিডিয়া সাইট থেকে প্রচুর ট্রাফিক নিজের সাইটে নিয়ে আসা যায়। আর সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন যে বিষয় সেটা হলো সোশ্যাল মিডিয়া সাইট থেকে রিটার্নিং ভিজিটর পাওয়া যায়, যেটা গুগোল এসইও এর জন্য খুবই গুরুত্বপুর্ন। তাই সাইটের সোশ্যাল সিগনাল বৃদ্ধি করার ব্যাপারে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে।
>> লিঙ্ক একচেঞ্জ, পেইড লিঙ্কঃ অন্য কোন সাইটের সাথে ব্যাকলিঙ্ক আদান-প্রদান করা অর্থাৎ নিজের সাইটে অন্য কোন সাইটের লিঙ্ক দেয়ার বিনিময়ে ওই সাইটে নিজের সাইটের লিঙ্ক দেয়াকে লিঙ্ক একচেঞ্জ বলে, আর পেইড লিঙ্ক হলো ক্রয়কৃত লিঙ্ক অর্থাৎ অর্থের বিনিময়ে কোন সাইটে ব্যাকলিঙ্ক করা। লিঙ্ক একচেঞ্জ এবং পেইড লিঙ্ক দু'টোকেই গুগোল অপছন্দ করে আর তাছাড়া ম্যাট কাটস্ তো বলেই দিয়েছে পেইড লিঙ্ক সাইটের জন্য ক্ষতিকর। তাই লিঙ্ক একচেঞ্জ করা এবং পেইড লিঙ্ক নেয়া দু'টো থেকেই সম্পুর্নরুপে বিরত থাকতে হবে।
>> এ্যাগ্রেসিভ লিঙ্কবিল্ডিং প্রসেসঃ সাইটের জন্য সময় নিয়ে লিঙ্কবিল্ডিং করতে হবে। এমন না যে, আপনার সাইটের জন্য রাতারাতি হাজার হাজার ব্যাকলিঙ্ক তৈরী করবেন। সময় নিয়ে ধীরে ধীরে লিঙ্কবিল্ডিং করা উচিৎ। আর একটা কথা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে, লিঙ্কবিল্ডিং করার জন্য কখনো কোন লিঙ্কবিল্ডিং সফ্টওয়্যার ব্যাবহার করা ঠিক নয়, সফ্টওয়্যার দিয়ে তৈরী করা ব্যাকলিঙ্কের মান খুবই খারাপ হয় যা পরবর্তিতে সাইটে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই ম্যানুয়্যালি লিঙ্কবিল্ডিং করাই বুদ্ধিমানের কাজ। তবে টিয়ার্ড লিঙ্কবিল্ডিং এর ক্ষেত্রে টিয়ার ৩ ব্যাকলিঙ্ক করার জন্য সফ্টওয়্যার ব্যাবহার করা যেতে পারে, অন্য ক্ষেত্রে ব্যাবহার করা ঠিক নয়। তাই এধরনের এ্যাগ্রেসিভ লিঙ্কবিল্ডিং করা থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে।
.
এই কৌশলগুলো যদি আপনি কোন সাইটে প্রয়োগ করতে পারেন তাহলে সেই সাইট অবশ্যই গুগোলে ভালো র্যাঙ্ক করতে সক্ষম হবে এবং পান্ডা ও পেঙ্গুইন আপডেট থেকে নিরাপদ থাকবে। এ পদ্ধতিতে সাইটকে গুগোলের প্রথম পেজে র্যাঙ্ক করাতে হয়তো কিছুটা বেশি সময় লাগবে কিন্তু সেই র্যাঙ্কিং হবে দীর্ঘস্থায়ি। এখানে যে কৌশলগুলো বলা হয়েছে এবং যেভাবে যা করতে বলা হয়েছে এগুলো হোয়াইট হ্যাট টেকনিক, এভাবে করলে সাইটে গুগোল পান্ডা বা পেঙ্গুইন এ্যাটাকের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে, আর যদি কখনো সাইট এ্যাটাকের শিকার বা পেনালাইজ হয়ও তাহলেও সেই সাইটকে খুব সহজেই রিকভার করা যাবে।
এ কৌশলগুলো ছাড়াও বিভিন্ন ব্লাকহ্যাট এসইও টেকনিক ব্যাবহার করে খুব সহজেই সাইটকে ভালো র্যাঙ্কিং এ আনা যায় কিন্তু সেই র্যাঙ্কিং হয় ক্ষনস্থায়ি, যেকোন মুহুর্তে সাইট পেনালাইজ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং এধরনের পেনালাইজ সাইট রিকভার করাও কঠিন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে তো সাইট রিকভার করা সম্ভবই হয় না। এজন্য অবশ্যই হোয়াইট হ্যাট টেকনিক ব্যাবহার করে এসইও করতে হবে। তাই এই কৌশলগুলো সাইটে প্রয়োগ করুন এবং সাইটকে গুগোল পান্ডা ও পেঙ্গুইন এট্যাক থেকে নিরাপদ রাখুন।